রুপালি পর্দায় গুপ্তচরবৃত্তি দেখতে ভালই লাগে। সিনেমায় দেখা যায়, অস্ত্রসজ্জিত একজন একাকী যােদ্ধা বৈশ্বিক যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে একটা শক্তিশালী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে, তার ছদ্মাবরণের অংশ হিসেবে। একজন সুন্দরী নারীর সঙ্গে প্রণয়ে লিপ্ত হচ্ছে কিছুক্ষণ পর পর। কিন্ত বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিশ্বের কিছু বিশাল অভ্যুত্থান ঘটেছে | যেখানে একটা অস্ত্রও দেখা যায়নি। একটা শক্তিশালী শত্রুপক্ষের সদস্যদের মধ্যে আপনি কীভাবে ভিন্নমত চারিয়ে দিতে পারবেন? আপনার দেশের সেরা স্বার্থের জন্য আপনি কীভাবে শত্রুতে পরিণত হওয়া এক বন্ধুর সঙ্গে প্রণয়ে লিপ্ত হবেন? দেয়ালের ওপাশের ঘটনাবলী জানতে আপনার সংস্থার জন্য কীভাবে ডাবল এজেন্ট শনাক্ত ও রিক্রুট করবেন? কীভাবে আপনি একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি বদলে দেবেন এক দেশকে আরেক দেশের বিরুদ্ধে লাগিয়ে? এবং আপনার দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ যখন বিপন্ন, তখন। একটা অনুকূল সরকারকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে কীভাবে ছায়াযুদ্ধ। চালাবেন?
’ইনসাইড র' বইয়ের সূচিপত্র
গুপ্তচর প্রতিষ্ঠান...........১২
যাত্রা হলাে শুরু...........১৭ ‘র’-এর গঠন প্রক্রিয়া...........২৩
গুপ্তচরবৃত্তির কলাকৌশল...........২৮
রাখঢাক ছদ্মাবরণ...........৫৬
অপারেশন বাংলাদেশ...........৬১
অপারেশন সিকিম...........৭৮
পারমাণবিক অনুমােদন...........৮৮
‘র’-এর ভাগবাটোয়ারা...........৯৩
বৈদেশিক নীতিমালা...........১০৩
গুপ্তচরবৃত্তি কি আদৌ প্রয়ােজনীয়?...........১০৮
ছক ও ছবি...........১২৪
অধ্যায় : ১
গুপ্তচর প্রতিষ্ঠান
The Institute of Spies
‘আমি গুপ্তচর, তুমি গুপ্তচর’-এ ধরণের লুকোচুরি খেলা বহুদিন যাবত পৃথিবী জুড়ে চলছে। পাতলা বা অকিঞ্চিৎকর’ আবরণে সত্য পরিচয় ঢেকে রেখে গুপ্তচরবৃত্তি চালানো ইন্টেলিজেন্স জগতে বহুল আলোচিত একটি পদ্ধতি, যদিও এ ‘ঢেকে রাখা স্বীকৃত নৈতিকতার মানদণ্ডে বড় ধরণের প্রশ্নসাপেক্ষ কোনো ব্যাপার নয়। অন্যদেশের গুপ্তচর নিজদেশে প্রায় থোলাখুলিভাবে শুধু যৎকিঞ্চিৎ পাতলা আবরণের’ (Cover, কূটনৈতিক পরিচয়) আড়ালে গুপ্তচরবৃত্তিতে নিয়োজিত থাকে। কিন্তু যখনই ঐ ‘পাতলা আবরণটি খসে যায় তখন নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, সে গ্রেপ্তার হতে চলেছে।
সকলের মনেই একটি মৌলিক প্রশ্ন জাগতে পারে “গুপ্তচর কেন?” এ ক্ষেত্রে সহজ স্বাভাবিক উত্তর হচ্ছে “টিকে থাকার জন্য”
ক। প্রাচীন যুগে গুপ্তচরবৃত্তি (Spies in Ancient Times)
টিকে থাকার সগ্রাম, পৃথিবীতে প্রাণ বা জীবন উদ্ভবের দিনের মতোই পুরানো। প্রাচীন প্রস্তর, লৌহ ও তাম্র যুগে আমরা পাথর ও ধাতব অস্ত্রের সন্ধান পাই। এ সব অস্ত্র-শস্ত্র শুধু খাদ্য সংগ্রহের জন্য নয় বরং হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ ও পরবর্তীতে সহযোগী মানুষের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্যও ব্যবহৃত হয়েছে। টিকে থাকার সংগ্রাম শুধু অস্ত্রের গুণগত মান ও তার ব্যবহারের প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল ছিল না বরং শত্রুর চরিত্র সম্পর্কে জ্ঞানের ওপর অর্থাৎ কখন, কোথায় এবং কিভাবে শত্রু আক্রমণ চালাবে এ সমস্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আবর্তিত হয়েছে।
এ ধরণের তথ্য সগ্রহের উপর টিকে থাকা ও বিজয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং তথ্যের অভাব ও দুস্প্রাপ্যতা পরাজয় ও মৃত্যু ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট। সুতরাং টিকে থাকার এ সংগ্রামে কিছু লোক নিজেদের তথ্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত করলাম যারা ‘জাসুস’ (Spy) অর্থাৎ ‘গুপ্তচর’ হিসেবে পরিচিত। এ পদ্ধতি ধীরে ধীরে উন্নতি লাভ করে এবং বর্তমানে যাকে আমরা এসপায়োনেজ’ বলে জানি সে অভিধায় ভূষিত হয়।
প্রাচীন ভারতীয় পুঁথিপত্রেও গুপ্তচরবৃত্তির বিভিন্ন কাহিনীর উপস্থিতি লক্ষণীয়। মনুর’ চরিতাবিধানে এ ব্যাপারে স্পষ্ট উল্লেখ্য যে, “রাজা বা শাসনকর্তা অবশ্যই নিজদেশে ও তার শত্রুদেশে গুপ্তচরের মাধ্যমে খবরাখবর সংগ্রহ করবেন।” বেদ, মহাভারত, রামায়ণেও এরূপ বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়; রামায়ণে বিদেশি দেশগুলোয় গুপ্তচর মারফত লক্ষ্য রাখার জন্য বলা হয়েছে। দ্রুপ মহাভারতে দুর্যোধনের গুপ্তচরবৃত্তির উদাহরণ.......
গুপ্তচরবৃত্তির উপাখ্যানঃ
ভূমিকা উৎসর্গপত্রে অমরজিৎ সিং দৌলত ও আমি উতয়ে ভারত-পাকিস্তানের গভীর ও অর্থহীন সম্পর্কের কথা তুলে ধরেছি যা হয়তাে নিরাপন ও সুন্দর হতে পারে। এটা একপ্রকার চলমান তা যে টেলিভিশন ও উগ্র দেশপ্রেমিক NRT-দের মতো মাথামােটাদের যুগে আমরা একটা অতিক্রান্ত যুগের স্মৃতিচারণ করছি। সমস্ত আশা এখনাে হারিয়ে যায়নি- আমার বড় মেয়ের কয়েকজন অন্তরঙ্গ বন্ধু আছে যারা করাচির বাসিন্দা তখন আমার মেয়ে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকে অধ্যয়নরত ছিল। মােটামুটিভাবে, তাকে দেখতে অনেকটা অপসৃত সংখ্যালঘু জনগােষ্ঠীর কোনাে এক সদস্যের মতাে এবং দুই দেশের সদস্যদের মাঝে সম্পর্ক উন্নয়নের সুযােগের জানালাটি হয়তাে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এটা মনে রাখতে হবে যে খােলা জানালা এটা দেখায় যে জানালার দিকে তাকালে যে-কেই অসীম সম্ভাবনা দেখতে পারবে যা নিয়ে এই বইয়ে অনেক লেখা হয়েছে।
যতীশ যাদব এর সেরা গোয়েন্দা প্যাকেজ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 827.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Shera Goyenda Package by Yatish Yadavis now available in boiferry for only 827.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.