এমদাদ রহমান। বাবা সৈয়দ আতাউর রহমান, আজীবন সিলেটের বিভিন্ন চা বাগানে চাকরি করেছেন। মা শামসুন্নাহার বেগম। গৃহিণী। নিবাস মৌলভীবাজারের কলমগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নভুক্ত বাদেসোনাপুর গ্রাম। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় এমদাদ রহমান নিজ গ্রামের রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ শেষে শমশেরনগর এএটিএম উচ্চবিদ্যালয় এবং কমলগঞ্জ গণ মহাবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি’র পর সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার ও লোকপ্রশাসন বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন। খবরের কাগজে সম্পাদনা সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। শিক্ষকতা করেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ইউসেপ-বাংলাদেশ’-এ। শৈশবের বেশিরভাগ কেটেছে গ্রামে এবং বাবার চাকরিসূত্রে বিভিন্ন চা বাগানে। গল্প দিয়েই লেখালেখির শুরু। ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয়েছে প্রথম গল্পসংকলন ‘পাতালভূমি ও অন্যান্য গল্প’। প্রকাশের অপেক্ষায় আছে আলবের কামু’র নোটবুক (১৯৫৩-১৯৪২); আলবের কামু'র ‘নির্বাচিত লিরিক্যাল ও ক্রিটিক্যাল গদ্য’; কবি ফেদেরিকো গারসিয়া লোরকা’র চিঠির অনুবাদ ‘লোরকা’র চিঠি’; লোরকার নাটক ‘দন ক্রিস্তোবালের পুতুলনাচ’; প্রখ্যাত নাইজেরিও লেখক আমোস তুতুওলা’র উপন্যাস ‘অরণ্যের পালকওলা রমণীর উপকথা’; পেরুর নোবেলজয়ী লেখক মারিও বার্গাস ইয়োসা’র ‘বক্তৃতা ও প্রবন্ধ'; ওয়াল্ট হুইটম্যানের ‘নোটবুক' এবং ফ্রডরিখ নিটশের চিঠি।