রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিতে অনার্স এবং পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, লাহাের থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর (এম.এ.) সরদার আমজাদ হােসেন আজীবন একজন রাজনৈতিক কর্মী। বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের একজন সংগ্রামী ছাত্রকর্মী হিসেবে ষাট দশকের সূচনা থেকেই সক্রিয় রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ১৯৬৩-৬৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ্ মাখদুম হলের প্রথম সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পূর্বোক্ত শিক্ষাবর্ষেই তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে তৎকালীন গর্ভনর মােনেম খানের উপস্থিতির প্রতিবাদে সমাবর্তন বর্জন করার অপরাধে বহিষ্কৃত হন। তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যয়নকালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র সমিতি, লাহােরে সভাপতি নির্বাচিত হন। সরদার আমজাদ ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের মনােনয়নে রাজশাহী-১২ (বর্তমান রাজশাহী) আসন থেকে এম.পি.এ. নির্বাচিত হন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক। স্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রথম কমিটির প্রচার সম্পাদক। তিনি বিভিন্ন সংসদ নির্বাচনে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সরদার আমজাদ বাংলাদেশ সরকারের কৃষি, খাদ্য ও ভূমিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১লা জুন ২০০৫ তারিখে পুনরায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি এক পুত্র ও দুই কন্যার জনক। তার স্ত্রী অধ্যাপিকা ফেরদৌস নিগার হােসেন ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপিকা ও ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রধান।