Loading...

থ্রি এ এম (হার্ডকভার)

অনুবাদক: সালমান হক

স্টক:

২২০.০০ ১৪৩.০০

“থ্রি এ এম” বইটির প্রথম দিকের কিছু কথাঃ এক ঘন্টা।ষাট মিনিট। তিন হাজার ছয়শ সেকেন্ড। | প্রতিদিন আমার জন্যে কেবল এটুকু সময়ই বরাদ্দ থাকে। এই এক ঘন্টাই আমি জেগে থাকি পুরো চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে। কিন্তু এই ঘটনার পেছনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখা দিয়ে আমি আপনাদের বিরক্ত করতে চাই না, বরং সরাসরি গল্পে চলে যাওয়া যাক। আর সেই গল্পও একখান! এক ঘন্টার মধ্যেই আমাকে সেটা আপনাদের শোনাতে হবে। কিন্তু তা-ও আপনাদের এটুকু জানিয়ে রাখি, এমন কোন ডাক্তার নেই যাকে আমি দেখাইনি, আর যত প্রকারের ওষুধ কারো পক্ষে খাওয়া সম্ভব আমি খেয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আমি প্রতিদিন রাত তিনটায় ঘুম থেকে উঠি আর এর এক ঘন্টার মধ্যেই আবার ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর টানা তেইশ ঘণ্টা ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেই। পরের দিন আবার রাত তিনটায় জেগে উঠি। এভাবেই চলছে আমার জীবন। জানি, এরকম জীবনে হয়ত বেশি কিছু করা যায় না, কিন্তু এটাই আমাকে মেনে নিতে হয়েছে।আমার বয়শ এখন ছত্রিশ।
এই বয়সে অন্যরা প্রায় ২০০০০০ ঘন্টা জেগে কাটিয়েছে। কিন্তু আমি এই সময়ে জেগে ছিলাম ১৪,০০০ ঘন্টারও কম। একটা তিন বছরের বাচ্চার চেয়েও কম। ডাক্তারদের মতে, পুরো পৃথিবীতে মাত্র তিনজন মানুষ আছে যারা কিনা আমার মত এরকম একই মেডিকেল কন্ডিশনের ভুক্তাভোগি হ্যা, মেডিক্যাল কন্ডিশন-এইটাই বলে তারা। কোন রোগ না, কোন অসুস্থতা না, শুধু একটা মেডিক্যাল কন্ডিশন। তাইওয়ানের একটা বাচ্চা মেয়ের আছে এই কন্ডিশন আর আইসল্যান্ডে একটা ছেলের। কিন্তু এই কন্ডিশনের নামকরণ করা হয়েছে আমার নাম অনুযায়ি। কারণ আমার ব্যাপারটাই প্রথম নজরে। এসেছিল সবার। হেনরি বিনস-এটাই বলা হয় এই কন্ডিশনকে। আমি হেনরি বিনস আর আমার হেনরি বিনস আছে বাহ্ সারাংশ
এক ঘন্টা।ষাট মিনিট। তিন হাজার ছয়শ সেকেন্ড। সাধারণের জন্য যা খুবই সামান্য হেনরি বিনসের জন্য তাইই মহার্ঘ্য। কেননা চব্বিশ ঘন্টার মাঝে এতটুকু সময়ই তার জন্য বরাদ্দ। রাত ৩টা থেকে ৪ টা। বাকি সময় বিরল মেডিক্যাল কন্ডিশনে ভোগা হেনরির সময় কাটে ঘুমে। এই হেনরিই ঘটনাচক্রে পরে যান এক খুনের ঘটনায়। খুনের সাসপেক্ট স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। যে খুনের পরোক্ষ স্বাক্ষী ছিল হেনরি সেই খুনেরই আসামি হিসেবে পুলিশ তাকেই সন্দেহ করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেনরিই তার বরাদ্দকৃত ১ ঘন্টা সময় দিয়েই খুনের তদন্ত করে-পড়ামাত্রই যা মনে হয় অবিশ্বাস্য!

Three Am,Three Am in boiferry,Three Am buy online,Three Am by Nick Pirog,থ্রি এ এম,থ্রি এ এম বইফেরীতে,থ্রি এ এম অনলাইনে কিনুন,নিক পিরোগ এর থ্রি এ এম,9848729925,Three Am Ebook,Three Am Ebook in BD,Three Am Ebook in Dhaka,Three Am Ebook in Bangladesh,Three Am Ebook in boiferry,থ্রি এ এম ইবুক,থ্রি এ এম ইবুক বিডি,থ্রি এ এম ইবুক ঢাকায়,থ্রি এ এম ইবুক বাংলাদেশে
নিক পিরোগ এর থ্রি এ এম এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 138.60 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Three Am by Nick Pirogis now available in boiferry for only 138.60 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ১০৯ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2016-02-01
প্রকাশনী বাতিঘর প্রকাশনী
ISBN: 9848729925
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

নিক পিরোগ
লেখকের জীবনী
নিক পিরোগ (Nick Pirog)

জনপ্রিয় মার্কিন ঔপন্যাসিক নিক পিরোগ মূলত গোয়েন্দা এবং থ্রিলার ঘরানার গল্প-উপন্যাস রচনা করেন। তার রচিত ১১টি থ্রিলার গল্প বিভিন্ন সময়ে বেস্টসেলার নির্বাচিত হয়েছে। ৩৮ বছর বয়সী এই লেখকের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভারে। কলোরাডোতে মাধ্যমিক শেষ করে তিনি কলোরাডো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। ছোট থেকেই তার লেখালেখির প্রতি ভীষণ আগ্রহ ছিল। বিশেষ করে নিক পিরোগের শৈশব থেকেই রহস্যপ্রীতি ছিল। মাত্র ১২ বছর বয়সেই তিনি গোয়েন্দা-কাহিনী রচনা শুরু করেন। নিক পিরোগ সবসময়ই জানতেন, বড় হয়ে তিনি একজন লেখকই হবেন। তাই পড়াশোনায় ইতি টেনে তরুণ নিক পিরোগ তার শৈশবের আবেগ, লেখালেখিতে পুনরায় মনোনিবেশ করেন। মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি প্রথম গ্রন্থ ‘আনফোরসিন’ রচনা করেন। এরপর আর থেমে থাকেনি তার কলম। একের পর এক পাঠকপ্রিয় বই উপহার দিয়ে গেছেন তিনি। নিক পিরোগ এর বই সমূহ অধিকাংশই রহস্যের আবরণ আর তা অনাবৃত করার রোমাঞ্চকর গল্প নিয়ে লিখিত। এরাইভ্যাল, গ্রে ম্যাটার, দ্য আফ্রিকানস, শো মি, থ্রি এ এম, থ্রি: টেন এ এম, রেবেলিয়ন তার সবচেয়ে জনপ্রিয় রচনাসমগ্র। নিক পিরোগ ‘হেনরি বিন্স’, ‘থমাস প্রেস্কোট’ এবং ‘ম্যাডি ইয়ং’ এর মতো জনপ্রিয় চরিত্রগুলোর জনক। থমাস প্রেস্কোট, যিনি তার কৌতুকরসবোধের সাহায্যে নিমিষেই নরহত্যাজনিত কেসগুলো সমাধান করে ফেলেন। নিক পিরোগের আরেকটি বিদ্যমান চরিত্র হেনরি বিন্স, যার জীবনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় মাত্র এক ঘন্টার জন্য। অর্থাৎ প্রত্যেকদিন তিনি মধ্যরাত ৩টায় জেগে ওঠেন, তার যাবতীয় কর্মকান্ড মাত্র ১ ঘন্টায় শেষ করেন, আবার ভোর ৪টায় ঘুমিয়ে যান। অন্যদিকে ম্যাডি ইয়ং এর চারিত্রিক বৈশিষ্টের সাথে নিক পিরোগ নিজের চরিত্রের মিল খুঁজে পান। রহস্যজনক চরিত্র ম্যাডি ইয়ং আসলে মারা গেছেন, কিন্তু এখনও একটি ভিন্ন বাস্তবতায় বাস করছেন। গোয়েন্দা সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে নিক পিরোগ এর বই সমগ্র বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। বর্তমানে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করছেন। তার সঙ্গী দুটি পোষা কুকুর- পটার এবং পেনি।

সংশ্লিষ্ট বই