জীবনের ঘুর্ণিপাকে আমরা হারিয়ে বসেছি আমাদের মূল্যবান সময়।কখনো বা আনমনে বসে থাকি,আবার কখনো ফেসবুকিং করে সময় কাটিয়ে দেই।মাঝে মাঝে হতাশ হয়ে পড়ি,কোনো এক অজানা কারণে।আমরা যখন অসুস্থ হই,তখন হকচকিয়ে যাই।কখনো বা অগাধ গুনাহে নিমজ্জিত হয়ে যাই।
দেখা গেছে মসজিদ পান থেকে সুরেলা কণ্ঠে আযানের ধ্বনি মুক্ত বাতাসে ভেসে আসছে কানে,অথচ আমরা তখন নিজেদের কাজে ব্যস্ত বা ফোন টিপায় মগ্ন হয়ে যাই৷কি আশ্চর্য! তাইনা?আসলে আমরা কি কখনো চিন্তা করি—আমাদের হাতের সময় যে স্বল্প।যে কোনো মহূর্তে মৃত্যু আসতে পারে!
দুনিয়া থেকে যদি জান্নাতে যাওয়ার পথটাই তৈরি না করতে পারি,তাহলে এ জীবনের মূল্য কী?
রবের নিকটে আমাদের ভুলের স্বীকৃতিগুলো তুলে ধরার সময় কি এখনো হয়নি আমাদের?
জীবনকে পরিবর্তন করার — গুনাহ থেকে বের হয়ে আসার মস্ত এক পরিকল্পনায় এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
কোরআন সুন্নাহর আলোকে মৃত্যু ও তার পরে
মুফতি মাহবুবুর রহমান সাহেব (দাঃবাঃ) এর অভিমতঃ— এ জগতে যতগুলো অকাট্য বাস্তবতা রয়েছে,তন্মধ্যে সবচে অকাট্য বাস্তব হচ্ছে মৃত্যু।পৃথিবীর কোন মানব অদ্যাবধি যাকে অস্বীকার করতে পারেনি।কিন্তু দুঃখজনক সত্য হচ্ছে,এই মৃত্যু যতখানি বাস্তব,মৃত্যুর ব্যাপারে মানুষের উদাসীনতা একটু বেশিই।তাইতো সমাজে অশ্লীলতা-বেলেল্লাপনা বেড়ে চলছে আশঙ্কাজনক ভাবে।চারিত্রিক এই অধঃপতনের অন্যতম বৃহত্তম কারণ,মৃত্যুর চিন্তা অন্তরে লালন না করা।আখিরাত নিয়ে উদাসীন থাকা।
মৃত্যুর উপর রচিত বহু গ্রন্থের মাঝে,আমার অত্যন্ত প্রিয় ছাত্র মাওলানা আরিফ বিল্লাহ মাদারীপুরী রচিত 'মৃত্যু ও তার পরে' গ্রন্থের অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্যাবলী রয়েছে।প্রশ্নোত্তর আকারে খুব সহজ ও সাবলীলভাবে সাজানো হয়েছে।আশা করি,পাঠক বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি পড়ে এব্যাপারে যথেষ্ট উপকৃত হতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
গ্রন্থটির লেখককে আল্লাহ তা'আলা অনেক জাযা দান করুন।আমিন।
আল্লাহকে যে পাইতে চায়
আমাদের দৃশ্যমান দুনিয়াকে সাজানোর কতো আয়োজন চলে জীবনভর। কিন্তু মনের দুনিয়া সাজানোর আয়োজন কোথায়? আমাদের হৃদয় ও মস্তিষ্কে যদি জীবানু ও মলিনতা থাকে, কীভাবে সুস্থ হবো আমরা? কীভাবে হবো পরিশুদ্ধ? মস্তিষ্কের জীবানু ও মলিনতাকে চিনিয়ে ও সনাক্ত করে দেয় এ বই।দেখিয়ে দেয় জ্ঞান ও ভাবনার দুনিয়াকে স্বাধীন ও পরিচ্ছন্ন করার দিশা। তেমনই হৃদয়ের শক্তি ও সবলতার পথ দেখায়, মুক্তি ও কল্যাণের দিকনির্দেশ করে। সেটা আল্লাহর প্রেমময় পবিত্রতার দিকে, তার সন্তোষের গন্তব্যে। বিদ্যুr চমকের মতো চিন্তারাজী খেলে যায় এ বইয়ের পাতায় পাতায়। আমাদের সামনে তুলে ধরে দীপ্তিমান মশাল। কিন্তু যাদের চোখ নেই, তাদের সামনে মশাল জ্বললেও কী লাভ? এ বই তাই আমাদের চোখ খুলে দিতে চায়। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের মনের তলায় লুকিয়ে থাকা গোপন অন্ধকার সমূহকেও তাড়াতে থাকে সজাগ দৃষ্টির প্রভায় ... আল্লাহকে যে পাইতে চায় বইটি আল্লাহকে পাবার জন্য আমাদের হৃদয়বৃত্তি ও বৃদ্ধিবৃত্তিকে প্রস্তুত করার এক গাইডবুক !
কুরআন সুন্নাহ আলোকে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ
ভূমিকা :
আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন সপ্তাকাশ এবং তাদের অনুরূপ অসংখ্য জমিন। উভয়ের মাঝখানে তাঁর নির্দেশ জারি হয়, যাতে তোমরা বুঝতে পারো যে, আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান এবং তাঁর জ্ঞান সবকিছুকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে।
[সুরা তালাক্ব, আয়াত-১২]
আল্লাহ সার্বভৌম কর্তৃত্বের অধিকারী একচ্ছত্র শাসক। তিনি নিজের ইচ্ছানুযায়ী যে কোন হুকুম দেয়ার পূর্ণ ইখতিয়ার রাখেন। তাঁর বিধানের ব্যাপারে আপত্তি জানানোর অধিকার কোন মানুষের নেই। তাঁর সমস্ত বিধান জ্ঞান, প্রজ্ঞা, যুক্তি, ন্যায়নীতি ও কল্যাণের ভিত্তিতেই প্রতিষ্ঠিত। তিনি যেটাকে হালাল বলেছেন তা হালাল আর যেটাকে হারাম বলেছেন তা হারাম। তা মেনে নেয়াই কল্যাণ।
কুরআনুল কারিমে বলা হয়েছে,
'নিশ্চয় আল্লাহ যা ইচ্ছা আদেশ করেন।'
[সুরা মায়েদা, আয়াত-১]
'আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবই তাঁর ; আর সকলেই তাঁর অনুগত।'
[ সুরা রূম, আয়াত- ২৬]
'আল্লাহ আদেশ করেন, তাঁর আদেশ উল্টে দেয়ার কেউ নেই। আর তিনি হিসাব গ্রহণে খুবই তৎপর।'
[সুরা রা'দ, আয়াত- ৪১]
'জেনে রেখো, সৃজন ও আদেশ তাঁরই ; যিনি মহিমাময় বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ।'
[ সুরা আ'রাফ, আয়াত- ৫৪]
'আর যে মুখ ফিরিয়ে নেয়( সে জেনে রাখুক যে) নিশ্চয় আল্লাহ অভাবমুক্ত ও প্রশংসিত।'
[ সুরা হাদীদ, আয়াত-২৪]
'তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন কষ্ট রাখেননি।'
[ সুরা হজ্জ, আয়াত-৭৮]
আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, দ্বীন খুব সহজ, কেউ দ্বীনের ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করলে সে অবশ্যই পরাজিত হবে। সর্বদা মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো, তাঁর নৈকট্য লাভ করো এবং সুসংবাদ গ্রহণ করো। আর সকাল-সন্ধ্যা ও শেষ রাতের আমল দ্বারা স্বীয় কাজে সাহায্য চাও।'
[ সহিহ বুখারি- হা/৩৯]
'মানুষের হিসাব-নিকাশের সময় আসন্ন, কিন্তু তারা উদাসিনতার দরুন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যখনই তাদের নিকট তাদের প্রতিপালকের কোন নতুন উপদেশ আসে, তখন তারা সেটা কৌতুকাচ্ছলে শ্রবণ করে ; আর তাদের অন্তর থাকে অমনোযোগী।'
[সুরা আম্বিয়া, আয়াত ১-৩]
'যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ হতে বিমুখ হয়ে যায়, আমি তার জন্য এক শয়তান নিয়োজিত করি ; অতঃপর সে-ই হয় তার সহচর।'
[সুরা যুখরুফ, আয়াত- ৩৬]
'আর যে ব্যক্তি এখানে অন্ধ, সে আখিরাতেও অন্ধ এবং অধিকতর পথভ্রষ্ট।'
[সুরা বনী ইসরাঈল, আয়াত-৭২]
' বলো, অপবিত্র ও পবিত্র সমান নয় ; যদিও মন্দের আধিক্য তোমাকে চমৎকৃত করে। সুতরাং বোধশক্তিসম্পন্নরা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যেন তোমরা সফলকাম হতে পারো।' [সুরা মায়েদা, আয়াত-১০০]
কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবন সাথীর আত্মকথন
জীবন সাথির আত্মকথন' গ্রন্থের সার-সংক্ষেপ : আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা নারী-পুরুষ সৃষ্টি করে তাদের প্রত্যেকের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন পৃথক পৃথক জীবন ব্যবস্থা। আর নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনে পৃথিবীর মানুষ পেয়েছে আলোর সন্ধান, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল জীবনব্যবস্থা। বিশেষ করে নারী জাতি মুক্তি পেয়েছে চরম লাঞ্ছিত ও অপমানের জীবন থেকে।ইসলাম নারীকে দিয়েছে সঠিক অধিকার ও মর্যাদা। ইসলাম পূর্ব যুগে নারীদের কোন মর্যাদা ছিল না। পিতামাতা কন্যা সন্তান জন্মে অপমান বোধ করতো। তাই কন্যা সন্তান জন্মের সাথে সাথে জীবন্ত কবর দিতো। অর্থাৎ নারী মানেই অপদার্থ ও মূল্যহীন এক ভোগের সামগ্রী। সেই অবহেলিত লাঞ্ছিত নারী জাতিকে সমাজের উচ্চাসনে বসিয়েছে ইসলাম। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেছেন, ' জীবন্ত প্রোথিত কন্যা সন্তানকে ক্বিয়ামতের দিন জিজ্ঞেস করা হবে কোন অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিল।' [সুরা তাকবীর, আয়াত নং ৭-৮] নারীদের শরীয়াতের জ্ঞানার্জন করা ফরজ। যাতে নিজের এবং স্বামী- সংসারের গুরুত্ব বুঝে পরকালমূখী এক কল্যাণময় জীবন উপহার দিয়ে সুখময় জান্নাতের অধিকারী হতে পারে। কুরআনুল কারিমের আয়াত এবং সহিহ হাদিসের প্রমাণিক দলিলের ভিত্তিতে সরল- সহজ ,প্রাঞ্জল ভাষায় সংসার জীবনের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে গ্রন্থটিতে। যেমন- ১৪ জন মাহরাম পুরুষ-মহিলাদের বিবরণ, মুক্তির সহজ পথ, ভালো নারীর পরিচিতি, স্বামীর প্রতি হক্ব, নারীদের সৎ গুণাবলী,আদব-কায়দা,সালাত আদায়ে পোষাক-পরিচ্ছদ, জান্নাতি-জাহান্নামী নারীর বর্ণনা, বিয়ে-শাদির সুন্নাতরীতি, মোহরানা- বাসর ঘর ও কনে সাজানো, ভ্রু প্লাক, নেল পালিশ লাগানোর বিবরণ, সন্তান গ্রহণ এবং পর্দাসহ নানা বিষয়। রাসূলুল্লাহ( সাঃ) বলেন, 'সম্পূর্ণ দুনিয়া হচ্ছে সম্পদ। আর দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে সতী-সাধবী নারী।' [বাংলা মিশকাত, হাদিস নং ২৯৪৯] আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন, 'অতএব যারা সতী-সাধবী স্ত্রী লোক তারা তাদের স্বামীদের ব্যাপারে আল্লাহর হুকুম পালনকারীণী এবং স্বামীদের অনুপস্থিতিতে গোপনীয় বিষয়গুলির হিফাযতকারীণী হয়ে থাকে। কেননা, আল্লাহ নিজেই তার হিফাযত করেন।' [সুরা নিসা, আয়াত নং ৩৪] সুরা তাহরীমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ভালো মহিলা হওয়ার জন্য ছয়টি গুণের কথা উল্লেখ করেছেন। ১.মুসলিম হওয়া। ২. মু'মিন হওয়া। ৩. আনুগত্যশীল হওয়া।( আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং স্বামীর আনুগত্যকে বুঝানো হয়েছে) ৪.তাওবাকারী হওয়া। ৫.ইবাদাতকারী হওয়া। ৬. সিয়াম পালনকারী হওয়া। [সুরা তাহরীম, আয়াত নং ৫] নারীরা রাস্তার মধ্যস্থল দিয়ে এদিক সেদিক তাকিয়ে পথ চলবে না। দৃষ্টি নত করে রাস্তার এক পাশ দিয়ে পথ চলবে। হাদিসে এসেছে, ' নারীরা রাস্তার মধ্য দিয়ে চলাচল করবে না।' [সিলসিলা সহিহা, হাদিস নং ৮৫৬] এভাবে ধারাবাহিকভাবে আলোচনার মধ্য দিয়ে বইটির সমাপ্তি হয়েছে। প্রতিটি ব্যক্তির সংসার জীবনে নারীদের জন্য গ্রন্থটি খুবই প্রয়োজন
মোহাম্মদ আশিক এর অনুজ প্রকাশনের সেরা ৫টি বই এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 1009.14 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Anuj Prokashoner Sera 5Ti Boi by Mohammad Ashiqis now available in boiferry for only 1009.14 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.