দেশে পরিবেশ, প্রকৃতি ও পাহাড় নিয়ে সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ ধরা হয় হোসেন সোহেলকে। কাজ করেছেন এটিএন নিউজ, দেশ টিভি, একাত্তর টিভিসহ বিবিসির সঙ্গে। বলা হয়, তাঁর হাত ধরেই দেশের টেলিভিশন সাংবাদিকতায় প্রাণ—প্রকৃতি বিষয়ক স্বতন্ত্র বিট যুক্ত হয়েছে। সুন্দরবনের বাঘ নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য ২০১২ সালে পেয়েছেন টিআইবির সেরা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পদক। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ভূষিত হয়েছেন নানান সম্মানে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে এটুআই প্রকল্পের মাধ্যমে হোসেন সোহেল ‘হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট মিডিয়া’ কোর্সের জন্য র্দীঘদিন ভিয়েতনামে ছিলেন। নানান কাজে ঘুরেছেন এশিয়ার আরও দেশে। বাংলাদেশের মোবাইল জার্নালিজম নিয়ে তিনি বিশেষ গবেষণা করেছেন। এ বিষয়ে ‘মুঠোফোনে সাংবাদিকতা’ নামে তাঁর একটি বই তরুণ সাংবাদিকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ২০২৩ সালে প্রাতিষ্ঠানিক সাংবাদিকতায় ইতি টেনে হোসেন সোহেল শুরু করেছেন মুক্ত সাংবাদিকতা। বর্তমানে তিনি পার্বত্য জেলার পাহাড়ে পরিবেশ প্রতিবেশের ট্রান্সফরমেশন ও ট্রানজিশন নিয়ে অডিও ভিডিও ডিজিটাল আর্কাইভ এবং লিখিত গবেষণায় নিবিড়ভাবে কাজ করে চলেছেন। দায়িত্ব পালন করছেন ‘ওয়াইল্ড পোস্ট’ ও ‘ওয়াইল্ড ওয়াচ বাংলাদেশ’ নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে। এছাড়া স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘তাজকেরা কেয়ার ভিলেজ’—এর প্রধান পরামর্শক হিসেবে রয়েছেন। পাহাড়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীগুলোর জীবনমান উন্নয়নে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর গবেষণার ভিডিওগুলো বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সমাদৃত।