বিচারপতি মােহাম্মদ গােলাম রাব্বানী ১৯৬০ সালে আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে ২০০২ সালে অবসর নেন। মুসলিম ব্যক্তিক আইনের বেশ কিছু সময়ােপযােগী ব্যাখ্যা এসেছে বিচারপতি রাব্বানীর দেয়া কয়েকটি রায়ে। তবে তার দুটি রায় বাংলাদেশের বাইরেও আলােড়ন সৃষ্টি করেছিল। এদের একটি রায় (হেফজুর রহমান বনাম শামশুন নাহার) হচ্ছে যে, একজন স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিলে তাকে ততােদিন উপযুক্ত ভরণপােষণ দিতে বাধ্য থাকবেন যতােদিন না তালাকপ্রাপ্তা পুনর্বিবাহ করবেন, যদিও রায়টি পরবর্তীতে আপিল বিভাগ কর্তৃক বাতিল হয়। অপরটি হচ্ছে ফতােয়া প্রদান। প্রসঙ্গে ঐতিহাসিক রায়, যেখানে বিচারপতি রাব্বানী এই সিদ্ধান্ত দেন যে আদালত ছাড়া কোনাে ব্যক্তি মুসলিম আইনের ব্যাখ্যা কিংবা সিদ্ধান্ত। দেয়ার অধিকারী নন। ফতােয়া সংক্রান্ত এই রায়টি জনস্বার্থে অনেক বড় অর্জন বলে ধরা হয়, যদিও মামলাটি এখন আপিল বিভাগের বিবেচনাধীন আছে। বিচারপতি রাব্বানী তিনটি গ্রন্থের লেখক। Journey Within Islam, 781007 478 মুনাজাত মঞ্জুষা। এশিয়াটিক সােসাইটি অব বাংলাদেশ এবং বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য তিনি।