সাইফুর রহমান মূলত গল্পকার। মানবজীবনের বৈপরীত্য ও মনস্তাত্ত্বিক বহুমুখিতা তাঁর লেখার প্রধান উপজীব্য। ছাপার অক্ষরে প্রথম লেখা প্রকাশ 'শিশু' পত্রিকায়। তখন তিনি দশম শ্রেণীর ছাত্র। অল্প বয়সেই ছোটগল্প লেখার অনুপ্রেরণা খুঁজে পান রবি ঠাকুরের গল্পগুচ্ছে। গোড়ার দিকে লেখালেখি ট্রাঙ্কবন্দি থাকলেও বলিষ্ঠ আত্মপ্রকাশ কালি ও কলম পত্রিকায়। প্রথম গল্প “অচেনা মানুষ একটি বৃক্ষ দুটি শালিক'। তবে পাঠকসমাজে বিশেষ স্বীকৃতি পান বাংলাদেশ প্রতিদিনে উপসম্পাদকীয় লিখে। এখনও লিখছেন নিয়মিত, গল্প ও কলাম। কলামের মাধ্যমেই মানুষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নিরন্তর। শিক্ষাজীবন প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ দেশ ভারত ও যুক্তরাজ্য ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক। দ্বিতীয় দফায় স্নাতক যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে। লিংকন স্-ইন থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি। সবশেষে লন্ডন সিটি বিশ্ববিদ্যা লয়ে স্নাতকোত্তর। ইতিহাসের অলিগলি চষে বেড়াবার মূলমন্ত্রটা শিখেছেন আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বিশ্বখ্যাত ঐতিহ সিক ইরফান হাবিবের কাছে। কিংবদন্তিতুলা আইনজ্ঞ প্রফেসর ফিলিপ থমাস মাঝেমধ্যেই উপদেশ দিয়ে তাঁর জ্ঞানপিপাসার অনেকটাই নিবৃত্ত করেছেন। দেশে ফিরে সাহিত্যসাধনায় সম্পূর্ণ আত্মনিয়োগ। জানা বিষয় অজানা কথা, যুক্তি তর্ক ও গল্প এবং ভিঞ্চির কালো জুতো লেখকের তিনটি নিবন্ধ সংকলন। ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয় গল্প সংকলন শরৎচন্দ্রের শরৎ উপাখ্যান ও অন্যান্য গল্প। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় আরেকটি গল্প পক্ষিরাজের ডানা। ভালোবাসেন মানুষ ও জীবন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ আর চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বই পড়তে। ছুটির অবকাশে দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়ান। ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়ার নানা দেশ ও গুরুত্বপূর্ণ শহর ভ্রমণ করেছেন।