Loading...

গৃহদাহ (হার্ডকভার)

স্টক:

২২০.০০ ১৬৫.০০

মহিমের পরম বন্ধু সুরেশ। একসঙ্গে এফ.এ পাস করার পর সুরেশ গিয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তি হইল; কিন্তু মহিম তাহার পুরাতন সিটি কলেজেই টিকিয়া রহিল। সুরেশ অভিমান-ক্ষুন্নকণ্ঠে কহিল, মহিম, আমি বার বার বলছি, বি.এ; এম,এ পাস করে কোন লাভ হবে না। এখনও সময় আছে, তােমারও মেডিকেল কলেজেই ভর্তি হওয়া। উচিত। মহিম সহাস্যে কহিল, হওয়া ত উচিত, কিন্তু খরচের কথাটাও ত ভাবা উচিত। খরচ এমনই কি বেশী যে, তুমি দিতে পার না? তা ছাড়া তােমার স্কলারশিপও আছে। মহিম হাসিমুখে চুপ করিয়া রহিল। সুরেশ অধীর হইয়া কহিল, না না-হাসি নয় মহিম, আর দেরি করলে চলবে না, তােমাকে এরই মধ্যে এ্যাডমিশন নিতে হবে, তা বলে দিচ্ছি। খরচপত্রের কথা পরে বিবেচনা করা যাবে। মহিম কহিল, আচ্ছা। সুরেশ বলিল, দেখ মহিম, কোন্‌টা যে তােমার সত্যকারের আচ্ছা, আর কোনটা নয়-তা আজ পর্যন্ত আমি বুঝে উঠতে পারলুম না। কিন্তু পথের মধ্যে তােমাকে সত্য করিয়ে নিতে পারলুম না, কারণ, আমার কলেজের দেরি হচ্ছে। কিন্তু কাল-পরশুর মধ্যে এর যা-হােক একটা কিনারা না করে আমি ছাড়ব না। কাল সকালে বাসায় থেক, আমি যাব। বলিয়া সুরেশ তাহার কলেজের পথে দ্রুতপদে প্রস্থান করিল। | দিন-পনের কাটিয়া গিয়াছে। কোথায় বা মহিম, আর কোথায় বা তাহার মেডিক্যাল কলেজে এ্যাডমিশন লওয়া! একদিন রবিবারের দুপুরবেলা সুরেশ বিস্তর খোঁজাখুঁজির পর একটা দীনহীন ছাত্রাবাসে আসিয়া উপস্থিত হইল। সােজা উপরে গিয়া দেখিল, সুমুখের একটা অন্ধকার স্যাতসেঁতে ঘরের মেঝের উপর ছিন্ন-বিছিন্ন কুশাসন পাতিয়া ছয়-সাতজন আহারে বসিয়াছে। মহিম মুখ তুলিয়া অকস্মাৎ বন্ধুকে দেখিয়া কহিল, হঠাৎ বাসা বদলাতে হল বলে তােমাকে সংবাদ দিতে পারিনি; সন্ধান করলে কি করে? | সুরেশ তাহার কোন উত্তর না দিয়া থপ করিয়া চৌকাঠের উপর বসিয়া পড়িল এবং একদৃষ্টে ছেলেদের আহার্যের প্রতি চাহিয়া রহিল। অত্যন্ত মােটা চালের অন্ন; জলের মত কি একটা দাল, শাক, ডাটা এবং কচু দিয়া একটা তরকারি এবং তাহারই পাশে দু'টুকরা পােড়া পােড়া কুমড়া ভাজা। দধি নাই, দু নাই, কোনপ্রকার মিষ্ট নাই; একটুকরা মাছ পর্যন্ত কাহারও পাতে পড়িল না। সকলের সঙ্গে মহিম অম্লান মুখে, নিরতিশয় পরিতৃপ্তির সহিত এইগুলি ভােজন করিতে লাগিল। কিন্তু চাহিয়া চাহিয়া সুরেশের দুই চক্ষু জলে ভরিয়া উঠিল। সে কোনমতে মুখ ফিরাইয়া অশ্রু মুছিয়া উঠিয়া দাড়াইল। সামান্য কারণেই সুরেশের চোখে জল আসিয়া পড়িত।
Grehodaho,Grehodaho in boiferry,Grehodaho buy online,Grehodaho by Sarat Chandra Chatterjee,গৃহদাহ,গৃহদাহ বইফেরীতে,গৃহদাহ অনলাইনে কিনুন,শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর গৃহদাহ,9789849147498,Grehodaho Ebook,Grehodaho Ebook in BD,Grehodaho Ebook in Dhaka,Grehodaho Ebook in Bangladesh,Grehodaho Ebook in boiferry,গৃহদাহ ইবুক,গৃহদাহ ইবুক বিডি,গৃহদাহ ইবুক ঢাকায়,গৃহদাহ ইবুক বাংলাদেশে
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর গৃহদাহ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 176.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Grehodaho by Sarat Chandra Chatterjeeis now available in boiferry for only 176.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ২০৭ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2016-06-01
প্রকাশনী রচনা প্রকাশ
ISBN: 9789849147498
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
লেখকের জীবনী
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (Saratchandra Chattopadhyay)

৩১শে ভাদ্র, ১২৮৩ - ২রা মাঘ, ১৩৪৪ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬ – ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮) ছিলেন একজন বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক, ও গল্পকার। তিনি দক্ষিণ এশিয়া এবং বাংলা ভাষার অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক।[২][৩] তার অনেক উপন্যাস ভারতবর্ষের প্রধান ভাষাগুলোতে অনূদিত হয়েছে। বড়দিদি (১৯১৩), পরিণীতা (১৯১৪), পল্লীসমাজ (১৯১৬), দেবদাস (১৯১৭), চরিত্রহীন (১৯১৭), শ্রীকান্ত (চারখণ্ডে ১৯১৭-১৯৩৩), দত্তা (১৯১৮), গৃহদাহ (১৯২০), পথের দাবী (১৯২৬), শেষ প্রশ্ন (১৯৩১) ইত্যাদি শরৎ চন্দ্র রচিত বিখ্যাত উপন্যাস।[২] বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অপ্রতিদ্বন্দ্বী জনপ্রিয়তার দরুন তিনি 'অপরাজেয় কথাশিল্পী' নামে খ্যাত। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক পান৷[৪] এছাড়াও, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে 'ডিলিট' উপাধি পান ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে।

সংশ্লিষ্ট বই