ভূমিকা : উনিশ শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে প্রকৃত বাংলা ছোটগল্পের সূচনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতে। পরবর্তীতে বাঁক পর্মিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে অনেক গল্পকারের আবির্ভাব ঘটেছে। শফিক নহাের একবিংশ শতাব্দীর শূন্য দশকের একজন প্রতিশ্রুতিশীল কবি ও গল্পকার। বিৰফুল তাঁর দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ। ১৫টি গরের সন্নিবেশ ঘটেছে গ্রন্থটিতে । বিনফুলের গল্পগুলি পড়ার পরে আমার দুটি বিষয় মনে হয়েছে- এক. গল্পে সাধারণ মানুষ জায়গা করে নিয়েছে; দুই, বহি৪জীবনের গল্প অনেকখানি ঢুকিয়ে গল্প হয়ে উঠেছে অন্তর্মুখী। গল্পকার হিসেবে শফিক নহােরের স্বার্থকতা কিন্তু এখানেই। শফিক নহাের নদী বিধৌত পাবনার নাভিরগঞ্জের মানুষ । তার শৈশব এবং কৈশােরের দিনগুলি কাটে পদ্মার পাড়ে । গ্রামের মানুষের সঙ্গে শফিক নহােরের নাড়ীর যােগ। ফলে গ্রাম-বাংলার সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম তাঁর লেখার মুখ্য বিষয়। এই মানুষদের তিনি চিত্রিতও করেছেন অত্যন্ত দরদের সঙ্গে তার বিভিন্ন গল্পে । মানুষের প্রেম ও দুঃখ, সুখ ও সংগ্রাম এবং ভীবন অতিক্রমনের সমস্যা ও জটিলতা। আর সেই সমস্যা জটিলতার ঘূর্ণাবর্ত থেকে উত্তরণের একক অথবা যৌথ প্রচেষ্টা তার কলমে আশ্চর্য মমতায় রূপায়িত হয়েছে। বিষফুলের প্রায় প্রতিটি গল্পে তিনি নিরবিচ্ছিন্নভাবে লিখে গেছেন সেই একই ধারায়, সাধারণ মানুষদের নিয়ে, তাদের সংগ্রাম ও জীবন নিয়ে। সমসাময়িক গল্পপাঠকদের তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম হবে শফিক নহােরের প্রতিটি গল্প । তার প্রথম গল্পগস্থের ন্যায় বিকুল ও বহুল কাটতি প্রত্যাশা করি। ভয়েতু শফিক নহাের, জয়েতু বিষফুল । আলাউল হােসেই কবি ও গল্পকার