শহরের চাকচিক্যময় অভিজ্ঞতা স্পর্শ করেনি বলেই আলো-ছায়া, মেঘ-রৌদ্দুরে তার বাস। জীবনের সূচি পরে কী প্যাডের কালো অক্ষরগুলো আছড়ে পড়ে হৃদপিণ্ডে আঁচড় কেটে। নিয়মিত লেখর অভ্যাসটা ছোট বেলা থেকেই। একটা মোহ কিংবা কিছু করার তাগিদ তাকে সজাগ রেখেছে বার বার। খুব সরলভাবে উচ্চারিত হয়েছে ঠকেছি যেখানে শিখেছি সেখানে। যখন বুঝতে বাকি নেই সে প্রতারিত, ছলনার সম্পর্কে জড়িত, তখন তাকে ভুলে গিয়ে নিজের জীবনে এগিয়ে যাবার কারণ অবশ্যই আছে, এই ছলনার সম্পর্কে সে যা হারিয়েছে তার চেয়ে অধিক পেয়েছে, কি পেয়েছে জানো? মানুষ চেনার শিক্ষা, আর নতুন কিছু পাবার জ্ঞান। --বাস্তবতার অনুলিখন । গোলাপ কিংবা রক্ত জবা কাঁটা তারে কে নেই। উচ্চারিত শব্দ তরঙ্গে দেখি কে কোন রূপ ধারণ করবে সেটা তার ইয়ে গাছ হয়ে? নাকি কাটা। নিজের সঙ্গীনির একটা বিশ্বাস নিয়ে তার পথ চলা যে খুন হবে না ভোরের আলোয়। নির্মল আর পবিত্রতা ঘিরে আছে এক অদৃশ্য হাতছানি বসন্ত রাঙায় তারে। সহজাত উচ্চারণ যায় যখন ভালোবাসতে ইচ্ছে হয়, কবিতা তোমার রূপ নিয়ে... আমায় চুপিচুপি আগমনী ধ্বনি শুনিয়ে যায়। অদৃশ্যে যখন হারিয়ে যাই, কবিতা হাতছানি দিয়ে আমার খুঁজে নেয় আগুনের কাছে কেনই বা প্রার্থনা যদি বা জলেও আগুন জ্বালানো যায়। জল কে ধারণ করতে আঁকে খচিত করেছে বুকে শান্ত শীতল জল আগুনের চেয়েও ভংকর রূপ দেখাতে সক্ষম, খুব ছোট কিন্তু ভাবার। এমন করেই তার অনন্তের কাছে ফুটে ধারাতে বহমান। এবার পটভূমি পরিচিতিতে আসি। নীলাদ্রিতা মৌ হোসনের প্রথম কাব্যগ্রস্থ। নন্দিত বা নিন্দিত হবে তা কেবল পাঠকের হাতে। বৃত্ত ভেঙে অনেকেই এখতে জানে না। আগামী দিনে নিজেকে প্রমাণ করতে আইন বিভাগে শিক্ষনের চেষ্টা করছে। চেষ্টা তার অভাবকে করা। পিতা- মরহুম মোঃ আইনুল হক আর মাতা- মোছাঃ সুফিয়া খাতুন। বইটির সফলতা এবং প্রচার দুইই কাম্য। একজন কবি বেঁচে থাকে তার কবিতায়। সুলতানা নাজনিন কবি ও সম্পাদক