বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের পুরানা পল্টনে কবি সমরেন্দ্র সেনগুপ্তর জন্ম বিগত শতাব্দের ১৯৩৫ সালের ৫ই মে। মাতাপিতা হিরণবালা দেবী ও বগলাপ্রসাদ সেন শর্মার ৮ পুত্রকন্যার মধ্যে ৭ম স্থান সমরেন্দ্র সেনগুপ্তর। দেশভাগের পর ১৯৫১ সালে কলকাতাবাসী হন । বিজ্ঞানের ছাত্র হয়েও ১৯৫৪ তে বসুমতীতে ‘সূর্যমন্দির’ নামে প্রথম কবিতা প্রকাশ হয়। এরপর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৬২ তে প্রথম কাব্যগ্রন্থ যে কোন নিঃশ্বাস'; এরপর প্রায় নিয়মিত ব্যবধানে এ যাবৎ ইংরেজি বাংলা মিলিয়ে সতেরােটির অধিক বই বেরিয়েছে। কবিতা ছাড়াও ইংরেজি রচনা ও অনুবাদেও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। ‘মানাচ্ছে না । এই শহরে আজও আমায় মানাচ্ছে না। / ছিলাম আমি নদীর মানুষ | পল্টন মাঠে সদরঘাটের বদর মানুষ / এখন আমি খুব অচেনা...' (ভাষাদেশ)। সমরেন্দ্রর কবি স্বভাব নদীর মতন সতত বহমান। দীর্ঘ যাত্রাপথে দু'পাশের তটের সঙ্গে তার সম্পর্ক সুনিবিড়। বাইরে যখন ঝড় তখন ঢেউ ওঠে উথাল। পাথাল। আবার কোনও শান্ত সকালে শ্যামল অববাহিকায় সে এঁকে যায় নিবিড় কোনও ছবি । কখনওবা উৎসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান। ...নদীর দুই পাড়ের মতাে সমাজ ও সমকাল সম্বন্ধে সর্বদাই সচেতন সমরেন্দ্র, তাই বয়সের পূর্ণতায় এসে তিনি লেখেন মাটির আর মানুষের কবিতা...”। পুরস্কারের দিক থেকে ঝুড়ি ভর্তি তার প্রাপ্তি।