ড. মাে. মুনিরুজ্জামান। নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের দ্বারিকুশী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে লেখকের জন্ম। জন্ম ৩ মে, ১৯৬৫ সাল। পিতা মরহুম এরশাদ আলী প্রামানিক এবং মাতা আলহাজ্ব মাছুরা এরশাদ এর ৬ ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে লেখক দ্বিতীয় সন্তান। তাঁর ভাই, বােন সবাই চাকরিজীবী। তিনি নিজ ইউনিয়নের সেন্ট লুইস বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্টারসহ ১ম বিভাগে এসএসসি, নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজ, নাটোর থেকে ১ম বিভাগে এইচএসসি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে অনার্স, মাস্টার্স ও ডিএফআইডির (DFID) আর্থিক সহায়তায় পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৯৩ সালের ১ এপ্রিল বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডারে থানা মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন। বর্তমানে প্রিন্সিপাল, মৎস্য ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট, মৎস্য অধিদপ্তর, কিশােরগঞ্জ এ কর্মরত। মৎস্য অধিদপ্তরে তিনিই প্রথম মাছের রােগের উপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। বাংলাদেশে তিনি মাছের রােগ নিরাময়ে ভেষজ চিকিৎসা প্রয়ােগের পথিকৃৎ। তিনিই প্রথম রােগাক্রান্ত থাই পাঙ্গাস থেকে Edwardsiella tarda ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করেন। মাছের রােগ বিষয়ক তাঁর প্রকাশনা: দেশি-বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত ফুল পেপার- ১২টি, প্রসেডিংস/অ্যাবস্ট্রাক্ট৪টি, বই- ৩টি, বুকলেট-২টি, লিফলেট- ৬টি, দৈনিক/ সাপ্তাহিক/পাক্ষিক পত্রিকায়/স্মরণিকায় প্রকাশিত আর্টিকেল৬টি, মৎস্য বিষয়ক নাটক- ২টি, সিলেট বেতার কর্তৃক প্রচারিত নাটিকা- ৪টি। তিনি সিলেট বেতারে কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠানের ২ বছর নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। দেশে ও বিদেশে মাছ এবং চিংড়ি চাষ ও হ্যাচারি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। চট্টগ্রাম বিভাগে শ্রেষ্ঠ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে “শুদ্ধাচার” সনদপ্রাপ্ত। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ২ বার ইনােভেশন শােকেসিং এ অংশগ্রহণ এবং ফেনী জেলার উন্নয়ন মেলায় শ্রেষ্ঠ “ইনােভেশন স্টল” হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদপ্রাপ্ত। তিনি মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় প্রশিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।