মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর হলুদ নদী সবুজ বন এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 102.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Holud Nodi Sobuj Bon by Manik Bondhopadhaiis now available in boiferry for only 102.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
হলুদ নদী সবুজ বন (হার্ডকভার)
৳ ১২০.০০
৳ ৯৬.০০
একসাথে কেনেন
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর হলুদ নদী সবুজ বন এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 102.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Holud Nodi Sobuj Bon by Manik Bondhopadhaiis now available in boiferry for only 102.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন | হার্ডকভার | ৯৫ পাতা |
---|---|
প্রথম প্রকাশ | 2012-02-01 |
প্রকাশনী | দি স্কাই পাবলিশার্স |
ISBN: | 9847014500295 |
ভাষা | বাংলা |
ক্রেতার পর্যালোচনা
1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা
-
পর্যালোচনা লিখেছেন 'Mijun Uddin Masud'
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুন্দর নামের একটি বিখ্যাত উপন্যাস 'হলুদ নদী সবুজ বন'।নামটি আসলেই খুব সুন্দর।অনেক দিন ধরে অপেক্ষায় ছিলাম উপন্যাসটি পড়ার জন্য।অবশেষে পড়ে ফেললাম 'হলুদ নদী সবুজ বন'। খুব সুন্দর এবং নিখুঁত একটি সামাজিক উপন্যাস।উপন্যাসে দেখানো হয়েছে দুইটি সম্পূর্ণ বিপরীত শ্রেণির মানুষদের জীবন-যাত্রা।একদিকে হলো ঈশ্বর,গৌরী,লখার মায়েদের মতো সমাজের নিচু স্তরের হীন শ্রেণির মানুষ।অন্যদিকে রয়েছে রবার্টসন,প্রভাস,বনানীদের মতো জমিদার,সাহেবদের জীবন। উপন্যাস সম্পর্কে মানিক বলেছেন,"মানুষ বাদ দিয়ে অঞ্চল সম্ভব নয়।আর অঞ্চল মুখ্য নয়,মানুষই মুখ্য।তাই সুন্দরপুরের একটি অঞ্চলকে তুলে নিলেও উপন্যাসে গুরুত্ব পেয়েছে সে অঞ্চলের মানুষেরা।আর মানুষ শুধু এক শ্রেণির হয় না।সব অঞ্চলেই উপরোক্ত দুটি শ্রেণি বিদ্যমান।" উপন্যাসে দেখানো হয়েছে,ঈশ্বরের মতো মানুষেরা কীভাবে যুগ-যুগান্তর ধরে প্রভাসদের মতো মানুষদের সাথে আষ্টেপৃষ্টে তাদের জীবন-যাত্রা নির্বাহ করছে।আর ঈশ্বরদের কৃতকর্মের সুবিধা কীভাবে তাদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে লুটে নিচ্ছে প্রভাসরা। এইসব আগের উপন্যাসগুলোতেই মূলত বই পড়ার প্রকৃত স্বাদটা অনুভব করা যায়।সেটা যে লেখকের উপন্যাস-ই হোক না কেনো।
June 30, 2022
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (Manik Bondhopadhai)
শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, মধ্যবিত্ত সমাজের কৃত্রিমতা, নিয়তিবাদ ইত্যাদি বিষয়কে লেখার মধ্যে তুলে এনে বাংলা সাহিত্যে যিনি অমর হয়েছেন, তিনি হলেন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। খ্যাতিমান এই সাহিত্যিক ১৯০৮ সালের ১৯ মে বিহারের সাঁওতাল পরগনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, আর মানিক ছিলো তাঁর ডাকনাম। বাবার বদলির চাকরিসূত্রে তাঁর শৈশব, কৈশোর ও ছাত্রজীবন কেটেছে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে, যার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের পটভূমিতে বিভিন্ন সাহিত্য রচনা করেছেন তিনি। প্রবেশিকা ও আইএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় গণিত বিষয়ে অনার্স করতে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। এখানে পড়াশোনাকালে বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে তিনি 'অতসী মামী' গল্পটি লেখেন। সেই গল্পটি বিখ্যাত 'বিচিত্রা' পত্রিকায় ছাপানো হলে তা পাঠকনন্দিত হয় এবং তিনি সাহিত্যাঙ্গনে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি সাহিত্য রচনায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন, যার ফলে তাঁর পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং তিনি আর পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। তাঁর হাতে বাংলা সাহিত্যে এক বৈপ্লবিক ধারা সূচিত হয় ঐ সময়ে, যখন সারা পৃথিবী জুড়ে মানবিক বিপর্যয়ের এক চরম সংকটময় মুহূর্ত চলছে। কমিউনিজমের দিকে ঝুঁকে যাওয়ায় তাঁর লেখায় একসময় এর ছাপ পড়ে এবং মার্ক্সীয় শ্রেণীসংগ্রাম তত্ত্ব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমগ্র। ফ্রয়েডীয় মনোসমীক্ষণেরও প্রভাব লক্ষ্য করা যায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র-তে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমূহ এর মধ্যে 'পদ্মানদীর মাঝি', 'দিবারাত্রির কাব্য', 'পুতুলনাচের ইতিকথা', 'শহরতলি', 'চতুষ্কোণ', 'শহরবাসের ইতিকথা' ইত্যাদি বিখ্যাত উপন্যাস, এবং 'আত্মহত্যার অধিকার', 'হারানের নাতজামাই', 'বৌ', 'প্রাগৈতিহাসিক', 'সমুদ্রের স্বাদ', 'আজ কাল পরশুর গল্প' ইত্যাদি গল্পগ্রন্থ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা রচনার কিছু নিদর্শন থাকলেও সেগুলো তেমন উল্লেখযোগ্যতা অর্জন করেনি। অসামান্য এই কথাসাহিত্যিক মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ১৯৫৬ সালের ৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।