Loading...
জামাল মাহমুদ
লেখকের জীবনী
জামাল মাহমুদ (Jamal Mahmud)

জন্ম ১৯৫৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী জেলায়। ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স করার পর ঢাকাস্থ জাপানী দূতাবাসে ইকনোমিক এন্ড পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার হিসেবে প্রথম চাকুরি। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান। এরপর ১৯৮৯ সালে নরওয়ে সরকারের দাতা সংস্থা নোরাডে ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা হিসেবে যোগদান। প্রায় এক দশক নোরাডের সাহায্য কর্মসূচির আওতায় শিক্ষা, পরিবেশ উন্নয়ন, মানবাধিকার এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মসূচি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালনে বিশেষ অবদানের জন্য অত্যন্ত প্রশংসিত হন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার কর্মসূচি, কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলার স্থায়ী ভবন নির্মাণসহ অনেক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নোরাডের সার্বিক সহায়তা লাভে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ১৯৯৬ সালে তিনি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বাংলাদেশ রেসিডেন্ট মিশনে যোগ দেন এবং বর্তমানে এর সোশ্যাল সেক্টর প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন। বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে প্রথম প্রোগ্রাম এপ্রোচ কর্মসূচি (যা পিইডিপি-২ নামে পরিচিত) তার প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং সংশ্লিষ্ট দাতা সংস্থাসমূহের সাথে সমন্বয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এই কর্মসূচিতে তাঁর প্রশংসনীয় অবদানের জন্য এডিবির প্রেসিডেন্টের এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এছাড়াও মাধ্যমিক শিক্ষা খাতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বিশেষ চিটিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন ও নেতৃত্বের জন্য তাঁর টিম এডবির মোস্ট এফিসিয়েন্ট টিম এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। তিনি আমেরিকার প্রিন্সটন ইউনির্ভার্সিটির একজন পারভিন ফেলো। এছাড়াও, ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল ইউনির্ভাসিটি থেকে তিনি এডভান্সড এডুকেশন পলিসি এন্ড প্ল্যানিং এর উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ লাভ করেন। নিসর্গপ্রেমী জনাব মাহমুদের শখ অবসরে বাগান করা, বই পড়া, গান শোনা এবং ভ্রমণ।