বহু শতাব্দীর টান জনপদ বাংলাদেশে উত্তমাঞ্চল, ভৌগােলিক বিতানে যা একালের রাজশাহী বিভাগ, এককালে যম পমি হিল যন্ত্রে বা নন্ত্রেী। পশ্চিনে গঙ্গা ও মহানন্দায় মিলিত স্রোতধামা, পূর্বে করতােয়া, দক্ষিণে পদ্মা এবং উত্তরে কোচবিহার ও তাইমে মধ্যবর্তী এ ভূ অনেক সভ্যতা ও উথানপতনের শদপত। এক কথায় বলা যেতে পায়ে যে এ হাই কষি, শিল্প, ব্যাবসাবাণিজ্য, শিক্ষাসংস্কৃতি, শিল্পকলা-ভাস্কর্য, ধর্ম-বিতান, ভাষা-সাহিত্য –সকল ক্ষেত্রে সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে। পবর্তীতে নৌর্য আমল থেকে শুরু করে শৃঙ্গ, যাণ, গুপ্ত, পাল, সেন, সুলতানি, মােঘল ও ইংমেল শাসনের আওতায় থেকে এ জনপদটি সর্বভারতীয় প্রশাসনিক পর্মিনওলে যে প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। | হিন্দু-বৌদ্ধ যুগের অসংখ্য দুর্গনগরী (citadel), দুর্গ (fort), নগর (city) ৩ এজাতীয় প্রতিষ্ঠান, বৌদ্ধ বিহার ও বিহারিকা, , জালাল, জলাশয় এবং মুসলিম আনলেন মসজিদ, মাদ্রাসা, নালার ও বানকাহ প্রভৃতি বুকে ধরে রাখা নরেন্দ্র অঞ্চল একসময় হিল প্রাচীন বাংলায় উল্লেখযোগ্য প্রানপদ। শুধু প্রাটীন ঐতিহাসিক নিদর্শনেই সনুগ্ধ নয় অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে এখানকার মানুষের সংগ্রামের ইতিহাসও অত্যন্ত গৌরন। স্বদেশি ও বহিঃশক্তি প্রতিরােধে বিভিন্ন সময়ে মানুষের বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছে যমেন্দ্র অঞ্চলের তপ্তভূমি। নীল বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ, কৃষক বিদ্রোহ, ফকিম বিদ্রোহ, ব্রিটিশবিরােধী আন্দোলন, ১৯৪৮ ও ৫২র ভাষা আন্দোলন, '৬৯ম গণ-অ্যুথান এবং ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মহান স্বাধীনতাসংগ্রানে বরেন্দ্র অঞ্চলবাসীয় ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গৌরন। | ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সময় থেকে শুরু করে সমগ্র ব্রিটিশ আমলে এবং তার পরেও রাজশাহী বিভাগ তথা যমেন্দ্র অঞ্চলে বিভিন্ন জেলায় ইতিহাস সরকারি, বেসরকারি অনেকভাবে মুচিত হয়েছে কিন্তু এ বিভাগ বা বরেন্দ্র অঞ্চলের কোনাে স্বতন্ত্র পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস আজও মুচিত হয়নি।