Loading...
ন্যুট হ্যামসুন
লেখকের জীবনী
ন্যুট হ্যামসুন (Noot Hamsun)

নরওয়ের গুডব্র্যান্ডস্ল্ডাল -এ ১৮৫৯ সালে ন্যুট হ্যামসুন জন্মগ্রহণ করেন। বাবা পিডার পিডারসেন এবং মা ডােরা অলসডেটার জন্মের সময় তার নাম রেখেছিলেন নট পিডারসেন। তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের চতুর্থ পুত্র। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া হ্যামসুন ছােট বেলা থেকেই অর্থ উপার্জনের জন্য কাজ করতে শুরু করেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। নট হ্যামসুন কয়েক বছর আমেরিকায় কাটিয়েছেন ভ্রমণ করে এবং ট্রাম ড্রাইভারের চাকুরি করে। ১৮৮৯ সালে দি ইনটেলেকচুয়াল লাইফ অব মডার্ন আমেরিকা’ গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি আমেরিকা সম্পর্কে তার ধারণা ব্যক্ত করেন। ১৮৯০ সালে প্রকাশিত ‘হাঙ্গার’ এবং ১৮৯৪ সালে প্রকাশিত ‘প্যান তাকে সাহিত্যজগতে সুখ্যাতি এনে দেয়। নরওয়ের সাহিত্যে ‘হাঙ্গার’ সর্বপ্রথম সার্থক আধুনিক উপন্যাস বলে বিবেচিত হয়। তাই উপন্যাসে ক্ষুধা আর দারিদ্রের তাড়নায় একজন খ্যাপা তরুণ লেখকের প্রায় উন্মাদ হয়ে যাওয়ার ঘটনা আধাে-আত্মজৈবনিক ভঙ্গীতে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রকৃতিপ্রেমী হ্যামসুনের আধুনিক সভ্যতার প্রতি ছিল তীব্র বিদ্বেষ । তিনি বিশ্বাস করতেন মাটির মাঝেই রয়েছে মানুষের জীবনের পূর্ণতা। নরওয়ের বনভূমি আর সৈকতের দৃশ্য বার বার উঠে এসেছে তাঁর লেখনীতে। এ কারণেই তিনি যুক্ত হয়েছিলেন সর্ব-ঈশ্বরবাদ নামে পরিচিত আধ্যাত্মিক আন্দোলনের সাথে । হ্যামসুন। মানুষ আর প্রকৃতিকে দেখেছেন এক অমােঘ বন্ধনে সম্পর্কিত। তাঁর রচিত চরিত্র এবং প্রকৃতির মাঝে সম্পর্কের এই বিষয়টি উঠে এসেছে একাধিক উপন্যাস এবং তাঁর মহাকাব্য ‘গ্রোথ অব দি সয়েল’ -এ, যা তাকে ১৯২০ সালে সাহিত্যে নােবেল পুরস্কার পাওয়ার সম্মান এনে দিয়েছে। হ্যামসুনের প্রকাশিত অন্যান্য উল্লেখযােগ্য গ্রন্থের মাঝে রয়েছে আন্ডার দি অটাম স্টার’, ‘দি লাস্ট জয়’, ‘ভ্যাগাবন্ডস’, ‘গেম অব লাইফ’, ‘এ ওয়ান্ডার প্লেজ অন মিউটেড স্ট্রিংস’, ‘দি রােড লীজ অন’, এবং ‘দি রিং ইজ ক্লোজড'। ১৯৫২ সালে ৯২ বছর বয়সে নট হ্যামসুন তার নিজ বাড়ীতে মৃত্যুবরণ করেন।