স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দেশের প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোরের অভয়নগর থানার অন্তর্গত মথুরাপুর গ্রামে আব্দুল্লাহ আল মামুনের পৈতৃক নিবাস । সবুজ শ্যামল গ্রামের কাদা মাটিতে ও পুকুরে ঝাঁপাঝাঁপি করে কেটেছে শৈশব এবং দুরন্ত কৈশোর কেটেছে মামাবাড়িতে গিয়ে বিলের পানিতে নৌকা নিয়ে মাছ ধরে এবং মজা করে কলমিশাক এবং শাপলা তুলে । ছোটবেলা থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করা পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে খুব ভাল রেজাল্ট করে তিনি মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন । যার ফলশ্রুতিতে শিক্ষা গ্রহণকালে কোন পর্যায়েই তাকে কখনো বেতন প্রদান করতে হয়নি, বরং সকল পর্যায়ে তিনি বৃত্তি লাভ করেছেন । মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞানে মেজর নিয়ে ২০০৫ সালে বিবিএ এবং ২০০৬ সালে এমবিএ পাস করেন । এরপর দেশের সিএ ইনস্টিটিউট আইসিএবি থেকে ২০০৯ সালে তিনি সিএ পাস করেন। সিএ পরীক্ষার প্রতিটি লেভেল প্রথম সুযোগে পাস করার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট থেকে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সিএ সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন । তিনি ২০১৪ সালে আইসিএবির ফেলো মেম্বারশিপ অর্জন করেন এবং বর্তমানে দেশের স্বনামধন্য একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকে কর্মরত আছেন । তিনি বিচারক সহধর্মিণী এবং দুই সন্তান মানহা ও মাহাদকে নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করেন । ব্যস্তময় কর্মজীবনে প্রথমে কবিতা লেখার মাধ্যমে তার লেখালেখির সূত্রপাত ঘটে এবং পরবর্তীতে কবিতার পাশাপাশি তিনি ছোটগল্পও লেখা শুরু করেন । ইতোমধ্যে তার সম্পাদিত ‘পাতা ঝরার দিনে’ নামে একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে । এছাড়া ‘নৈঃশব্দ’ কাব্যগ্রন্থে তার লেখা তেরোটি কবিতা স্থান পেয়েছে । ‘সিএ জীবনের গল্প’ মামুনের লেখা প্রথম একক বই ।