"ভূতসমগ্র-১" বইয়ের পেছনের কভারে লেখা:মুনলাইট ক্যাম্পের প্রেতাত্মা :
ড্রাইভারের মুখের দিকে তাকিয়ে চমকে গেলাম। মুখটা লাল। পচা মানুষের মতাে ফোলা। হেঁকে ধরেছে মাছির দল। কপালের চামড়া নেই, মাংস খসে পড়েছে, পােকা ধরেছে তাতে। যেন কবর থেকে উঠে এসেছে পুরনাে লাশ। ওর গাড়িতে ক্যাম্প মুনলাইটে যাবার কথা ভাবতেই হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে এলাে আমার।
ভূতুড়ে কবর :
পাহাড়ের ওপরে অন্ধকার গুহার মধ্যে সেনিকা ইন্ডিয়ানদের কবর। পাহারা দেয় এক বিশাল ভয়ংকর ভূতুড়ে কুকুর। এই গল্প বিশ্বাস করলাে না রিচি, ঢুকে পড়লাে গুহায়। অগণিত কঙ্কালের মাঝে দাঁড়িয়ে যখন বুঝতে পারলাে, ভুলটা কী করেছে, ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে অনেক। প্রাণ বাঁচিয়ে ফেরা এখন অসম্ভব।
ফ্যান্টাসি
চ্যাংদোলা করে নিয়ে গােয়েন্দাদেরকে পানিতে ছুঁড়ে ফেলল নাবিকেরা। পানিতে পড়ার জন্যে তৈরি হয়েই ছিল গােয়েন্দারা। কিন্তু পড়লাে কাঠের মেঝেতে। হতবুদ্ধি হয়ে গেল তিনজনেই। এ কী ভূতুড়ে কাণ্ড! এখানে কাঠ এলাে কোথা থেকে? উঠে বসলাে। তাকাতে লাগলাে চারপাশে।
পিশাচের কবলে :
ওয়াসিম বলল, বলেছিলাম না। ভূতুড়ে! ওটাকে ধ্বংস করতে না পারলে নিস্তার নেই। তােমার, অঞ্জন! ‘কিন্তু কীভাবে ধ্বংস করবাে?' ভাবতে লাগলাম। ঘুম এলাে না। বিছানায় শুয়ে ছটফট করতে থাকলাম। সত্যি বলতে কী, ভয় পেয়েছি আমি। কী আছে কালাে পােশাকটাতে? দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে অভিশপ্ত এক কালাে পিশাচ। কীভাবে রেহাই পাব এর হাত থেকে?