ফল একটি স্বাস্থ্যরক্ষাকারী খাদ্য, কারণ ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবন, শর্করাজাতীয় পদার্থ ও ভিটামিন। খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা ছাড়াও অর্থকরী ফসল হিসেবেও ফল উল্লেখযোগ্য। নিত্যন্ত স্বল্পব্যয়ে ফল চাষ থেকে আয় হতে পারে। ফল চাষের মধ্যে কয়েকটিকে কেন্দ্র করে ছোট বড় নানা ধরনের কুটির শিল্প গড়ে উঠতে পারে। এই ধরনের ছোট শিল্পগুলি বিশেষ বিস্তার লাভ করেনি। এক কথায় এগুলো আমাদের দেশে প্ৰায় নেই বললেই চলে। ফল চাষের উপর ভিত্তি করে আর একটি অনুকল্প শিল্প গড়ে উঠতে পারে যা হচ্ছে ফল সংরক্ষণ শিল্প। ফলের মরশুমে প্রতি বছর কত ফল পঁচে নষ্ট হয় বা কমদামে বিক্রি করতে হয়। এর ফলে ফল চাষীদের চাষের প্রতি একটা অনীহা আসে। অথচ জ্যাম, জেলি, স্কোয়াস, জুস প্রভৃতি তৈরি করে সংরক্ষণ করে রাখলে এই ধরনের অপচয় বন্ধ করা যায়। আবার ফলের দামটা একটা ভারসাম্য থাকে।
অবশ্য আবার এই সব সংরক্ষণ শিল্প কেন্দ্রে আবার সারা বছরই যেন ফলের যোগান থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে তা না হলে আবার এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা দুরুহ ব্যাপার হয়ে দাড়াবে। যেমন: গ্ৰীষ্মকালে আম, জাম, আনারস, পেঁপে প্রভৃতি ফল থেকে শুরু করে বর্ষাকালে আনারস, লেবু এবং শীতকালে কমলালেবু, পেয়ারা, আঙুর, আপেল প্রভৃতি ফলের যোগান দিতে হবে।
ফল চাষের উপকারিতা বলতে গেলে আরও দুই একটি নতুন দিক উল্লেখ করতে হয়। যেমন: আমাদের দেশে গোচারণের জমির বড় অভাব। আম, নারকেল বা লিচু বাগানে ঘাসের সাথে কলাই, খেসারি, বরবটি, মটর ইত্যাদির চাষ করা যেতে পারে। ঘাস লাগানোর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে। উলু বা কাশ জাতীয় গভীর শিকড়যুক্ত ঘাস যাতে বাগানে ঢুকে পড়তে না পারে। বছর বছর সার ও পানি দিলে এই ঘাস ও ফল শস্যের যেমন উপকার হবে তেমনি। ফলগাছেরও উপকার হবে। এছাড়া আম, লিচু, নারকেল, কঁঠাল প্রভৃতি বাগানে প্রথম ৮-১০ বছর যথেষ্ট জমি খালি পড়ে থাকে। এসব জমিতে নানা রকমের ফসল চাষ করে আয় বাড়ানো যায়। পানি ও সারের সুবিধা থাকলে আলু, কপি, বেগুন চাষ করা যায়। এভাবে ফল বাগানে বিভিন্ন শস্যের চাষে উৎসাহ দিলে চাষীর আয় অনেক বাড়ে।
আমাদের দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে শহরাঞ্চলেও ঘরবাড়ির ঘনত্বও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। সে কারনে অনেকেরই বাড়িতে ফুল, ফল ও সবজির বাগান করার মতো বাড়তি জায়গা পাওয়া যায় না। ইদানিংকালে শহরাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়ির ছাদে ও বারান্দায় ফুল, ফল ও সবজির চাষ করছেন। মাটির তৈরি টব বা সিমেন্টের বড় টবে ফলের চাষ বেশি হয়। ঢাকা শহরে সহ অনেক বড় বড় শহরের বাড়ির ছাদে বড় বড় মাটির টবেও কিছু কিছু ফল গাছ লাগাতে দেখা যায়।
আশা রাখি আমার এ বইখানি টবে ও জমিতে ফল চাষ করার জন্য বিশেষ উপাকারে আসবে বলে আমি মনে করি।
ড. মো: আখতার হোসেন চৌধুরী
টবে ও জমিতে ফলের চাষ বইয়ের বিষয়সূচি:
*প্রথম অধ্যায় : উন্নত প্রথায় ফলের চাষ পদ্ধতি
*দ্বিতীয় অধ্যায় : গাছ রোপণ পদ্ধতি
*তৃতীয় অধ্যায় : গাছের বংশবৃদ্ধি
*চতুর্থ অধ্যায় : গাছ ছাঁটাই-এর প্রয়োজনীয়তা
*পঞ্চম অধ্যায় : টবে/বাড়ির ছাদে ফলের চাষপদ্ধতি
*ষষ্ঠ অধ্যায় : টবে ও জমিতে আম এর চাষ পদ্ধতি
*সপ্তম অধ্যায় : টবে ও জমিতে আঙ্গুর এর চাষ পদ্ধতি
*অষ্টম অধ্যায় টবে ও জমিতে কুল এর চাষ পদ্ধতি
*নবম অধ্যায় : টবে ও জমিতে জামরুল এর চাষ পদ্ধতি
*দশম অধ্যায় : টবে ও জমিতে ডালিম এর চাষ পদ্ধতি
এগারতম অধ্যায় : টবে ও জমিতে পেয়ারা এর চাষ পদ্ধতি
*বারোতম অধ্যায় : টবে ও জমিতে পেঁপে এর চাষ পদ্ধতি
*তেরোতম অধ্যায় : টবে ও জমিতে সফেদা এর চাষ পদ্ধতি
*চৌদ্দতম অধ্যায় : টবে ও জমিতে লিচু এর চাষ পদ্ধতি
*পনেরতম অধ্যায় : টবে ও জমিতে লেবু এর চাষ পদ্ধতি
*ষোলতম অধ্যায় : টবে ও জমিতে কামরাঙ্গা এর চাষ পদ্ধতি
*সতেরতম অধ্যায় : টবে ও জমিতে স্ট্রাবেরীর চাষ পদ্ধতি
*আঠারতম অধ্যায় : ফল বিপণন পদ্ধতি
ড. মোঃ আখতার হোসেন চৌধুরী এর টবে ও জমিতে ফলের চাষ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 120.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Tobe O Jomite Foler Chash by Dr. Md. Akhter Hossain Chowdhuryis now available in boiferry for only 120.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.