মানুষের প্রয়ােজনে যন্ত্র তৈরি হলাে সত্যি। কিন্তু যন্ত্র জানেনা ভালবাসার অনুভূতি কী ও কেমন। তেমনি ঘৃণা বা ভয় ও তার কাছে অজানা-অচেনা । যন্ত্র কখনাে আলসারে ভােগে না, তার হার্ট অ্যাটাক হয়না অথবা মানসিক চাঞ্চল্য বা আবেগপ্রবণতা জনিত কোনরকম উত্তেজনারও শিকার তাকে হতে হয় না। মানুষ যদি যন্ত্রে পরিণত হয়, হয়ত একমাত্র তখনই সে বাঁচতে পৱৰে । কিছু কিছু মানুষ ওরকম ভাবেই বেঁচে আছে পৃথীবিতে । মানুষরূপে পরিচিত কিছু লােক প্রায়ই সমাজকে শাসন করে-একজন একনায়ক হলেও তার দেশের ক্ষমতার যন্ত্র । একজন উৎসর্গীকৃত প্রাণশিল্পী একটি প্রতিভা যন্ত্রে পরিণত হতে পারেন। কখনাে এ বিবর্তন মানুষের অজ্ঞাতসারেই ঘটে থাকে। হয়ত এটা তখনই ঘটে যখন প্রথমবার সে বলে “আমি আঘাত পেয়েছি।” এবং তার অবচেতন সত্তা উত্তরে জানায়“যদি আমার জীবন থেকে সমস্ত বােধ আর অনুভূতিকে কেটে বাদ দেই—আমি আঘাত পেতে পারি না!” রবিন স্টোন সম্পর্কে আমাণ্ডাকে একথা বললে সে নিশ্চয় হাসত-কারণ আমাণ্ডা তার প্রেমে পড়েছিল। রবিনস্টোন ছিল সুন্দর ও সুপুরুষ। সহজেই ঠোটে হাসি ফোটাতে পারত সে। আবেগপ্রবণ না হয়েই সে চিন্তা করতে পারত। শুধু দেহের সাহায্যেই সে আমাণ্ডাকে ভালােবাসতে পারত। একসময় রবিনস্টোন ভালােবাসার এক যন্ত্রে পরিণত হলাে। অতপর ...