কোনও মানুষের দ্বারা কারাে ওপর সামান্যতম অত্যাচার-নির্যাতন অনুষ্ঠিত হােক কোনও ধর্ম, ধর্মবিশ্বাসী কোনও ব্যক্তি, কোনও দেশের আধুনিককালের রাষ্ট্রীয় সংবিধান এবং কোনও বিবেকবান মানুষ তা চায় না চাইতে পারে না। বরং সকলেই এ ধরনের কার্যকলাপকে একবাক্যে অতি জঘন্য ও মানবতাবিরােধী বলে ঘােষণা করে এবং তা থেকে সর্বতােভাবে দূরে থাকতে বলে। | এমতাবস্থায় দুর্বল-অসহায় মানুষের ওপর সবল ও সম্পদশালী মানুষ দ্বারা অত্যাচার-নির্যাতন চালানো যে কত বেশি অন্যায়, কত বেশি জঘন্য এবং কত বেশি মানবতাবিরােধী সেকথা খুলে বলার অপেক্ষা রাখেনা। অথচ আবহমানকাল যাবত এ অন্যায়, জঘন্য এবং মানবতাবিরােধী কাজটি পৃথিবীর সর্বত্র অব্যাহতভাবে চালু রয়েছে বা চালু রাখা হয়েছে। ফলে নির্যাতীত, লাতি ও অধিকারহারা কোটি কোটি মানুষের বুকফাটা আর্তনাদে পৃথিবীর আকাশ-বাতাস হয়ে উঠেছে ভীষণভাবে বিষাক্ত ও বেদনার্ত । | সুদূর অতীতের সেই অন্ধকার যুগে অর্থাৎ ইতিহাসের ভাষায় যে যুগকে ‘বর্বরযুগ' বলা হয়ে থাকে সেই যুগে এসব অত্যাচার নির্যাতন বা মানবতাবিরােধী কার্যকলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার পশ্চাতে কিছুটা যুক্তি হয়তাে খুঁজে পাওয়া যাবে এবং সেসব কার্যকলাপকে ‘অসভ্য বা বর্বরদিগের কার্যকলাপ' বলে উপেক্ষা করারও কিছুটা সুযােগ হয়তাে রয়েছে।