বেশ কয়েক বছর পর আবার বই লেখার কাজে হাত দিলাম। বেশ কঠিন লাগছে। নিয়মিত না লিখলে যা হয়। ফরমায়েশি লেখকদের এই একটা অসুবিধা। যখন তখন লেখা হয়ে ওঠে না। কিন্তু ভ্রমণে বের হতে এখন আর তেমন বড় ধরনের ঝামেলা। পােহাতে হয় না। কিন্তু লিখতে বললে কষ্ট লাগে। এখন ভ্রমণের আগে বেশ প্রস্তুতি নিয়ে বের হই। যেখানে যাব সেইসব দেশের ওপর লেখা, বই, গাইড ইত্যাদি প্রথমেই সংগ্রহ করি। আধুনিক যুগে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট আমাদের জীবনযাত্রা অনেক সহজ করে দিয়েছে। এছাড়া আমি বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ভলান্টারি বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, কিছু ব্যাকপ্যাকারস কমিউনিটির সদস্য। এ সমস্ত কারণে এখন বেশ আটঘাট বেঁধেই ভ্রমণে নামি। কোনও দেশে যাবার আগে সেইসব দেশে আগেই বন্ধু তৈরি হয়ে যায়। আর বরাবরের মতন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, জার্মান কালচারাল সেন্টার, ইরানি কালচারাল সেন্টার, ঢাকা সাইক্লিং ক্লাব, বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপানশন ফোরাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিশেষ করে সার্কের পরিচালক নজরুল ইসলাম (বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাই-কমিশনে কর্মরত), প্রবাসী বাংলাদেশী, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন—সকলের সাহায্য ও সহযােগিতা আমার ভ্রমণকে করেছে নিরাপদ ও সহজতর। তাদের সকলকে ধন্যবাদ।