মােহাম্মদ বিন সালমান যিনি এমবিএস নামে পরিচিত, তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ধনী এক রহস্যময় প্রিন্স। ২০১৫ সালে তাঁর বাবা বাদশাহ সালমানের সিংহাসনে আরােহণের পর থেকে মােহাম্মদ বিন সালমান সৌদি রাজতন্ত্রের অর্থনীতির পুনর্গঠন, কঠোর ইসলামী সামাজিক নিয়মগুলাে শিথিল করতে এবং অত্রঅঞ্চলে বিশেষত ইরানের চারপাশে শত্রুদের মােকাবেলা করার জন্য প্রভাব বিস্তৃত করেন। তার আধুনিক চিন্তাধারা তাকে স্বদেশ, ওয়াল স্ট্রিট, সিলিকন ভ্যালি, হলিউড এবং হােয়াইট হাউজের মন জয় করতে সাহায্য করে। তবে সময়ের সাথে সাথে দূরদর্শী তরুণ সংস্কারকের নাম কলঙ্কিত হয়ে পড়ে। এমবিএস আসলে একজন উদীয়মান স্বৈরশাসক যার অনভিজ্ঞতা ও আনাড়ি সিদ্ধান্তগুলাে বিশ্বের যুদ্ধবিগ্রহ অঞ্চলকে করে তুলে অস্থিতিশীল এবং যুদ্ধের ফলাফল নির্ধারণের জন্য লড়াই করে চলেছে অনেকগুলাে পক্ষ। শেষ অবধি, বছরের পর বছর প্রতিবেদন এবং কয়েকশাে সাক্ষাঙ্কারের ভিত্তিতে এমবিএসের বিপর্যস্ত ইয়েমেনের সামরিক হস্তক্ষেপ, রিয়াদ রিটজ-কার্লটনে অন্যান্য প্রিন্স এবং ব্যবসায়ীদের অনর্থক আটকে রাখা এবং ইসরায়েল ও আমেরিকার সাথে সৌদি সম্পর্কের নতুন দিক উন্মােচন করার মতাে বিষয়গুলাে উঠে আসে যা তরুণ স্বৈরশাসকের উত্থানের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি সম্পর্কে নতুনভাবে আলােকপাত করে। ইস্তাম্বুলে সৌদি এজেন্টদের দ্বারা সাংবাদিক জামাল খাসােগির নৃশংস হত্যাকাণ্ড, এমন একটি অপরাধ যা ওয়াশিংটনের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ককে নাড়া দিয়েছে এবং বিশ্বকে বিস্মিত করেছে এই ভেবে যে এমবিএস কীভাবে খুনের দায়ভার থেকে দূরে সরে যেতে পারেন? | শিহাব শাহরিয়ারের অনবদ্য অনুবাদে এমবিএস-এর আদ্যোপান্ত উঠে এসেছে বেন হাবার্ডের এই “মােহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) : নয়া সৌদি আরবের উপাখ্যান” বইয়ে। আপনাকে স্বাগতম।