১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ১৯৯৮ উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতারের জাতীয় কবিতা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। এরপর থেকেই মূলত লেখালেখির শুরু। বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রশিক্ষণ কোর্স ২০১১ সালে তৃতীয় ব্যাচে লেখালেখি প্রশিক্ষণের সুযোগ লাভ করেছিলেন। সেই সঙ্গে ২০০৯ সালে বাংলা একাডেমির সর্র্বকনিষ্ঠ সদস্যপদ লাভ করেছেন। ২০১১ সালে বাংলা একাডেমির লোকজ সংস্কৃতির সংগ্রাহক নির্বাচিত হয়েছেন। মিজানুর রহমান মিথুন নিয়মিত গানও লিখছেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের একজন তালিকাভুক্ত গীতিকার। একুশের বইমেলা ২০১০ সালে ‘ছোটদেরমেলা সেরা বই’ পুরস্কার লাভ করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের গ্রন্থাগার অধিদপ্তর থেকে ২০১৫ সালে জাতীয় শোক দিবসের রচনা লেখার জন্য জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হন। ‘ক্লাস পালানো ছেলে’ বইয়ের জন্য এসবিএসপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ছায়েদুল ইসলাম গ্রন্থ স্মারক-২০২১ লাভ করেন। ২০২৩ সালে পরিবেশ বিষয়ক গান লিখে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে পুরস্কার লাভ করেন। মিজানুর রহমান মিথুন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত ‘সাপ্লিমেন্টারি লার্নিং ম্যাটেরিয়াল’ গল্প লেখক নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তার লেখা ‘নতুন সপ্তাশ্চার্য’ বইটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যভুক্ত হয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এবং সাময়ীকীগুলোতে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত লিখছেন। লেখালেখির স্বীকৃতি হিসেবে মিজানুর রহমান মিথুন ‘আন্তজনপদ গুণীজন স্বীকৃতি ও সংবর্ধনা’ লাভ করেছেন। মিজানুর রহমান মিথুনের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-‘তিনি আমাদের জাতির পিতা’, ‘তোমাদের জন্য বঙ্গবন্ধু স্বপ্নজয়ী সেরা মানুষ’, ‘রাসেল তুমি ফিরে এসো’, ‘নতুন সপ্তাশ্চার্য’, ‘যুগে যুগে সপ্তাশ্চার্য’, ‘যে ভ‚তটা বই পড়তে এসেছিলো’, ‘ফার্স্ট গার্ল সেকেন্ড বয়’, ‘ফুল বালিকা’, ‘ট্যালেন্টপুল টমি’, ‘মিষ্টি মেয়ে টুকটুকি’, ‘বৃষ্টির সাথে দেখা’, ‘হৃদয়ে হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’, ‘ক্লাসের বাইরে একদল দুষ্টু’, ‘মেঘলা আকাশ’, ‘আমাদের পতাকা’, ‘ব্যাক বেঞ্চার’, ‘স্কুলের সাহসী ছেলেটি’, ‘ক্লাস পালানো ছেলে’, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’, ‘টুটুল স্যারের টিউশনি’, ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের গল্প’ ।