বাংলা আদায় করি—কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। আকাশে বাতাসে মুনির গুঞ্জন ছড়িয়ে অদৃশ্য আহবান এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে নিতে হবে স্থান। সত্যিই খুনি। ছেড়ে দিতে হলাে বাংলা ভাষার এই কবিকে। বাংলা ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের ৩০শে শ্রাণ। রবিবার ইংরেজি ১৯৯৯ সালের ১৫ই আগস্ট কলকাতায় ণীহাট অঞ্চলের একটা বাড়িতে জন্ম হলাে সুকান্তের । ৪ নং মহিম হালদার স্ট্রিটের সেই বাড়িটি ছিল কবির মাতামহ, সতীশচন্দ্র ভট্টাচার্যের । প্রানুযায়ী মামাবাড়িতে ভূমিষ্ঠ হলেন সুনীতি দেবীর দ্বিতীয় সন্তান কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। পিতা নিবাৰণচন্দ্র ভট্টাচার্যের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন এই সুনি দেবী। | কবির জন্য কলকাতায় হলেও তাঁর পূর্বপুরুষের নাম ছিল বাংলাদেশের কোটালীপাড়ায়। ছায়া সুনিবিড় সবুজ এই গ্রামে একসময় জার্শী পঞ্চিত্রের বসবাস ছিল। এরকম পরিবেশস্থিত আবহাওয়ায় বিখ্যাত বৈদান্তিক পণ্ডিত মধুসূদন সরস্ত্র জন্মগ্রহণ করেন। জীবিকার অন্বেষণে মাদারীপুরে স্থিত হন তিনি আর এখানে জন্ম হয় জগন্দ্র ভট্টাচার্যের, যিনি পরবর্তীকালে সংস্কৃতিতে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন । "প্রের দুই ছেলে কৃষ্ণচন্দ্র ও নিবারণ কাচার্য। এর মশ্যে বংশের ধারা অনুযায়ী পণ্ডিত হয়ে ওঠেন কুয়চন্দ্র । কিন্তু পিতার স্নেহ জোটেনি এই দুই ভাইয়ের। | কৃষ্ণচন্দ্র ও নিবারুণ ভট্টাচার্যের বয়স যখন যত্র-মে আটি ও দেড় বস্তুর, শৈশবেই পিহীন হয়ে এরা চরম দৈন্যদশায় পড়ে যান। একমাত্র মায়ের আঁচল ছাড়া আর কোনাে নির্ভরতার জায়গা ছিল না তাদের। চরম দারিদ্রকে সঙ্গী করে লন্ত মায়ের অসীম সাহসী মনােবলের ওপর দাঁড়িয়ে যান । আর এই মানসিক দৃঢ়তায়। কৃষ্ণচন্দ্র লেখাপা করতে ঢাকায় চলে আসেন। কিছুদিন পরে চলে যান বিক্রমপুরে। এখানে সংস্কৃতে প্রাথমিক ধাপটা সম্পন্ন করে তিনি চলে যান কলকাতায় এবং সংস্কৃত শিক্ষার আদ্যোপান্ত অর্থাৎ গতিকোত্তর শিক্ষা সম্পা করেই ‘স্মৃতিতীর্থ উপাধি পান।