তৌফিকা আজাদ জন্ম: কবি তৌফিকা আজাদ, কাটলী, নেত্রকোনা জেলা সদরে ১৯৬১ সনে ১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। পিতা - মরহুম আবদুল কদ্দুস চৌধুরী। তিনি একজন সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। মাতা - মরহুমা আমেনা চৌধুরী (রহিমা), স্বামী - জয়নাল আবেদীন। দুই পুত্র সন্তানের জননী। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন-এর তালিকাভুক্ত গীতিকার। শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএ পাস। সাহিত্য চর্চা: 'কামনার বিশুদ্ধ গোলাপ' তাঁর তৃতীয় একক কাব্যগ্রন্হ। প্রথম কাব্যগ্রন্হ - "নদীর অনেক নাম আছে" (১৯৯৮), দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্হ "জল জোছনার প্রেম"(২০২২)। যৌথ কাব্যগ্রন্থ: কবিতার প্রজাপতি নীড়ে, কাব্যশীলন, দুই বা্ংলার প্রেমের কবিতা। তারার কাব্য। তাছাড়া তাঁর লেখা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়, ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হচ্ছে। গীতিকার হিসাবে তার বহুগান বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে। তার বহুল প্রচারিত ইসলামিক হামদ " দিন দুনিয়ার মালিক খোদা/আমি মুখলোকাত দাওগো আমায় পথের দিশা রাসুলুল্লাহর সাফায়াত, দিন বদলের এলোরে দিন/বান্দা তুলো দুহাত, খোশ নসিবে ডাক দিতে যে এলোরে সব-ই-বরাত। বেদনার নীল ঢেউ হৃদয় ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়, কত যে কথা ছিলো মনে, কীযে সুখ তুমি পেলে, কিযে হলো আমার জানি না কারণ, হৃদয়ের করিডোরে স্মৃতিরা কড়া নাড়ে, এ দেশ আমার মায়ের মতন, বন্ধু যদি হইতোরে শ্যাম, তোমার দেয়া কষ্ট, শেষ বিদায়ের শেয চুম্বন শিরোনাম (শেষ গোসল।) জীবন দিয়া বিধি তুমি কেন দিলা মরণ (মায় ভেলকি) দুনিয়াদারী সবই মিছা (মুসাফির)। আমার জীবনে একটি সন্ধ্যা তারা, তুমি যেন মিটিমিটি জ্বলছো। কীযে হলো আমার জানি না কারণ, ওরে ও আমার কাঞ্চাসোনা কালা ইত্যাদি। বিটিভি, এন টিভি, বাংলাভিশন আর টিভি, এশিয়ান টিভি, এস এ টিভি,তাছাড়া ইউটিউব চ্যানেল ও কেসেটে তার গান প্রচারিত হয়েছে। নতুন পুরাতন অনেক শিল্পী তার গান গেয়েছেন। ফেরদৌস আরা, রওন আরা মোস্তাফিজ, ইয়াকুব আলী খান, গাজী রফিক, মণিকিশোর, নিয়াজ চৌধুরীর মেয়ে ফাহিমা সুলতানা, ডাঃ ঝিনুক, ঈশিতা, মৌসুমী রহমান, মৃন্ময় দাস, জাহানারা মফিজ, গেয়েছে সারোয়ার মাহিন, পলাশ লৌহ, ক্লোজআপ ওয়ান সুপার স্টার বিউটি, নোলক বাবু, প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস। তাছাড়া সবচেয়ে বড় কথা হলো তিনি ব্যক্তিত্বশীল মার্জিত সুন্দর মনের নিরহংকারী সহজ সরল একজন মানুষ। জীবন বোধের শিষ্টাচারকে তিনি খুব গুরত্বপূর্ণ ভাবেন। তার লেখায় সমাজ সংসারের টানা পোড়েন, সঙ্গতি অসঙ্গতি, প্রেম, বিরহ, মানবীয় দর্শন, এবং গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চিত্র ফটে উঠেছে। তার প্রায় কবিতার ধরন রূপক আশ্রিত। প্রকৃতির সাথে জীবন দর্শন যেন একাত্মতা ঘোষণা করছে। আশা করি কবি তৌফিকা আজাদের এই বইটি পাঠকের মন কাড়তে সচেষ্ট হবে এবং জনপ্রিয়তা পাবে।