মােহাম্মদ সাজ্জাদ হােসেন ১৯৭৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার আনাখণ্ড নামক গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ঐতিহ্যগতভাবেই একটি বিদ্যানুকূল ও মননশীল পারিবারিক পরিবেশ পেয়েছেন। ফলে বয়স বেড়ে উঠার সাথে সাথেই তার মধ্যে গড়ে উঠে সৃজনশীলতা। ছােট বেলা থেকেই তিনি চুপচাপ থাকা এবং নির্জন পরিবেশে কোন কিছু নিয়ে গবেষণা করতে পছন্দ করতেন। উচ্ছঙ্খল পরিবেশ এবং উগ্র লােকজন তার কখনােই পছন্দ নয়। কৃতিত্বের সাথে তিনি এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। অতঃপর তিনি ব্যাঙ্গালাের ইউনিভার্সিটির অধীনে কম্পিউটার সাইন্স’এ গ্রাজুয়েশন করেন। ব্যাঙ্গালাের থেকে তিনি কম্পিউটারের আরও বিশেষ কিছু বিষয়ে উচ্চতর ডিপ্লোমা গ্রহণ করেন। যার ফলে তিনি একই সাথে কম্পিউটারসহ অন্যান্য প্রয়ােজনীয় ডিভাইসের হার্ডওয়্যার টেকনােলজি, বেসিক ইলেকট্রনিক্স, নেটওয়ার্কিং, বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম, প্রােগ্রামিং, ওয়েভ ডিজাইনিং, ডাটা বেইজ ডিজাইনিংসহ বিভিন্ন ধরনের এ্যাপলিকেশন সফ্টওয়্যারেও সমান পারদর্শী। তাছাড়া তিনি সেখানে ICCR’এর একজন বাংলাদেশী প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি দেশে ফিরেন ২০০০ সালে। তারপর এই অল্প সময়ের মধ্যে তিনি এ্যাপটেকসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন। তাছাড়া একটি প্রতিষ্ঠানে প্রােগ্রামার হিসাবেও কিছু দিন কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি কম্পিউটার ভুবনের কারিগরী সম্পাদক হিসাবে কাজ করছেন। তার লেখালেখির অভ্যাস অনেক দিনের। তবে দেশে ফেরার পর থেকে লেখার উৎসাহ আরও বেড়ে যায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভুবনের হার্ডওয়্যার প্রশিক্ষণ কর্মশালাসহ বিভিন্ন জায়গায় লেখালেখি করেন। ছােট বেলা থেকেই তার মায়ের উৎসাহে লেখাপড়ার পাশাপাশি গান চর্চা করতেন। ১৯৯৫ সালে তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমীর ওয়াইজঘাট শাখার রবীন্দ্র সঙ্গীত বিভাগ থেকে সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি দেশের অনেক গুণি শিল্পীদের কাছ থেকে রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের তালিম নিয়েছেন। বর্তমানে তার কর্মজীবনের পাশাপাশি সঙ্গীতকেও ধরে রেখেছেন শক্তভাবে।