ডিসেম্বর ১৬, ২০১৮ ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসাবে ইমিগ্রেশন পরীক্ষা শেষ হল। ইমিগ্রেশন অফিসার সকাল থেকে কাজ করে করে ক্লান্ত হয়ে এক বার ঘাড়ে হাত রেখে হেলান দিয়ে বসে বলল” উহ! বাংলাদেশের এত লােক বিদেশে যায়, কে বলে বাংলা দেশের লােক গরিব?” ইমিগ্রেশন শেষ করে সিঙ্গাপুর এয়ার লাইনের বিমানে গিয়ে উঠলাম। ৩৮০ জন যাত্রী বাহী বিমানের প্রতি সারিতে পাশাপাশি ২+৪+২ করে ৮ জনের বসার ব্যবস্থা। আমাদের যাত্রার গন্তব্য অষ্ট্রেলিয়ার সিডনি। মাঝে সিঙ্গাপুর বিমান বন্দরে ১-৪৫ মিঃ বিরতির পর সিডনি গামী অন্য বিমানে গিয়ে উঠব। আমাদের দুই জনের আসন জানালার পাশে থাকায় বাইরে তাকিয়ে দেখার সুযােগ হয়। বিমান মাটি ছেড়ে উঠার পর | চোখের সামনে ধোয়াশা আকাশ ছাড়া আর কিছু দেখার নেই। ভিতরে বিমান। বালাদের আনাগােনা, খাবারের ট্রে নিয়ে সামনে পিছে টানা টানি কাজের ব্যস্ততা পরিবেশকে প্রাণবন্ত করে রাখে। “হাসিটি হেথায় বাজারে বিকায়” কথাটার একটা বিশেষ তাৎপর্য দেখা যায় এখানে। মুখের হাসির সাথে পােশাকের হাসি মিলে জীবন জীবিকার উপায় হিসাবে ব্যবহার করার চমক্কার ব্যবস্থা তারা করে নিয়েছে এখানে। কিছু সময় বসার পর বাইরের আকাশের চেহারা অনেকটা বদলে যায়। ধোঁয়াশা কেটে গিয়ে নিচে সাদা সাদা উঁচু নিচু টিলা টক্করে ভরা বিশালাকার প্রান্তরের মত দেখা যায়। কিন্তু একটু লক্ষ করলে।