মাসুম রেজা'র ভক্ত তার শিরোনামের স্বীকারােক্তি থেকেই স্পষ্ট হয়, এটি একটি পাস্তুরিত নাটক। তিনি হেনরিক ইনসেন এর ব্র্যান্ড অবলম্বনে নাটকটি রচনা করেছেন, ফলে নাটকটির মধ্যে সংকরীকরণের সহ কি তাকার সম্ভাবনা ছিলাে। এমন একটি সময় ছিল যখন আমি নিজে রূপান্তরে সম্পূর্ণরূপে আস্থাহীন ছিলাম। সেই বীর্যবান অভিযােদ্ধা নাট্যকার ও মঞ্চ অভিনেতা প্রয়তি অজিতেশ বন্দোপাধ্যায় এ মতামত (১৯৭৫) দ্বারা প্রভাবিত হয়ে 'Adaptation নিয়ে একসময় আমাদের দেশে (ভারতে) প্রচণ্ড আলােচনা হয়েছিলো যে Adaptation মানেই নাকি সবাইকে খাটো করে ফেলা... তা আমরাও বিভিন্ন জায়গীয় লেখার চেষ্টা করেছি যে Adaptation-এর সুবিধা কি, কেন Adaptation করা দরকার, শিল্প কতটা কাচা স্তরে থাকলে Adaptation টাই'ই বেশি। Communicable এবং সেখানে Direct অনুবাদ করলে কি অসুবিধা ইত্যাদি...।' এরই সত্যায়ন পাওয়া যায় প্রথিতযশা ব্রেখট-এর ইংরেজি অনুবাদক এরিক বেন্টলে-র এই বক্তব্যে। তিনি মনে করেন প্রথমে আক্ষরিক অনুবাদ এবং প্রয়োজনে সব বিদেশী নাটকই অন্য ভাষায় পরবর্তিতে রূপান্তর হওয়া উচিৎ। এমন একটি উপলব্ধির প্রেক্ষাপট সম্ভবত এভাবে ব্যাখ্যা করা যায় যে নাটকের জন্মগতভাবেই দ্বৈতসত্ত্বা রয়েছেপঠনসত্না ও কৃত্যসল্লা। পঠনসত্ত্বায় রূপান্তরের প্রয়ােজন ক্ষীণ অন-অভ্যৰ্থীয় নয়। অপর দিকে নাটকের মঞ্চ বা কৃতসার প্রয়ােজন প্রধানত দর্শকদের জন্যই একারণে যে নাট্যজগতের সকল স্বজনরাই দেশজ স্থান-কাল-পাত্রকে দর্শকদের সাথে অধিকতর উত্তম সংযােগস্থাপন কৌশল বলে বিবেচনা করেন-বিশেষ করে বাংলাদেশে, যেখানে নাট্যশিল্প, অজিতেশ-এর কথা মতাে, “কাচা স্তরে” আছে বা ছিল। অপর একটি দিকও অবশ্য অনস্বীকার্য। এবং সেটি হলাে অন্য ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে রূপান্তরিত ভাষা ও সংস্কৃতির একটি সাযুজ্য স্থাপন চেষ্টা-যাকে আমি সংকরীকরণ বলে সংজ্ঞায়ীত করেছি।