Loading...

আরিফ আজাদ এর একক বইয়ের প্যাকেজ (পেপারব্যাক)

ফ্রি শিপিং

বিষয়: প্যাকেজ
স্টক:

৩০০০.০০ ১৮০০.০০

একসাথে কেনেন

প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদঃ
বর্তমানের এই ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার যুগে নিজের সঠিক ও সত্যনিষ্ঠ মতামত প্রকাশ করা খুবই সহজ হয়ে গিয়েছে। ঠিক এই সুযোগের অপব্যবহার করে যাচ্ছে এক শ্রেনীর নাস্তিক্যমনা ব্লগাররা। ২০১৩ সালে পর থেকে যখন নাস্তিক্যহতে শুরু করে। তখন ইসলাম বিদ্বেষী মিথ্যার এই মায়াজাল ভেদ করে নতুন প্রজন্মকে ইসলামের সত্য ও সুন্দরের পথ দেখাতে যে কয়েকজন স্কলার ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন তার মধ্যে আরিফ আজাদ অন্যতম। ''সাজিদ'' চরিত্রকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে তিনি রচনা করেন সাজিদ সিরিজের সবগুলো গল্প। ''প্যারডক্সিক্যাল সাজিদ-২'' রচিত হয়েছে সেই সকল মানুষদের ইসলামবিদ্বষী যুক্তিভিত্তিক প্রতিউত্তরসরূপ যারা ইসলামবিদ্বেষী ব্লগের মাধ্যমে নষ্ট করত হাজার হাজার যুবকদের ঈমান। মন ব্লগারদের ইসলাম বিদ্বেষী,মিথ্যা ও প্রোপাগান্ডামূলক ব্লগে সোস্যালমিডিয়া গুলো সয়লাব

"প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২" বইয়ের পিছনের কভারের লেখা:
ঘুটঘুটে অন্ধকার! সেই অন্ধকার গ্রাস করে আছে সবকিছু। এমন সময় কোথা থেকে যেন ছুটে আসে এক উষ্ণ আলােক রশ্মি। সেই আলাের পরশে নিমিষেই মিলিয়ে যায় অন্ধকার রাত। প্রভাতী কিরণের মতােই চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে এই আলােক রশ্মি। যাত্রা হয় এক নতুন দিনের, নতুন সময়ের। এমনই আবহে সত্য ও পবিত্র পথের সন্ধানে দুঃসাহসিক অভিযাত্রার গল্প নিয়ে এগিয়ে যায় সাজিদ-আর অবিশ্বাসের দেয়ালে গেঁথে যায় বিশ্বাসের। কথামালা। ভেঙে পড়ে অবিশ্বাসের দেয়াল। নির্মিত হয় সত্যের ইমারত। সত্য আর শুভ্রতার সেই গল্পে আপনিও একজন অংশীদার।
‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২ বইয়ের সূচিপত্রঃ’
কুরআন কি নারীদের শস্যক্ষেত্র বলেছে?- ১৫
A Reply to Christian Missionary- ২৫
ইসলাম কি অমুসলিমদের অধিকার নিশ্চিত করে?- ৪০
কুরআনে বৈপরীত্যের সত্যাসত্য- ৫১
বনু কুরাইজা হত্যাকাণ্ড—ঘটনার পেছনের ঘটনা- ৬৩
স্যাটানিক ভার্সেস ও শয়তানের ওপরে ঈমান আনার গল্প- ৮০
রাসূলের একাধিক বিবাহের নেপথ্যে- ৯২
জান্নাতেও মদ?- ১১৩
গল্পে জল্পে ডারউইনিজম- ১২৫
কুরআন কেন আরবী ভাষায়- ১৩৬
সূর্য যাবে ডুবে- ১৫৩
সমুদ্রবিজ্ঞান- ১৬৪
লেট দেয়ার বি লাইট- ১৭৯
কাবার ঐতিহাসিক সত্যতা- ১৯৮
নিউটনের ঈশ্বর- ২১৫
পরমাণুর চেয়েও ছোট- ২২৫
লেখক-পরিচিতি- ২৩৫
বইয়ের কিছু কথাঃ
কুরআন কি নারীদের শস্যক্ষেত্র বলেছে? অনেকদিন পর শাহবাগে হঠাৎ নীলু দা’র সাথে দেখা। প্রথমে খেয়াল করিনি। পেছন থেকে এসে আমার মাথায় টোকা দিয়ে বললেন, কী খবর কবি সাহেব?’ পেছন ফিরতেই দেখি হাতে একগাদা বই নিয়ে নীলু দা দাঁড়িয়ে আছেন। চোখে মোটা ফ্রেমের কালো চশমা লাগিয়েছেন বলে দেখতে একদম স্কুল মাস্টারের মতো লাগছে। খয়েরি রঙের টি-শার্ট গায়ে। আমি খুবই অপ্রস্তুত ছিলাম। বললাম, আরে দাদাভাই যে! কেমন আছ? ‘ভালো। তুই কেমন?’ ‘ভালো।’ কুশলাদি বিনিময় করতে করতে আমরা একটি ফাঁকা স্থানে এসে দাঁড়ালাম। নীলু দা জিজ্ঞেস করল, ‘সাজিদ কোথায়?’ এই মুহূর্তে সাজিদ কোথায় তা আমিও জানি না। একটু আগেও সে আমার সাথে ছিল। আমি মোবাইলে টাকা রিচার্জ করে এসে দেখি সে উধাও। কখন থেকে ফোন করেই যাচ্ছি! যদিও জানি, সে আমার ফোন ওঠাবে না, তবুও ব্যর্থ চেষ্টা করে যাওয়া আরকি! কতক্ষণই বা এরকম কাঠফাঁটা রোদে দাঁড়িয়ে থাকা যায়? নীলু দা’র প্রশ্নের জবাবে বললাম, ‘আছে হয়তো এদিকে কোথাও।

"নবি জীবনের গল্প" বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ
প্রথম ফ্ল্যাপের কথাঃ
কালের ঘূর্ণাবর্তে সবকিছুর পালাবদল ঘটছে ৷ পরিবর্তন আসছে জীবনের রূপ ও রঙে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন চিন্তা এসে গ্রাস করছে পুরােনাে চিন্তার জগৎ। এভাবেই চলছে গ্রহণ-বর্জনের নিরন্তর চক্র কালের এই চক্র ৷ সবকিছুতে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগলেও একমাত্র ইসলাম-ই চৌদ্দশত বছর ধরে চিন্তা-চেতনা ও জ্ঞান বিকাশের অবিকৃত ও পরিপূর্ণ ধারায় রয়েছে বিরাজমান। মানবজাতির জন্য নির্দেশিকা হিসেবে নাযিল হওয়া ইসলামের বার্তাসমূহের রয়েছে সমসাময়িক ও আগামী জীবনের উপযোগিতা। ইসলামের সুমহান সেই বার্তাগুলাে-ই বিশ্বাসী মানুষের দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘সমকালীন প্রকাশন-এর পথচলা।
চৌদ্দ শ’ বছর আগের কথা। তপ্ত মরুর বুকে গড়ে উঠেছে বিশাল এক জনপদ। আধারের আস্তরণ সেখানে অনেক বেশি প্রকট। মিথ্যের বেসাতি আর পাপাচারের নগ্নোৎসবে মাতােয়ারা সবাই ৷ বিচ্যুত তারা সকলে, এক অনিবার্য সত্যের পয়গাম থেকে যা এই অঞ্চলে একদিন ফেরি করেছিলেন এক আলাের ফেরিওয়ালা ইবরাহিম আলাইহিস সালাম৷ যে আলাে প্রায় নিভুনিভু, সে আলােতে নতুন বিচ্ছুরণ নিয়ে একদিন উন্মেষ ঘটলাে এক মহামানবের যার আগমনে বদলে গিয়েছে গোটা পৃথিবী! ইতিহাসের সকল গতিপথ, সকল বাঁক যিনি ভেঙেচুরে গড়েছেন, যিনি অনিবার্য সেই সত্য পয়গামের ধারক হয়েছেন ধরণির বুকে, তিনি হলেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম৷
সেই মহামানবের মহামানবীয় গুণাবলি, যা তাকে সবার চাইতে আলাদা করেছে, যা তাকে সকলের মাঝে অনন্যসাধারণ করে তুলেছে, সেই অনন্যতার গল্প আমাদের জীবনে কতটা নিবিড়ভাবে প্রাসঙ্গিক তা জানতে ডুব দেওয়া যাক ‘নবি-জীবনের গল্পে।

"জীবন যেখানে যেমন"বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
স্বনামধন্য লেখক আরিফ আজাদ একজন আলাের ফেরিওয়ালা। বিশ্বাসের দর্শন দিয়ে লেখালেখির জগতে পা রাখা এই লেখক এবার হাজির হয়েছেন জীবনের কিছু গল্প নিয়ে। জীবনের পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গল্পগুলােকে লেখক তুলে এনেছেন তার শৈল্পিক রং-তুলিতে। আলাে থেকে স্ফুরিত হওয়া সেই অসাধারণ গল্পগুলাে যেমন জীবনের কথা বলে, তেমনই জীবনে রেখে যায় বিশ্বাসী মূল্যবােধের গভীর এক ছাপ।
জীবন যেখানে যেমন নিরেট গল্পের একটি বই। তবে কেবল গল্পের বই বলে একে মূল্যায়নের সুযােগ নেই। গল্পের ফাঁকে ফাঁকে লেখক তার পাঠকদের জন্য রেখে গিয়েছেন চিন্তার কিছু খােরাক। পাঠকের ভাবুক মন যদি সেগুলােয় নিবিষ্ট হয়, আমরা আশা করতে পারি, গল্পের পাশাপাশি তারা জীবনের কিছু উপকারী পাঠ কুড়িয়ে নিতে সক্ষম হবে। লেখক আরিফ আজাদ তার লেখনীশক্তির মুন্সিয়ানায়। গল্পগুলােকে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। এ কারণে প্রতিটি গল্পই হয়ে উঠেছে সুখপাঠের এক বিশাল আধার। এ বইতে পাঠকসমাজ নতুন এক আরিফ আজাদকে আবিষ্কার করবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস।
পাঠকদের জ্ঞাতার্থে বলতে হচ্ছে, লেখক নিজস্ব বানান ও ভাষারীতি অনুসরণ করে থাকেন। ফলে বহুল ব্যবহৃত কিছু শব্দের অচেনা রূপ দেখে তারা বিভ্রান্ত হবেন না—এই কামনা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্য আর সুন্দরের পথে অবিচল রাখুন। আমিন।

মা, মা, মা এবং বাবা
এই পৃথিবীতে যারা আমাদের সবচেয়ে আপনজন, যাদের ঋণ কোনভাবেই শোধ করা সম্ভব না তাঁরা হলেন আমাদের মা ও বাবা। সর্বাবস্থায় প্রতিটি সন্তানের উচিত তাদের সেবা করা। মা-বাবার অবাধ্যতার ফলাফল, তাদের বাধ্যগত থাকার পুরষ্কার, তাদের প্রতি আমাদের ব্যবহার কীরূপ হওয়া উচিত সে সব কিছু নিয়ে চমৎকার কিছু গল্পের সংকলন এই বইটি।

সূচিপত্রঃ
জীবন থেকে নেওয়া
মায়ের চিঠি- ১৭
সালেম- ২১
বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসুন- ৩১
এই ঋণ শোধ হবার নয়- ৩৩
উপহার- ৩৭
মায়ের চোখে পৃথিবী- ৪১
ত্যাগ ও বিনিময়- ৪৫
তবুও সৌভাগ্যবান- ৪৯
রেস্টুরেন্টে একদিন- ৫৫
মায়ের মিথ্যে বলা- ৫৭
অবহেলা- ৬১
অনুশোচনার গল্প: হারিয়ে ফেলার পরে- ৬৩
লোভের তাড়না- ৬৯
অনুশোচনার গল্প: রক্তাক্ত আলেক্সেন্ড্রিয়া- ৭৫
মাকে পাওয়ার মামলা- ৮১
আত্মত্যাগ- ৮৫
উপলব্ধির গল্প: আর কি পাবো তারে!- ৮৭
কিছু স্মৃতি, কিছু শূন্যতা- ৯১
পুরস্কার- ৯৫
স্বঃপ্ন, দুঃস্বপ্ন- ৯৭
আনুগত্যের গল্প: সঠিক পথের দিশা- ১০৩
মায়ের অভিশাপ- ১০৫
এক বৃদ্ধার ইসলামগ্রহণ- ১০৭
শোচনীয় পরিণতি- ১০৯
ফযল বিন ইয়াহ্ইয়া- ১১১
ইবনু তাইমিয়া (আ.) এর চিঠি- ১১৩
ধনী লোকের মানহানি- ১১৫
সেতুবন্ধন- ১১৯
অশুভ পরিণাম- ১২৩
আনুগত্যের গল্প: মৃত্যু থেকে রক্ষা- ১২৯
অবাধ্যতা- ১৩১
উপলব্ধির গল্প: অবুঝ শিশুর ভাবনা- ১৩৫
বাবা-মায়ের স্মৃতি- ১৩৭
সিলাহ রেহমি- ১৪৩
সহানুভূতির সত্য রূপ- ১৪৯
কুর’আন ও হাদিস থেকে নেওয়া
ইবরাহীম (আ) এর নম্রতা- ১৫৫
জুরাইজের ঘটনা- ১৫৭
‘উমার (র:) এর কান্না- ১৬১
পাথর অপসারণ- ১৬৫
বাবা-মায়ের দু’আ- ১৬৭
উত্তম আচরণ ও সম্মান- ১৭০
অমুসলিম পিতা-মাতার সাথে আচরণ- ১৭১
দীর্ঘায়ু ও সম্পদ লাভ- ১৭৩
এক ইয়েমেনীর ঘটনা- ১৭৪

“প্রত্যাবর্তন ” বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ
মোহ আর মিথ্যের মধ্য দিয়ে পথ চলতে চলতে একটা সময় আত্নাগুলো নিমজ্জিত হয় অন্ধকারের অতল গহ্বরে। সেই ভয়ার্ত অন্ধকার কূপ থেকে কেউ আলোর দেখা পায়, কেউ পায় না। কেউ নিজের আত্নাকে পরিশুদ্ধ করে নেওয়ার সুযোগ লুফে নেয়, কেউ নিজেকে হারিয়ে ফেলে অতল থেকে অতলে। যারা ফিরে আসে, কেমন হয় তাদের গল্পগুলো? সে রকম একঝাঁক পরিশুদ্ধ আত্নার গল্প নিয়েই 'প্রত্যাবর্তন'।
সূচিপত্রঃ
প্রথম অধ্যায়ঃ আলোর পথে যাত্রা
সরল পথের খোঁজে- ১৩
টাইট্রেশন- ২০
এবং, ফিরেছি আমিও- ৩০
নীড়ে ফেরার গল্প- ৩৩
পথিকের পথচলা- ৪১
আলোয় ভূবন ভরা- ৪৯
সেই সব দিনরাত্রি- ৫৩
অন্ধের যাত্রা সমীকরণ- ৬১
আপনারে খুঁজিয়া বেড়াই- ৬৭
পথ ও পথিক- ৭৭
সেই সময়ের উপাখ্যান- ৮৬
সংশয় থেকে বিশ্বাস: এক পথিকের গল্প- ৯২
আমি এবং আমাদের গল্প- ১০৪
গল্পটা হাসি-কান্নার- ১০৮
ফিরে পাওয়া গুপ্তধন- ১১৩
চলতে ফিরতে যেমন দেখেছি- ১২৪
দ্য আগলি ডাকলিং- ১২৭
প্রত্যাবর্তন- ১৩২
ফিরে আসার গল্প- ১৩৭
আমার মায়ের বিয়ের প্রস্তাব- ১৫৭
চলতে চলতে আলোর দেখা- ১৬১
দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ স্রষ্টার সন্ধানে
সেই মিছিলের দেখা- ১৭৩
শুদ্ধ আলোর প্রথম প্রহর- ১৮২
যেমন ছিলাম, যেমন আছি- ১৮৯
ফেরার কথাই ছিলো- ২০১
সরল পথের খোঁজে
মোহাম্মদ রুহুল আমিন, এমবিবিএস, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ দীনের বাইরে বড় হওয়া একজন কিশোর যেভাবে, যে পরিবেশে বেড়ে ওঠে, আমার বেড়ে ওঠার গল্পগুলোও ঠিক সেরকম৷ খুব ডানপিটে স্বভাবের ছিলাম। মানুষকে কষ্ট দেওয়া, পশুপাখিকে কষ্ট দেওয়া, বন্ধুদের সাথে মিলে অন্যের বাগানের আম চুরি করে খাওয়া, আব্বুর পকেটের টাকা চুরি করা, আত্মীয়-স্বজনের সাথে খারাপ আচরণ করা, স্কুল পালানো, সিনেমা হলে যাওয়া, পূজা-মণ্ডপে যাওয়া ইত্যাদি ছিল আমার জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক কাজ। বাড়িতে নামাজ পড়তেন শুধু আমার মা। বাবা নামাজ পড়তেন না, শুধু পড়াশোনার জন্যে বকাঝকা করতেন। মা যদিও নামাজের জন্যে হালকা বকাবকি করতেন; কিন্তু দেখা যেত, জুমার দিন জুমার নামাজেও আমি যেতে চাইতাম না। নামাজে যাওয়ার কথা বলে অন্যদিকে চলে যেতাম। আমি ছিলাম প্রচণ্ড রকম সিনেমার পোঁকা। তখন আমাদের বাড়িতে টেলিভিশন ছিল না। পাশের বাড়িতে সিনেমা দেখতে দেখতেই আমার বেশিরভাগ সময় কাটত। আমার এমন ডানপিটে স্বভাবে মা আমার উপর চরম বিরক্ত হয়ে উঠলেন। অবশ্য বিরক্ত হবারই কথা। বাবা আমাকে কথা শুনাতেন কম, আমার কৃতকর্মের সমস্ত ঝাল তিনি মায়ের উপরেই ঝাড়তেন। মায়ের আস্কারাতেই আমি মাথায় চড়েছি, নষ্ট হয়ে গেছি, কু-পথে চলে গেছি—ইত্যাদি নানান কথার বাণে জর্জরিত হতেন আমার মা। মা একদিন করলেন কী, আমাকে পাশের বাড়ি থেকে ধরে বাসায় নিয়ে….

এবার ভিন্ন কিছু হোক
ভোরের শিশির, শীতের কুয়াশা, রাতের নিস্তব্ধতা, পাখিদের কলরব, নদীর অবিরাম বয়ে চলা, সাগরের বুকে উথাল-পাতাল ঢেউ—সবখানে সবকিছু ঠিকঠাক, কেবল আমাদের জীবনের কোথাও যেন এক নীরব ছন্দপতন। সেখানে সুর, তাল আর লয়ের কোনো হিশেব মিলছে না। প্রতিদিন একটা একঘেয়েমি চক্রে কেটে যাচ্ছে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত। মাঝে মাঝে হাপিত্যেশ লাগে—এভাবে একটা জীবন চলতে পারে? কী পাওয়ার বদলে কী হারাচ্ছি জীবন থেকে? এভাবেই কি ক্ষয়ে যাওয়ার কথা আস্ত একটা জীবন?
প্রশ্নগুলো অনেকের, কিন্তু উত্তরগুলো যেন কোথাও বিন্যস্ত করা নেই। জীবনে একটা বদল প্রয়োজন, একটা পরিবর্তন ভীষণ জরুরি—তা আমরা জানি। কিন্তু কীভাবে শুরু করবো? ঠিক কোথা থেকে যাত্রা করবো নতুন এক দিনের? এইসব প্রশ্নের উত্তর আর জীবনের এক নতুন উপাখ্যান রচনায় ‘এবার ভিন্ন কিছু হোক’ বইটি হতে পারে আপনার নিত্যদিনের সাথি।

কুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ
পাঠকপ্রিয় লেখক আরিফ আজাদ এ বইটিতে জীবনের সাথে কুরআনের সম্পর্কের বুনন তৈরির চেষ্টা করেছেন। কুরআন কীভাবে আমাদের জীবনের কথা বলে, কীভাবে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যায় জীবনের অনুষঙ্গে, কীসব রত্নের আকর কুরআন আমাদের সামনে তুলে ধরে—সেসবের এক জীবনঘনিষ্ঠ রচনা 'কুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ'।

বেলা ফুরাবার আগে
জীবনের কতগুলো বসন্ত পার হয়ে গেছে, ম্লান হয়ে গেছে কতশত কাকডাকা ভোর। আবছা স্মৃতির মতো, জীবন আস্তে আস্তে আচ্ছন্ন হয় ধূসরতায়। সময়ের সরল সংখ্যা কমে আসছে ধীরে ধীরে। সব পাখি নীড়ে ফেরে। সব নদী ফিরে যায় মোহনায়। তবু কিছু মানুষ, ভ্রান্তির মায়াজাল ভেদ করে, ফিরে আসতে চায় না। মোহ আর মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে তারা ছুটতে পারে না আদিগন্ত অনন্তের পথে।
তবু ফিরতে হবে। বেলা ফুরাবার আগে, ঠিক ঠিক চিনে নিতে হবে পথ। সন্ধ্যের ঘনঘোর আঁধারের অতলতায় ডুবে যাবার আগে, জীবন তরিটিকে ভেড়াতে হবে কূলে। রাতেরও শেষ আছে। ক্লান্তিরও আছে অবসান। জীবনের জড়তার জোয়ার ছেড়ে, নতুন করে একবার, শুধু একবার জ্বলে উঠতে হবে। নিজেকে আরেকবার ঝালিয়ে নিতে আজ তবে ডুব দেওয়া যাক...

‘আরজ আলী সমীপে’ বইয়ের সূচিপত্রঃ
ভূমিকার বিশ্লেষণ- ১৫
* আত্নাবিষয়ক- ৩৩
* ঈশ্বর সংক্রান্ত- ৪২
* পরকাল বিষয়ক- ৭৪
* ধর্ম সংক্রান্ত- ৮৫
* প্রকৃতি বিষয়ক- ১০৩
* বিবিধ- ১১৭
* শেষ কথা- ১৪৭
* লেখক পরিচিতি- ১৪৯
ভূমিকার বিশ্লেষণ আরজ আলী মাতুব্বর উনার লেখা সত্যের সন্ধান বইয়ের শুরুর দিকে বলেছেন,
“জগতে এমন অনেক বিষয় আছে, যেসব বিষয়ে দর্শন, বিজ্ঞান ও ধর্ম এক কথা বলে না।” প্রথমত, জগতের কোন কোন বিষয়ে দর্শন, বিজ্ঞান ও ধর্ম এক কথা বলে না তা আরজ আলী সাহেব উল্লেখ করেননি। দ্বিতীয়ত, জগতের কিছু কিছু বিষয়ে যে দর্শন, বিজ্ঞান আর ধর্ম এক কথা বলে না তা আসলে সত্য। সত্য এ কারণে যে, জগতের সকল বিষয়ে সমানভাবে দর্শন, বিজ্ঞান আর ধর্মকে কথা বলতে হয় না। আরজ আলী সাহেব যে ভুলটা শুরুতেই করে বসেছেন তা হলো, তিনি দর্শন, বিজ্ঞান আর ধর্মকে এক করে ফেলেছেন। অথচ, এ কথা স্বীকার্য যে, এই তিনটি বিষয়ের আলোচ্য বস্তু ভিন্ন ভিন্ন।
পদার্থ কী কী দিয়ে গঠিত তা বিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। ধর্মে পদার্থের গঠনের সরাসরি কোনো পাঠ নেই। আবার, ব্যভিচার করলে কেন শাস্তি পাওয়া উচিত সে পাঠ ধর্মের, কোনো কোনো দর্শনে কিছু বলা থাকলেও, বিজ্ঞানে তার উত্তর নেই…..

Arif Azader akok boier package,আরিফ আজাদ এর একক বইয়ের প্যাকেজ,আরিফ আজাদ এর একক বইয়ের প্যাকেজ বইফেরীতে,আরিফ আজাদ এর একক বইয়ের প্যাকেজ অনলাইনে কিনুন,আরিফ আজাদ এর আরিফ আজাদ এর একক বইয়ের প্যাকেজ,আরিফ আজাদ এর একক বইয়ের প্যাকেজ ইবুক,আরিফ আজাদ এর একক বইয়ের প্যাকেজ ইবুক বিডি,আরিফ আজাদ এর একক বইয়ের প্যাকেজ ইবুক ঢাকায়,আরিফ আজাদ এর একক বইয়ের প্যাকেজ ইবুক বাংলাদেশে,Arif Azader akok boier package in boiferry,Arif Azader akok boier package buy online,Arif Azader akok boier package by null,Arif Azader akok boier package Ebook,Arif Azader akok boier package Ebook in BD,Arif Azader akok boier package Ebook in Dhaka,Arif Azader akok boier package Ebook in Bangladesh,Arif Azader akok boier package Ebook in boiferry
আরিফ আজাদ এর আরিফ আজাদ এর একক বইয়ের প্যাকেজ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Arif Azader akok boier package by Arif Azadis now available in boiferry for only TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন পেপারব্যাক | ১৮০২ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2023-01-24
প্রকাশনী প্যাকেজ বুকস্
ISBN:
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

আরিফ আজাদ
লেখকের জীবনী
আরিফ আজাদ (Arif Azad)

আরিফ আজাদ একজন জীবন্ত আলোকবর্তিকা- লেখক আরিফ আজাদকে বর্ণনা করতে গিয়ে একথাই বলেছেন ডঃ শামসুল আরেফিন। গার্ডিয়ান প্রকাশনী আরিফ আজাদের পরিচয় দিতে গিয়ে লিখেছে, “তিনি বিশ্বাস নিয়ে লেখেন, অবিশ্বাসের আয়না চূর্ণবিচুর্ণ করেন।” আরিফ আজাদ এর বই মানেই একুশে বইমেলায় বেস্ট সেলার, এতটাই জনপ্রিয় এ লেখক। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে সবচেয়ে আলোড়ন তোলা লেখকদের একজন আরিফ আজাদ। ১৯৯০ সালের ৭ই জানুয়ারি চট্টগ্রামে জন্ম নেয়া এ লেখক মাধ্যমিক শিক্ষাজীবন শেষ করে চট্টগ্রাম জিলা স্কুলে। একটি সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখানে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন। লেখালেখির ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আরিফ আজাদ এর বই সমূহ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তার প্রথম বই ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশ পায়। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদ বিভিন্ন কথোপকথনের মধ্যে তার নাস্তিক বন্ধুর অবিশ্বাসকে বিজ্ঞানসম্মত নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে খণ্ডন করে। আর এসব কথোপকথনের মধ্য দিয়েই বইটিতে অবিশ্বাসীদের অনেক যুক্তি খণ্ডন করেছেন লেখক। বইটি প্রকাশের পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এটি ইংরেজি ও অসমীয়া ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। ২০১৯ সালের একুশে বইমেলায় ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ - ২’ প্রকাশিত হয়ে এবং এটিও বেস্টসেলারে পরিণত হয়। সাজিদ সিরিজ ছাড়াও আরিফ আজাদ এর বই সমগ্রতে আছে ‘আরজ আলী সমীপে’ এবং ‘সত্যকথন’ (সহলেখক) এর মতো তুমুল জনপ্রিয় বই।

সংশ্লিষ্ট বই