লেখক পরিচিতি আব্দুল্লাহ আল মুনীর। নামের মতোই প্রোজ্বল ও প্রদীপ্ত একজন মানুষ। সকালের সূর্যকে সাক্ষী করে জন্মেছিলেন যমুনার পাড়-ঘেঁষা টাঙ্গাইলে। এক নিভৃত গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে। সূর্য যেমন বিতাড়িত করে রাতের আঁধার, তেমনি নিজের আলোয় উদ্ভাসিত করতে চান চারিপাশের ছোট্ট পৃথিবীকে। তিনি একজন প্রতিভাবান তরুণ লেখক ও অনুবাদক। সাহিত্যের সাধনায় নিজেকে অকাতরে বিলীয়ে দিচ্ছেন। কাগজের বিরান বুকে শব্দের মালা গেঁথে বাক্যের ফুল ফোটাচ্ছেন। শব্দ-বাক্যের এই মায়ার জগতে তাঁর রয়েছে এক অনন্য-সুনিপুণ মুন্সিয়ানা। একের পর এক সৃষ্টকর্মের মধ্য দিয়ে মহাকালের ক্যানভাসে এঁকে যাচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত পদরেখা। যা অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় হয়ে থাকবে এ পথের তৃষিত পথিকের তরে। স্মরিত ও বরিত হয়ে থাকবে যুগ হতে যুগান্তরে। ইতোমধ্যেই পাঠকসাম্রাজ্যের হৃদয়তন্ত্রে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। পাঠকমনের অভিরুচি বুঝে নিজের আনন্দের জন্যই লিখছেন দু’ হাত ভরে। ‘আঁধারে জোছনা জ্বলে’ লেখকের প্রথম উপন্যাস; বলতে গেলে প্রথম প্রেম। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে লিখেছেন যৌথ সংকলন ‘নাফ নদীর এপার ওপার’। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত পেছনে না ফিরে সোজা হাঁটছেন গন্তব্যের খোঁজে। মৌলিক ও অনুবাদকর্ম মিলে আজ তিনি সাতটি বইয়ের জনক। এছাড়াও মাসিক, পাক্ষিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলোতে লিখে যাচ্ছেন আপন মহিমায়। অপরের তরে কিছু করতে চাওয়াটা হলো তাঁর চরিত্রের একটি উজ্বলতম দিক। তাই সাহিত্যের সাধনায় অবতীর্ণ নবীনদের আলোর পথ দেখাতে 'তারুণ্যের সাহিত্য দিশারী' প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘স্বপ্নধনু’। রংধনুর রং মেখে স্বপ্নের মতো করে সাজাতে চান প্রিয় এই প্লাটফর্মকে। আমরা স্বপ্নধনু ও তার স্বপ্নদ্রষ্টা প্রিয় লেখকের সর্বাঙ্গীন সুস্থতা ও আত্মিক সফলতা কামনা করি। ইসহাক নাজির সহকারী সম্পাদক, স্বপ্নধনু