এক কঠিন যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে তো আপনার মৃত্যু হলো। কিন্তু এরপর কী হবে? মৃত্যুর মাধ্যমেই মূলত আমরা প্রবেশ করি আখিরাতের জগতে তথা আমাদের দ্বিতীয় জীবনে। সবার মৃত্যুযন্ত্রণা যে সমান হয়, তা কিন্তু নয়। কারো মৃত্যুযন্ত্রণা মনে হয় ঠিক যেন একটা পিঁপড়ের কামড়৷ এটা আদতে ভাগ্যের ব্যাপার। মুত্তাকি, মুমিন ছাড়া কারো এই সৌভাগ্য হয় না। তবে আমরা বলতে পারি, যে ব্যক্তি কালেমা পাঠ করে মৃত্যুবরণ করবে সে জান্নাতে যাবে। সে-ই সফলকাম ইনশাআল্লাহ। কেননা, রাসুল সা. বলেছেন,
“যার শেষ বাক্য হবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
অপরদিকে, যে ব্যক্তি দ্বীনের ব্যাপারে ছাড় দিবে, খোদ দ্বীনই তাকে ছেড়ে দিবে। কেউ যদি এমনটা ভেবে থাকে যে এখনো অনেক সময় আছে। এখন ফুর্তি করে নিই। মৃত্যুর আগে তাওবা করে নিব। তবে সে বোকার স্বর্গে বাস করছে। এই সুযোগ সে কখনো পাবে না। একজন ব্যক্তি তা-ই নিয়েই মৃত্যুবরণ করবে, যা-তে সে মজে ছিল। মৃত্যুকালে তাকে যখন কালেমা পড়তে বলা হবে, তখন সে এদিক-সেদিক মাথা নাড়বে। কারণ, মানুষের জীবনের শেষ মুহূর্তে শয়তান এসে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে তার ঈমান কেড়ে নিতে। বাদ যায় না মুমিন বান্দারাও। কিন্তু মুমিনের ঈমানের জোরের সাথে শয়তান পেরে উঠতে পারে না।
আসুন, শয়তানের ফিতনায় পড়ে নিজেকে নিঃশেষ করার আগেই সময় থাকতেই সচেতন হই। কিছুটা সময় আজ পরকালের ভাবনার জন্য ব্যয় করি ইনশাআল্লাহ।নিশ্চিত ভবিষ্যৎ তথা মৃত্যু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে “ভাবনায় পরকাল” বইটি আপনার জন্য সহায়ক হবে বলে আশা করছি।বইয়ের প্রতিটি পাতা আপনাকে আপনার গন্তব্যস্থল থেকে ঘুরিয়ে আনবে বলে আশা করি ইন শা আল্লাহ।
Bhabnay Porokal,Bhabnay Porokal in boiferry,Bhabnay Porokal buy online,Bhabnay Porokal by Morsheda Qaiyumi,ভাবনায় পরকাল,ভাবনায় পরকাল বইফেরীতে,ভাবনায় পরকাল অনলাইনে কিনুন,মোরশেদা কাইয়ুমী এর ভাবনায় পরকাল,Bhabnay Porokal Ebook,Bhabnay Porokal Ebook in BD,Bhabnay Porokal Ebook in Dhaka,Bhabnay Porokal Ebook in Bangladesh,Bhabnay Porokal Ebook in boiferry,ভাবনায় পরকাল ইবুক,ভাবনায় পরকাল ইবুক বিডি,ভাবনায় পরকাল ইবুক ঢাকায়,ভাবনায় পরকাল ইবুক বাংলাদেশে
মোরশেদা কাইয়ুমী এর ভাবনায় পরকাল এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 131.25 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Bhabnay Porokal by Morsheda Qaiyumiis now available in boiferry for only 131.25 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন |
পেপারব্যাক | ১২৮ পাতা |
প্রথম প্রকাশ |
2022-03-12 |
প্রকাশনী |
রাইয়ান প্রকাশন |
ISBN: |
|
ভাষা |
বাংলা |
ক্রেতার পর্যালোচনা
1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা
-
পর্যালোচনা লিখেছেন 'Siraajam Binte Kamal'
ধরুন, আপনি কাজের প্রেক্ষিতে কোথাও পার্মানেন্ট থাকবেন। আপনি কি হুট করেই সেখানে চলে যাবেন! নাকি আগে সেই জায়গাটা সম্পর্কে খোঁজখবর নিবেন! প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিবেন!
আচ্ছা পার্মানেন্ট না! ধরুন আপনি কোথাও ঘুরতে যাবেন। আপনি কি আগে জেনে নিবেন না কিভাবে যেতে হয়! কিভাবে গেলে সহজে যেতে পারবেন, ভ্রমণ আরামদায়ক আর আনন্দের হবে! নাকি খোঁজখবর ছাড়াই রওয়ানা দিবেন! এরপর যেন-তেন একটা হোটেলে উঠবেন, যেখানে তেমন ভালো কোনো সুবিধাই নেই। বোকারাও এমন করবে না তাই না! আরাম, আনন্দ, সুখ তো সবাই খুঁজে। হোক সেটা দুইদিনের জন্য।
আচ্ছা আপনি কি হাতে গোনা কয়েকটা টাকা নিয়েই রওয়ানা দিবেন! নাকি বাড়তি কিছু নিয়ে নিবেন, যদি বিপদে পড়েন, যদি কাজে লাগে! হ্যাঁ, সেটাও ব্যবস্থা করেই যাবেন।
মানে দুইদিন ঘুরাঘুরি বা কয়েকদিন কোথাও থাকার জন্যও আমাদের কত প্ল্যান, কত ভাবনা! কিন্তু মৃত্যুর পর আমরা চিরকাল যেখানে থাকবো, সেখানে আমরা কি সুখে থাকবো নাকি চিরটাকালই দুঃখে কাটাতে হবে, সে ব্যাপারে আমরা বেখবর।
আচ্ছা, আপনি যদি মৃত্যুর পরের জীবনের প্রত্যেকটা ধাপ নিজ অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখেন, তাহলে কেমন হয়! কিছুটা হলেও তো হৃদয়ে নাড়া দিবে। তাই না!
লেখিকা মোরশেদা কাইয়ুমী আপনাকে ঘুরিয়ে আনবে মৃত্যুর পরের জীবন থেকে তার বই “ভাবনায় পরকাল” এর মাধ্যমে, একটুও বাড়িয়ে বলছিনা। বইটি প্রকাশনায় রয়েছে রাইয়ান প্রকাশন।
বইটিতে যেমন উল্লেখ রয়েছে মৃত্যুর পরের শাস্তির বর্ণনা, তেমনি শাস্তি থেকে বাঁচার উপায়ও লেখিকা বাতলে দিয়েছেন। আরও সংযুক্ত করে দিয়েছেন সর্বদা পঠিত দু'আসমূহ।
.
▪️বই অভ্যন্তরে:
_________________
বইটিতে রয়েছে মোট পনেরোটি অধ্যায়। যা মৃত্যুর মাধ্যমে শুরু হয়ে অনন্ত সুখের বাগিচা-জান্নাতের বর্ণনার মাধ্যমে ইতি টানা হয়েছে। প্রথমেই ইসলামি পরিভাষা, চিকিৎসা শাস্ত্র, জীববিজ্ঞানের ভাষায়- মৃত্যুর সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মৃত্যু যন্ত্রণা কেমন হবে তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, কারো মৃত্যু সন্নিকটে হলে করণীয় কী-তাও উল্লিখিত হয়েছে।
বর্ণিত হয়েছে- ঈমানি মৃত্যুর আদ্যোপান্ত। মৃত্যুর পর অনন্তের পথে রূহের যাত্রা, রূহের সাথে ফেরেশতাদের করা ব্যবহার, কবরের জীবন, কবরের সওয়াল জওয়াব, কবরের শাস্তি/ শান্তি। দীর্ঘসময় কবরের জীবনের পর আসবে কেয়ামত। কেয়ামত দিবসের ভয়াবহতা, সেদিন আমাদের কেমন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে! হাশরের ধূ ধূ প্রান্তর- নেককারদের কেমন আর বদকারদের কেমন! যেদিন কোনো ছায়াই থাকবে না সেদিন কারা আরশের শীতল ছায়ায় আশ্রয় পাবে! এরপরই আসবে আমাদের হিসাব-নিকাশের পালা। কীভাবে শুরু হবে এই হিসাব, তখন আমাদের অবস্থা কেমন হবে, আমরা তখন কী নিয়ে চিন্তাফিকির করবো! আল্লাহ আমাদের কোন কোন প্রশ্ন করবেন! সেদিন কে আমাদের সাহায্য করবে! আপনজনেরা কি আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করবে!
জবাবদিহিতা শেষে আমাদের আমলনামা হস্তান্তর করা হবে আমাদের হাতে। সিসি টিভি ফুটেজ নয়, এরচেয়েও অনেক অনেক সূক্ষ্ম রিপোর্ট সেদিন আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে৷ দেখবো, বাদ যায়নি মনে মনে করে নেওয়া ভালো/খারাপ চিন্তাটাও। এরপর পুলসিরাতের পুল পার হতে হবে। পুলসিরাত আমাদের জন্য কেমন হবে! সবার জন্য কি এক হবে, নাকি আলাদা! আমার আপনজনেরা কি সেদিন আমাকে এই পুল পার হতে সাহায্য করবে! পুলসিরাতের পুল পার হয়ে গেলেও আবার এক সেতু কানতারা সেতু। এখানে আবার কী! পুলসিরাতের পুল পার হলেই তো জান্নাতী তবুও কেউ কেউ কানতারা সেতুর কাছে এসে কেনো জাহান্নামে পতিত হয়! অবশেষে কারা জান্নাতী, আর কারা জাহান্নামের ইন্ধন হয়! জাহান্নাম! সেখানে কী হবে তাদের! কেমন আচরণ করা হবে তাদের সাথে! তাদের খাবার, পানীয়, বাসস্থান, পোশাক, শাস্তি কেমন হবে! কেমন হবে তাদের আর্তনাদ! আর যদি হন জান্নাতী! কেমন হবে আপনার আপ্যায়ন! আপনাকে অভিবাদন জানানো, আপনার খাবার, পানীয়, পোশাক, বাসস্থান, দৈহিক গঠন, অনাবিল সুখের সেই জান্নাত কেমন হবে!
জান্নাতীদের বৈশিষ্ট্য কেমন! কোন কাজ আপনার আমল ভারি করবে! কোন কাজ থেকে বেঁচে থাকলে আপনি জাহান্নাম, কবরের আযাব, হাশরের দিনের কষ্টদায়ক পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে পারবেন, পুলসিরাত, কানতারা সেতু আপনার জন্য সহজ হবে, কীভাবে আপনি নবীজীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাতে হাউজে কাউসারের পানি পান করে তৃপ্ত হবেন, তা সবই আলোচিত হয়েছে বইটিতে।
.
▪️বই পাঠ্যানুভূতি:
______________________
বইয়ের ভাষা ব্যবহার খুবই প্রাঞ্জল, সহজবোধ্য, ঝরঝরে। বইটি পাঠে একঘেয়েমি আসবে না আপনার! বরং এর পরের ধাপ সম্পর্কে জানতে উদগ্রীব হয়ে যাবেন। বই পড়তে পড়তে দেখবেন, আনমনেই বলে উঠছেন- আল্লাহ আমাকে এসব শাস্তি থেকে দূরে রাখো। আমাকে তাওফিক দাও আমিও যেনো পুণ্যবানের দলের একজন হয়। পড়তে পড়তে আমিও যেনো হারিয়ে গিয়েছিলাম পরকালের প্রত্যেকটি ধাপে।
বইটি কিছুটা হলেও আপনাকে ভাবাবে। আপনার ঘুমন্ত বিবেক, ঘুণে ধরা অন্তর, শয়তানের কুমন্ত্রণায় সাড়া দেওয়া নফসকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। কিছুটা হলেও আপনার অতীত নিয়ে ভাবাবে, বর্তমান সম্পর্কে সজাগ করবে, ভবিষ্যতের ব্যাপারে সতর্ক করবে।
ইন শা আল্লাহ!
.
▪️বইটি কারা পড়বেন:
___________________________
আমি বলবো- প্রত্যেকেরই বইটি পড়া উচিত, সংগ্রহে রাখা উচিত। বেপরোয়া নফসকে রিমাইন্ডার দেওয়ার জন্য বেস্ট একটা বই হবে এটি। সচেতন মুসলিম মাত্রই বইটি সংগ্রহে রাখবে, পাঠ করবে। আর যারা অসচেতন! মৃত্যু তো আসার আগে জানিয়ে আসবে না। তাই আজই মৃত্যুর পরের জীবন নিয়ে ভাবা উচিত। মৃত্যুর প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
লেখিকার লেখায় আল্লাহ আরও বারাকাহ দিন। তার এই কাজটুকু আল্লাহ কবুল করে নিন। আমাদেরকেও আল্লাহ নেককাজ করার তাওফিক দিন।
ইন শা আল্লাহ!
বই সংশ্লিষ্ট সকলের উত্তম প্রতিদান কামনা করছি।
June 23, 2022
লেখকের জীবনী
মোরশেদা কাইয়ুমী (Morsheda Qaiyumi)
মোরশেদা কাইয়ুমী