সৈয়দ ইকবাল - শিল্পী না লেখক বোঝা মুস্কিল। শয়ে-শয়ে ছবির প্রচ্ছদ, ছোটদের বইয়ের অলঙ্করণ, নাটকে অসংখ্য পোষ্টার ডিজাইন, কার্টুন করে চলেছেন দেশে বিদেশে। বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র দিয়েছে প্রচ্ছদ ডিজাইন ও অলঙ্করণের জন্য শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দুইবার। বিশ্বময় নামী শহরগুলোতে ব্যক্তিগত ও গ্যালারিতে সংগৃহীত আছে তার পেইন্টিংস। অনলাইন পত্রিকা দি বেঙ্গলি চাইমসে নিয়মিত তিন বছর কার্টুন আঁকছেন। দেশের স্বনামধন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘বিটপী’তে জীবনের বেশিরভাগ সময় ছিলেন সিনিয়র আর্ট ডিরেক্টর। এতকিছু মেলালে তাঁকে হয়তো শিল্পী বলা যায়। অন্যদিকে ১৭টি গল্প-উপন্যাস ও ছোটদের জন্য লেখা তাঁর প্রকাশিত। কুশল আর মৃত্যুবুড়ো কিশোরদের জন্য এক মাইলফলক সৃষ্টি। খাগড়াছড়ির কংজুরী পেয়েছে অগ্রণী ব্যাংক ও শিশু একাডেমীর পুরস্কার। বঙ্গবন্ধু হত্যা নিয়ে তিনিই প্রথম গল্প লেখেন ‘একদিন বঙ্গবন্ধু’। ভালোবাসার পাঁচ পা, ঘুমচ্ছো লস আঞ্জেলিস, বিন্দুময় টরনোট, অগ্নীলার বাবার হাড্ডিগুড্ডি, পক্ষীজীবন, আমিতো যীশু নই তাঁর বহুল মুদ্রিত বই। দেশে থাকেন কিংবা বিদেশে তিনি লেখেন, তাঁকে হয়তো লেখাক বলা যায়। ২০১২ বইমেলায় তাঁর তিনটি উপন্যাস তেপান্তরে তিন বৃক্ষ, এসেছিলে তবু আসনি, লাভ এন ওয়াই ও গ্রল্পগ্রন্থ প্রেম চায় জিবরানের ডানা প্রকাশিত হয়েছে।