ছড়া সৃষ্টির সাফল্যে, নিমগ্নতায় ও প্রাচুর্যে মৃৎফর রহমান লিটন। এতােটাই প্রতাপশালা যে সে-কথা অs আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এক যুগ আগে বাংলা ২ার অবিস্মরণীয় এষ্টা অন্নদাশঙ্কর রায়ও বলেছেন, 'রিটন তু নে কামাল কিয়া ভাই/হড়ায় তােমার মুড়ি তাে আর নাই ।... আমি তাে তার ছন্দ মিলে কোনও খুত দেখি নে।' একই সময়ে কবি বেলাল চৌধুরী বলেছেন, “ছড়া আর রিটন প্রায় সমার্থবােধক শব্দ এখন বাংলাদেশে। ছড়া বলতেই মনে আলো রিটনের কথা। আর রিটন বলতেই মনে আসে ছড়ার কথা। ছড়া লিখেও যে তারকাখ্যাতি অর্জন করা যায় রিটন তার একমাত্র দৃষ্টান্ত।' কবি নির্মলেন্দু গুণ রিটনকে বলেছেন, 'ছড়াসম্রাট'। দেড় দশক আগে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন, লুৎফর রহমান রিটনের ছন্দের জগৎ বৈচিত্র্যময়। এই ছন্দ নিখুঁত, সুহ্ম, স্বতঃসূর্ত ও ক্ষিপ্র ।... ছন্দ ও মিলের সপ্রতিভ শক্তিতে তাঁর সাফল্য বাংলা শিশুসাহিত্যের বেশ কিছু উল সাফল্যের পাশে জায়গা পাবার মতাে। বুদ্ধির দাণ্ডিতে, সভাব রসিকতায়, স্বতঃস্ফূর্ততায়, বিস্ময়ের শক্তিতে তার শিশুকিশাের কবিতা আমাদের সময়ের সেরা উপহার ।... লুৎফর রহমান রিটন সাতচল্লিশােত্তর বাংলাদেশের শিশুকবিতার ধারার সবচেয়ে সফল কবি এবং বাংলাভাষার শিশুসাহিত্যের উল্লেখযােগ্য কবিদের একজন। শুধুমাত্র ছােটদের অন্যেই ছড়া লেখেন না রিটন। বড়দের জন্যে লেখা তাঁর হড়ার সংখ্যাও কম নয়। ইতােপূর্বে প্রকাশিত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যে লেখা তাঁর ছড়ার বইগুলাে-ফর অ্যাডাল্টন ওনলি, ভালােবাসার কোচিং সেন্টার, মধ্যরাতের পদ্য, প্রবালে রচিত পক্তিমালা, আসেন কাকা এইবার একটা শান্তিচুক্তি করি এবং ছড়া কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড বিপুল পাঠকের ভালোবাসা অর্জনে সক্ষম হয়েছিল।