নিজেকে সংক্ষেপে সজল জাহিদ নিজেরই নাম, তবে লেখালেখির জন্য। সকল সনদে যেটা মোঃ জাহিদুল ইসলাম। জন্ম পাবনা জেলার পদ্মার তীর ঘেঁষা আর হার্ডিং ব্রিজের ঝমঝমে শব্দে মুখরিত পাকশীতে ১৯৮২ সালের ৮ মার্চ। বেড়ে ওঠা দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুরে। আবেগ, অনুভূতি, ইচ্ছা-অনিচ্ছা আর চাওয়া-পাওয়ার বোধগুলো সেখানেই অঙ্কুরিত। স্কুল-কলেজ কোন রকমে পেরিয়ে, ২০০১ সালে ভর্তি হওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে। এখানে একটু উল্ল্যেখ না করলেই নয় যে, ছাত্র ছিলাম লোক প্রশাসন বিভাগের, কিন্তু আমাকে খুঁজে পেতে হলে যেতে হত অর্থনীতি বিভাগে! রবীন্দ্র ভবন ছাড়িয়ে মমতাজউদ্দিন কলা ভবনে! কেন? এই কৌতূহল টুকু না হয় রেখেই দেই? ২০০৬ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে, সবার যেখানে জীবিকার ঠিকানা, সেই জনাকীর্ণ ঢাকা শহরের অসম্ভব বাস্তবতায় এসে মুখ থুবড়ে পরা। জীবনের সহস্র সংঘাত মাড়িয়ে, জীবনকে কোন রকমে ঠেলেঠুলে চালিয়ে নেয়া। এরপর চাকুরী নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ ভাবনায় মানব সম্পদে একটি এমবিএ ডিগ্রী নেয়া। উচ্চতর ডিগ্রীর শেষ পরীক্ষার দিন থেকেই লেখালেখির শুরু যেটা ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫। তবে সেটা একেবারেই শখের বসে, কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু অবসরে। কিন্তু সেটা যে নেশা আর নেশা থেকে নিশ্বাসের মত হয়ে যাবে ভাবিনি। এই হলাম আমি। ও হ্যাঁ একটা কথা বলা হয়নি কিন্তু, আমার বাবার বাড়ি। আর সেই সুত্রে আমার বাড়ি কিন্তু পিরোজপুরে...!