ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে সর্বোচ্চ কৃতিত্বে এম. এস-সি। পাশ করে বেশ কিছুকাল ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই অধ্যাপনা করেছেন। তারপর সরকারি চাকরিতে দীর্ঘকাল যুক্ত থেকে অবসর নেন ১৯৯২-এ। সে-সময়েই টেলিভিশনের অন্যতম কর্তা হিসেবে কাজ করতে করতে বাংলা উচ্চারণের দিকে তাঁর ঝোক পড়ে। তখন তার দুটি বই প্রকাশিত হয় ঢাকার বাংলা একাডেমী থেকে ভাষা-শহীদ গ্রন্থমালা-র ‘বানান ও উচ্চারণ’ (১৯৮৫) এবং ‘ব্যাবহারিক উচ্চারণ অভিধান (১৯৮৮)। এর পর বাংলা বানালাবষয়ে তার আগ্রহ তৈরি হয় এবং সেই অনুসন্ধানেরই ফসল। ‘বাংলা একাডেমী বাংলা বানান অভিধান (১৯৯৪) এর অনেকগুলি সংস্করণ। অভিধান-রচনার ধারাবাহিকতাতেই তাঁর এই পূর্ণাঙ্গ অভিধান ‘শব্দসংকেত'। জামিল চৌধুরী ১৯৫২-র ভাষা-আন্দোলন এবং ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন। বস্তুত পূর্ব-পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সমস্ত প্রগতিশীল রাজনীতি ও সংস্কৃতি ভাবনার সঙ্গেই কখনাে প্রত্যক্ষভাবে কখনাে পরােক্ষভাবে তিনি জড়িত। বাংলাদেশের সংগীত-প্রতিষ্ঠান ‘ছায়ানট”। এবং “জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ’-এর প্রাক্তন সহ-সভাপতি। ' তার অভিধান-চর্চা বাঙালি সত্তার জাগরণে তার যে ভূমিকা তারই অংশ।