Loading...

উপন্যাসসমগ্র-১ (হার্ডকভার)

স্টক:

৪০০.০০ ২৬৮.০০

সূচি পদ্মানদীর মাঝি.........................................................৯ পুতুলনাচের ইতিকথা..............................................৯১ অহিংসা......................................................................২৪৭ চতুষ্কোণ.....................................................................৩৭৫ জননী..........................................................................৪৫২ হলুদ নদী সবুজ বন ...............................................৫৬৩ দিবারাত্রির কাব্য........................................................৬৬১ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনপঞ্জি....................৭৪৯ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রন্থতালিকা...................৭৫১  ভূমিকা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মার্কসবাদী সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮১৯৫৬)। তিনি আমৃত্যু হৃদয়ের রক্তক্ষরণকে ধারণ করে মাত্র অর্ধশতাব্দী কাল পর্যন্ত বেঁচেছিলেন। এই স্বল্পায়ু জীবনের মধ্যে প্রস্তুতি পর্ব ছিল প্রথম বিশ বছর। তারপর প্রায় তিরিশ বছর অবিরাম লিখে গেছেন। আঞ্চলিকতা ও রহস্যময়তা, নর-নারীর সম্পর্কের বাস্তব বিশ্লেষণ, ফ্রয়েডবাদ আর মার্কসবাদ এসব কিছুকে ধারণ করে তিনি লিখেছেন উপন্যাস ও ছােটগল্প। লিখবার সময় আজন্ম অর্জিত বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ও পারিবারিকভাবে সঞ্চিত মানুষের অর্থনৈতিক মানদণ্ডে নির্ণিত পারস্পরিক সম্পর্কের তিক্ত অভিজ্ঞতা; তাঁর লেখায় আশ্রয় করেছে। ফলে তাঁর সাহিত্য হয়ে উঠেছে দর্শন, তত্ত্ব, অভিজ্ঞতা ও সত্যে সমৃদ্ধ জীবনের কঠিন চিত্র। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃজনী প্রতিভা ওই চিত্রকে করেছে বর্ণিল, আকর্ষণীয় ও অনন্য। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন উনচল্লিশটি উপন্যাস। এই উপন্যাসগুলির মধ্যে অধিকাংশই শিল্পমানে অসাধারণ। তার মধ্য থেকে আটটি উপন্যাসকে নিয়ে একত্রিত করে ‘শ্রেষ্ঠ উপন্যাস’ নামকরণ করা হয়েছে। কাজটি সহজ নয় এবং তর্কাতীতও নয়। প্রশ্নহীন ও সহজ হতাে, যদি বিশটি উপন্যাসের একত্র সংকলন করে শ্রেষ্ঠ উপন্যাস নামকরণ করা যেত। কারণ তার অন্তত বিশটি উপন্যাসই কোনাে না কোনাে কারণে শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচিত। তাই গ্রন্থের আকৃতি ও পাঠকের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনা করে মাত্র আটটি উপন্যাসকে শ্রেষ্ঠত্বের মলাটে বন্দি করা হয়েছে। এখানে সংকলিত হয়েছে জননী (১৩৯৫), দিবারাত্রির কাব্য (১৯৩৫), পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬), পুতুলনাচের ইতিকথা (১৯৩৬), অহিংসা (১৯৪১), চতুষ্কোণ (১৯৪২), চিহ্ন (১৯৪৭) ও হলুদ নদী সবুজ বন (১৯৫৬)। উপন্যাসগুলি নির্বাচনের সময় মানিক। বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানস পরিবর্তনের প্রধান প্রধান ধারাকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সাহিত্য জীবনের আদি, মধ্য ও অন্তকালের সৃষ্টির প্রতিনিধিত্বও নিশ্চিত করা হয়েছে। ‘শ্রেষ্ঠ উপন্যাস’ গ্রন্থের প্রথমেই সংকলিত হয়েছে অহিংসা (১৯৪১) উপন্যাসটি। এটি প্রথমে পরিচয়’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। এখানে ধর্ম ব্যবসায়ীদের অলৌকিক মােহিনী মায়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ ও বন্দিত্বের সমালােচনা করা হয়েছে। বিচারহীন আচার ও নিষ্ঠুর নিষ্ঠা সর্বস্ব ধর্মকে বিদ্রুপ করেছেন মানিক। লেখক ধর্মপ্রাণ সরল মানুষকে ধর্মান্ধতার অন্ধকার থেকে মুক্তির জন্যে সংগ্রাম করতে বলেছেন। জীবনের অভাব, দুঃখ, দুর্দশা থেকে মুক্তির পথ ধর্মের অলৌকিকতা নয় বরং মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ রাজনৈতিক সগ্রাম এই মূল বক্তব্যকে ভিত্তি করে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনা করেছেন অহিংসা। চতুষ্কোণ (১৯৪২) উপন্যাসটি গড়ে উঠেছে নর-নারীর দেহজ কামনাকে কেন্দ্র করে। ফ্রয়েডিয় মনােবিকলনকে কেন্দ্র করে লেখক একটি জটিল কাহিনীর বিন্যাস করেছেন আর তার সাথে গৌণভাবে উপস্থিত করেছেন আর্থ-সামাজিক বিষয়টিকে। গিরি-মালতী-সরসী
uponyassomogro-1,uponyassomogro-1 in boiferry,uponyassomogro-1 buy online,uponyassomogro-1 by Manik Bondhopadhai,উপন্যাসসমগ্র-১,উপন্যাসসমগ্র-১ বইফেরীতে,উপন্যাসসমগ্র-১ অনলাইনে কিনুন,মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর উপন্যাসসমগ্র-১,9847031100018,uponyassomogro-1 Ebook,uponyassomogro-1 Ebook in BD,uponyassomogro-1 Ebook in Dhaka,uponyassomogro-1 Ebook in Bangladesh,uponyassomogro-1 Ebook in boiferry,উপন্যাসসমগ্র-১ ইবুক,উপন্যাসসমগ্র-১ ইবুক বিডি,উপন্যাসসমগ্র-১ ইবুক ঢাকায়,উপন্যাসসমগ্র-১ ইবুক বাংলাদেশে
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর উপন্যাসসমগ্র-১এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 280 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে।uponyassomogro-1 by Manik Bondhopadhaiis now available in boiferry for only 280 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৭৫২ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2019-08-01
প্রকাশনী সালাউদ্দিন বইঘর
ISBN: 9847031100018
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
লেখকের জীবনী
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (Manik Bondhopadhai)

শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, মধ্যবিত্ত সমাজের কৃত্রিমতা, নিয়তিবাদ ইত্যাদি বিষয়কে লেখার মধ্যে তুলে এনে বাংলা সাহিত্যে যিনি অমর হয়েছেন, তিনি হলেন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। খ্যাতিমান এই সাহিত্যিক ১৯০৮ সালের ১৯ মে বিহারের সাঁওতাল পরগনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, আর মানিক ছিলো তাঁর ডাকনাম। বাবার বদলির চাকরিসূত্রে তাঁর শৈশব, কৈশোর ও ছাত্রজীবন কেটেছে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে, যার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের পটভূমিতে বিভিন্ন সাহিত্য রচনা করেছেন তিনি। প্রবেশিকা ও আইএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় গণিত বিষয়ে অনার্স করতে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। এখানে পড়াশোনাকালে বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে তিনি 'অতসী মামী' গল্পটি লেখেন। সেই গল্পটি বিখ্যাত 'বিচিত্রা' পত্রিকায় ছাপানো হলে তা পাঠকনন্দিত হয় এবং তিনি সাহিত্যাঙ্গনে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি সাহিত্য রচনায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন, যার ফলে তাঁর পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং তিনি আর পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। তাঁর হাতে বাংলা সাহিত্যে এক বৈপ্লবিক ধারা সূচিত হয় ঐ সময়ে, যখন সারা পৃথিবী জুড়ে মানবিক বিপর্যয়ের এক চরম সংকটময় মুহূর্ত চলছে। কমিউনিজমের দিকে ঝুঁকে যাওয়ায় তাঁর লেখায় একসময় এর ছাপ পড়ে এবং মার্ক্সীয় শ্রেণীসংগ্রাম তত্ত্ব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমগ্র। ফ্রয়েডীয় মনোসমীক্ষণেরও প্রভাব লক্ষ্য করা যায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র-তে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমূহ এর মধ্যে 'পদ্মানদীর মাঝি', 'দিবারাত্রির কাব্য', 'পুতুলনাচের ইতিকথা', 'শহরতলি', 'চতুষ্কোণ', 'শহরবাসের ইতিকথা' ইত্যাদি বিখ্যাত উপন্যাস, এবং 'আত্মহত্যার অধিকার', 'হারানের নাতজামাই', 'বৌ', 'প্রাগৈতিহাসিক', 'সমুদ্রের স্বাদ', 'আজ কাল পরশুর গল্প' ইত্যাদি গল্পগ্রন্থ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা রচনার কিছু নিদর্শন থাকলেও সেগুলো তেমন উল্লেখযোগ্যতা অর্জন করেনি। অসামান্য এই কথাসাহিত্যিক মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ১৯৫৬ সালের ৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

সংশ্লিষ্ট বই