ধর্ম পরোক্ষভাবে হয়ত দিয়েছে অনেক কিছু। কিন্তু কেড়েও নিয়েছে প্রচুর। ধর্ম মানুষের ভিতর প্রেমের উদ্বোধন ঘটিয়েছে'আবার বিদ্বেষও কম সৃষ্টি করে নি। ধর্মের সমাজ-এঁতি চিত্র তাই শুভ -অশুভের ছায়া-আলোকিত। সমসত্ম ধর্মের ভাবনাই সমগ্র মানবজাতিকে নিয়ে। কিন্তু কার্যত ও শেষ বিচারে ধম হয়ে দাঁড়িয়েছে সম্প্রদায়গত ৷ সব মানুষের জন্য কোন সর্বজনীন ধর্ম সৃষ্টি হ্য় নি। এই বাসত্মব সীমাবদ্ধতাই ধর্মের মাঙ্গলিক প্রয়াসকে ঘৃণা বিদ্বেষঈর্া-বিরোধের অনিবার্ধ পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাই দেখা যায় স্বধর্মঅনুশীলনী মানুষ সর্বমানবিক মানুষ হয়ে উঠেছে এমন দৃষ্টান্ত দূর্লভ। এই সীমাবদ্ধতার সূত্র সন্ধানই এই গ্রন্থে উদ্দেশ্য। এই উপমহাদেশের ইতিহাসের প্রেক্ষিতে ধর্ম কখন থেকে ধর্মমোহে রূপান্তরিত হল কী পরিস্থিতিতে ? ভারতবর্ষের প্রধানতম রূপ ও রূপান্তর ১ উত্তব ও ক্রমবিকাশ এপ্রচার প্রবর্তন ও. প্রসার কীভাবে? সমাজে তার প্রতিক্রিয়াই বা কী? প্রাচীন বা মধ্যযুগে নানা ধর্মের মধ্যে বিভেদ কেমন? তখন কি এই বিভেদ থেকে_ সংঘর্ষ হয়েছেঃ উপনিবেশিক পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি কেমন করে ক্রমশ বদলে গেল? সেই পরিবর্তনের কী প্রভাব পড়ল আমাদের স্থাধীনতা সংগ্রামে? স্বাধীনতা লাভের পর ধর্মনিরপেক্ষতার তত প্রতিষ্ঠা হয়েও বান্তবে কী দেখা যেল? কেন এই সংঘর্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, গণহত্যা, সন্ত্রাস এখনও অব্যাহত? সব তথ্যের ইতিহাস অনুসন্ধানও এই গ্রন্থের লক্ষ্য।