সত্তর দশকে বাংলাদেশের চিত্রশিল্পের যে প্রবল ধারাটি বিষয়ে ও রীতিতে আন্তর্জাতিকতার উদ্বোধন ঘটিয়েছিল, হাসি চক্রবর্তী সেই ধারার শিল্পী। প্রায় চল্লিশ বছর ধরে ছবি আকঁছেন তিনি। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী কর্তৃক আয়ােজিত প্রথম নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী ১৯৭৫” তে চিত্রকলা মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার, তৃতীয় নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী ১৯৭৭' তে সকল মাধ্যমে সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস, ১৯৮৪' প্রতিযােগিতায় বিশেষ। স্থান লাভ করেন। দেশে বিদেশে তার সাতটি একক চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী আয়ােজিত জাতীয় শিল্প প্রদর্শনী '৭৬, ৭৭, ৮৫, '৮৬, '৯২, নবীন শিল্পকলা প্রদর্শনী '৭৬, '৮০, '৮২, ৮৯ এশিয়ান দ্বিবার্ষিক প্রদর্শনী '৯৩, ৯৫, ৯৭, ৯৯, ২০০১ সহ ইউকে, জার্মানী, বুলগেরিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া, ভারত, পাকিস্তান, জাপান, হারারে, জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া, কিউবা ইত্যাদি দেশে আয়ােজিত বিভিন্ন যৌথ শিল্পকলা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন। ছবি আঁকার পাশাপাশি হাসি চক্রবর্তী চিত্রকলা ও শিক্ষা বিষয়ে লেখালিখি করেছেন। তাঁর শিল্পচর্চার প্রধান মাধ্যম তেলরঙ, তবে ড্রইং এ তার মুন্সিয়ানার কথা সর্বজনবিদিত। হাসি চক্রবর্তী ১৯৪৮ সালে বরিশালে জন্মগ্রহন করেন। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ চারু ও কারুকলা কলেজ থেকে বি.এফ.এ, ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এফ.এ এবং ১৯৯১ সালে সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বি.এড ডিগ্রী লাভ করেন। পেশাগত জীবনে হাসি চক্রবর্তী একজন শিক্ষক; চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজ ও চট্টগ্রাম শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ শিক্ষকতা করেছেন। দীর্ঘসময় চট্টগ্রাম। চারুকলা কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি অবসর জীবন যাপন করছেন।