মোহাম্মদ এমদাদ হোসেন তিনি স্বভাবজাত ও পারিবারিক ঐতিহ্যগতভাবে একজন কবি। তাঁর আম্মা মরহুমা জাইতুন আক্তারও একজন অপ্রকাশিত কবি এবং উর্দু-সায়ের লিখতেন। জনাব এমদাদ একজন প্রখ্যাত আবৃত্তিকার ও উপস্থাপক। তিনি ১৯৯৬ থেকে বাংলদেশ বেতার ও টেলিভিশনে আবৃত্তিকার ও উপস্থাপক হিসেবে সফলতা ও সুনামের সাথে কাজ করে আসছেন। বর্তমানেও অনেক স্যাটেলাইট চ্যানেলে আবৃত্তিকার, উপস্থাপক, আলোচক ও অথিতি হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর সরব উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। ১৯৯৮ সালে জাতীয় পর্যায়ে বাংলা কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক ও সনদ গ্রহন করেন। লেখক মোহাম্মদ এমদাদ হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে সফলতার সাথে বিএসসি (সম্মান), এমএসসি ও এমফিল ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি একই বিষয়ের উপর পিএইচডি গবেষনায় অধ্যয়নরত আছেন। ইতোমধ্যে দেশীয় ও আর্তজাতিক উল্লেখযোগ্য গবেষনা জার্নালে তাঁর ২০-এর অধিক গবেষনা আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে। ২০১২ সালে জার্মানীতে বাংলাদেশের মাধ্যমিক স্কুলের পারফমেন্স এর উপর লেখকের গবেষনা বই প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল ও কলেজের প্রভাষক হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন এবং বর্তমানে দেশের প্রথমসারির একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় কর্মরত আছেন। জনাব এমদাদ ১৯৭৬ সালে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ছিলইন গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর বাবা মরহুম হযরত মাওলানা জালাল আহমদ এবং মাতা মরহুমা জাইতুন আক্তার। তিনি ৫ বোনের একমাত্র ছোট ভাই ও সবার আদরের। তিনি দুইকন্যা ও একপুত্র সন্তানের জনক। লেখকের বাছাই করা কিছু কবিতা নিয়ে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ এখানে জীবন জীবন খোঁজে বইমেলা ২০১৯ এ প্রথম প্রকাশিত ।