Loading...

সুইসাইড নোট ( ব্ল্যাক এডিশন) (হার্ডকভার)

স্টক:

৪০০.০০ ৩০০.০০

পারিবারিক ভাঙ্গন, মা-বাবার মাঝে দ্বন্দ্ব, বিচ্ছেদ যে কোনো সন্তানের সুস্থ মানসিক বিকাশের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শ্রাবণও তেমন, বাবা মায়ের বিচ্ছেদ তাকে একঝাঁক একাকীত্ব, অস্তিত্বহীনতা এবং হতাশার মুখে দাঁড় করিয়ে দেয়। তার অন্ধকার জীবনে হঠাৎ এক টুকরো আলো হয়ে আসে নীলা, অল্প অল্প করে জমতে থাকে তাদের ভালবাসা এবং ঘর বাঁধার স্বপ্ন। সে নীলাই যখন নিভু নিভু করে ডুবে যেতে চায় ঠিক তখনই শ্রাবণ ফিরে যায় তার পুরনো একাকীত্বে। অবহেলা নামক ফিনিক্স পাখি তাকে করে তোলে ভয়ানক, প্রচণ্ড ভয়ানক।
রোমান্টিক থ্রিলার সুইসাইড নোট শ্রাবণ এবং চারদেয়ালের মাঝে আটকে থাকা অসহায় এক মায়ের গল্প। সুইসাইড নোট ঝুমুর নামক এক প্রাণবন্ত কিশোরীর গল্প। সুইসাইড নোট আমি এবং আমাদের গল্প।

Suicide Note,Suicide Note in boiferry,Suicide Note buy online,Suicide Note by Md. Sohidul Islam Rajon,সুইসাইড নোট,সুইসাইড নোট বইফেরীতে,সুইসাইড নোট অনলাইনে কিনুন,মোঃ সহিদুল ইসলাম রাজন এর সুইসাইড নোট,9789849579281,Suicide Note Ebook,Suicide Note Ebook in BD,Suicide Note Ebook in Dhaka,Suicide Note Ebook in Bangladesh,Suicide Note Ebook in boiferry,সুইসাইড নোট ইবুক,সুইসাইড নোট ইবুক বিডি,সুইসাইড নোট ইবুক ঢাকায়,সুইসাইড নোট ইবুক বাংলাদেশে
মোঃ সহিদুল ইসলাম রাজন এর সুইসাইড নোট এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 300.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Suicide Note by Md. Sohidul Islam Rajonis now available in boiferry for only 300.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ১৭৫ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2021-02-01
প্রকাশনী বইবাজার প্রকাশনী
ISBN: 9789849579281
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

4
1 reviews

1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা

  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'আঁখি আক্তার'
    "একদিনের আত্মহত্যা মহাপাপ বলে আমরা অনেকেই তা ধীরে ধীরে করি।" ♣প্রেক্ষাপট বর্তমান সময়ের একটা আলোচিত বিষয় হচ্ছে পারিবারিক কলহ, যার পরিণতি সুইসাইড। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা অনেকই এই ধরনের সমস্যাতে ভুগছেন। লেখক সহিদুল ইসলাম রাজন মূলত সেই প্রেক্ষাপটকে মাথায় রেখে সুইসাইড নোট বইটি রচনা করেন। যাতে সুন্দর ভাবে বর্তমান সমাজের চিত্র তুলে ধরেছেন যা অকল্পনীয়। পারিবারিক সমস্যার সূত্রপাত থেকে শুরু করে প্রেম এবং বাবা মায়ের অনুপস্থিতিতে প্রিয় মানুষের অবহেলার ফলাফল কি হলো তা খুব গোছানো ভাবে তুলে ধরেছেন উপন্যাসের প্রতিটি পাতায়। ♣বইটির প্রচ্ছদ ও নামকরণে স্বার্থকতা: বইয়ের প্রচ্ছদটি সত্যিই চমকপ্রদ। প্রচ্ছদ শিল্পী অতি যত্নের সাথে সেটাকে অনবদ্য করে তুলেছে। যেখানে পারস্পারিক দ্বন্দ,বিচ্ছেদ ও একাকীত্বের উপস্থিতি অনুভব করা যায়। উপন্যাসের প্রেক্ষাপট আর প্রচ্ছদের মিল নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। ♣প্রোডাকশন♣ বইয়ের বাঁধাইয়ের মান,কাগজের মান, ও ছাপার কালির যথাযথ ব্যবহার এককথায় অসাধারণ। কোথাও অভিযোগের বিন্দুমাত্র স্থান রাখেনি। ♣বাক্যে অসংগতি ও বানান ভুল: পুরো বই জুড়ে একটাও বানান ভুল কিংবা বাক্যে অসংগতি আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি। এদিক দিয়ে লেখকের তারিফ না করলেই নয়। ♣কাহিনী সংক্ষেপ: গল্পের প্রধান চরিত্রে থাকা শ্রাবণ বাবা-মা থাকা সত্ত্বেও যেন পরিবারহীন। পারিবারিক ভাঙন,মা বাবার দ্বন্দ,বিচ্ছেদ,বাবার দ্বিতীয় বিয়ে, মায়ের থেকে দূরে সরা এসব যেনো শ্রাবণকে বিশ্রীভাবে আঘাত করে। কেননা পারিবারিক বিচ্ছেদ যে কোনো সন্তানের সুস্থ মানসিক বিকাশের প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। শ্রাবণের ক্ষেত্রেও এমনি হয়। সুপরিচিত প্রিয় মানুষের এমন অপরিচিত রূপ তাকে একঝাঁক একাকীত্ব, অস্তিত্বহীনতা এবং হতাশার মুখে দাঁড় করিয়ে দেয়। কিন্তু হঠাৎ তার অন্ধকার জীবনে একটুকরো আলো হয়ে আসে নীলা, যাকে নিয়ে মনে জমতে থাকে ভালোবাসার এক অদ্ভুত রঙিন পাহাড়। জমতে থাকে একসাথে ঘর বাঁধার রঙিন কিছু স্বপ্ন। কিন্ত সে ভালোবাসার রঙিন পাহাড়ে হঠাৎ হানা দেয় তৃতীয় ব্যক্তি। শ্রাবণ তখন তার ভালোবাসাকে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। নীলার প্রতি শ্রাবণের তীব্র ভালোবাসা, সন্দেহ, তাকে না পাওয়ার ভয়, নীলাকে আটকে রাখার ইচ্ছে ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে গল্প আগাতে থাকে। নীলার সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে থাকার সময় শ্রাবণ সাময়িক সময়ের জন্য নিজেকে খুঁজে পায় সুখের স্বর্গে। সেই নীলাই যখন অস্তমিত সূর্যের মতো ডুবে যেতে চায়, তখন এমন বেদনাকাতর স্মৃতি সহ্য করতে না পেরে শ্রাবণ ফিরে যায় তার পুরোনো একাকীত্বে। শ্রাবণ কী পারবে নীলাকে নিয়ে সুখের ঘর বাধতে নাকি ডুবে যাবে একাকীত্ব আর হতাশার মহাসমুদ্রে? শেষমেশ শ্রাবণ কী সুখী হতে পেরেছিল? বইটির নাম ‘সুইসাইড নোট’ রাখার কারণ কী? কে সুইসাইড করে ? শ্রাবণ নাকি নীলা? নাকি কেউ সুপরিকল্পিতভাবে খুন করে সুইসাইড বলে ধামাচাপা দিতে চাইছে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানার এক তীব্র আকর্ষণ টেনে নিয়ে যায় বইটির শেষ পৃষ্ঠা অব্দি। ♣পছন্দের কিছু লাইন: ★ভালোবাসার মানুষ মরে গেলে বাঁচা যায়, দু'চারদিন কেঁদে পানশালা কিংবা ব্রোথেলে যাওয়া যায়, কিন্তু অন্য কারো সাথে কখনো ভাগ করা যায় না। ' ★তাকে আটকে রাখার জন্য করা চেষ্টাগুলোই তাকে হারিয়ে ফেলার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ★অথচ তুমিও জানতে তোমাকে ছাড়া আমার ঠিক কতটা কষ্ট হবে। ★নির্মম জীবনগুলোর জন্য পৃথিবী কেন যেন অনেক বেশিই নির্বোধ হয়। ★অতিরিক্ত যে কোন জিনিস বিপরীত ফলাফলের জন্ম দেয়। ★তুমি আমার অন্ধকার জীবনে একটুকরো আলোর মতো যাকে আমি আমার সবটুকু দিয়ে আগলে রাখতে চাই। ★অভ্যাস আর ভালোবাসা সাধারণত একমুখী হয়,তবে যদি দুমুখী হয় তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভ্যাস জয়ী হয়। ★তোমাকে দেখার এক অদ্ভুত লোভ আমাকে আজীবন দুঃখী করে রাখবে। ★বাবা মা একবারই আসে, একবরাই হয়। এদের পরে অন্য কেও বাবা মা হয় না, তারা বড়জোর চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু বাবা মা হতে পারে না। ★কিছু কিছু মানুষ খুব অদ্ভুত, যখন তাদের অধিকার থাকে না তখন তারা অনেক বেশি অধিকার দেখাতে চায়, আর যখন অধিকার থাকে ;তখন তারা প্রাপ্ত অধিকারের প্রতি উদাসীনতা দেখায়। ★শব্দহীন কান্নাগুলো বোধ হয় শব্দযুক্ত কান্না থেকেও অনেক বেশি ভারী। ★মানুষের মন সবসময় এক জায়গায় পড়ে থাকে না, মাঝেমাঝে বিকল্প খুঁজে। আর বিকল্প পেলে সে অতীতকে পায়ে ঠেলে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করে না, এইটা সম্ভবত মানুষের সবচেয়ে খারাপ দিক। ★যেখানে প্রত্যাশার পরিমান অনেক বেশী থাকে সেখানে ফলাফল থাকে শূন্যের ঘরে, কিংবা তারও কম- ঋণাত্মক। ★মাঝেমাঝে শূন্যতা বোঝার জন্য একটুআধটু দূরত্ব রাখতে হয়। এতে সত্যি কারের ভালোবাসা বোঝা যায়। ★মানুষের হঠাৎ বদলে যাওয়াটা তার খুব কাছের মানুষগুলোকে যে কতটা কষ্ট দেয় তা যদি বদলে যাওয়া মানুষটি একবার বুঝতে পারতো তবে সে কখনোই হয়তো বদলাতো না, সে নিজেকে হয়ত কখনোই ক্ষমাই করতে পারতো না। আর যদি বিপরীত পরিবেশই মানুষটাকে বদলে যেতে বাধ্য করে তখন সেটা অন্য পর্যায়ে চলে যাবে, সেক্ষেত্রে হয়তো মানুষটাকে দোষ না দিয়ে বরং নিরুপায় বলা চলে। ★'প্রতীক্ষা' শব্দটির সৃষ্টি সম্ভবত মেয়েদের জন্য, তারা প্রিয় মানুষ কিংবা প্রিয় যে কোনোকিছুর জন্য কারনে- অকারনে অনেক বেশী প্রতীক্ষা করতে পারে, মাঝেমাঝে আসবে না জেনেও প্রতীক্ষা করে। প্রিয় কোনোকিছুর জন্য অহেতুক প্রতীক্ষা করার মাঝেও তারা একপ্রকার সুখ পায়। ★জীবন অনেক বড় অধ্যায়, এখানে একে অন্যের যতই কাছের হোক না কেন ততক্ষণ কেউ কারো অবস্থা, অনুভূতি, আনন্দ কিংবা বেদনা বুঝতে পারবে না যতক্ষণ না একে অন্যের বিদ্যমান পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে। ★ভালোবাসা প্রকাশ করলে অবহেলা পেতে হয়,তাই কিছুসময় ভালোবাসা অপ্রকাশিত রাখাই শ্রেয়। ★কেবল তুমি গুছিয়ে দিবে বলে আমি অগোছালো হয়ে যাবো আবার, তুমি নিয়ম করে শাসন করবে বলে আমি অনিয়ম করবো বারবার। ★সে আমার কেবল ভালোবাসা না সে আমার অভ্যাসও। ★আমাদের মতো কিছু সুখ পিয়াসী মানুষ আছে যারা সবাইকে খুব সহজে আপন ভাবে, অথচ আমরা একবারের জন্যও বুঝতে চাই না যে বিপরীত মানুষগুলো আমাদের থেকে সবসময় সমদূরত্বে অবস্থান করে, তাই আমরা যত কাছে যাই তারা ঠিক ততটা দূরে সরে যায়। ★মাকে দেখে মুক্ত পাখির মতো মনে হল, মনে হলো যেন সকল বাঁধা পেরিয়ে এই বুঝি মুক্ত আকাশে উড়বার জন্য বের হলেন। চোখে-মুখে কত সজীবতা লেগেছিল মায়ের, মনে হচ্ছিল গভীর ঘুমে ঘুমাচ্ছেন তিনি। মা সত্যিই মুক্ত হয়ে গেলেন-- এক বন্দী সংসার থেকে, বয়ে বেড়ানো অজস্র যন্ত্রণা থেকে, নীলার অহেতুক গালি থেকে। আমার মা সত্যিই মুক্ত হয়ে গেলেন। ★আমার কষ্ট হবে ভেবে কেউ পিছন ফিরে তাকায়নি কখনো। ★আমার এ ঘরে চড়ুই পাখিরা বাসা বাঁধতে আসেনি কোনোদিন, তারাও জানে এ ঘরে সবাই ঘর ভাঙার গল্প বুনে কেবল। ★কিছু কিছু জিনিস জানার থেকে অজানাতে থাকা ভালো এতে অন্তত একটা সুখ পাওয়া যায়, হোকনা সেটা একটা মিথ্যে সুখ, তাও তো সুখ। ★পৃথিবীতে সবচেয়ে কষ্টের কাজ হলো ভালোবাসার মানুষটাকে অন্যের পাশে দেখা, ভালোবাসার মানুষটিকে অন্যের সাথে ভাগ করা। নীলা মরে গেলে আমি বাঁচতে পারব, খুব কষ্ট হবে তবুও বাঁচতে পারবো। কিন্তু তাকে অন্যের বুকে আমি কখনোই সহ্য করতে পারবো না। তাদের দু' জনকেই মেরে ফেলবো কাল, আমি এভাবে কষ্ট সহ্য করতে চাই না আর। আমি একটু শান্তি চাই, শুধু একটু শান্তি। ★ এবং দেয়াল জুড়ে বারবার ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তিনটি অবয়ব, যাদের পাশে লেখা ছিল--'আমি মা- বাবা, বাবা-মা আমি, বাবা আমি এবং মা, আমরা।' ★অশ্রুের কোনো রঙ নেই বলে ঠিক বুঝানো যায় না কোনটা রাগের, কোনটা কষ্টের, কোনটা অভিমানের, কিংবা কোনটা আনন্দের। ★যদি ভালোবাসা পাই আবার শুধরে নেব জীবনের ভুলগুলি, যদি ভালোবাসা পাই ব্যাপক দীর্ঘপথে তুলে নেব ঝোলাঝুলি। যদি ভালোবাসা পাই শীতের রাতের শেষে মখমল দিন পাবো, যদি ভালোবাসা পাই পাহাড় ডিঙ্গাবো আর সমুদ্র সাঁতরাবো। যদি ভালোবাসা পাই আমার আকাশ হবে দ্রুত শৎরতের নীল, যদি ভালোবাসা পাই জীবনে আমিও পাব মধ্য অন্তমিল। ★মানুষ তখনই চূড়ান্ত ভাবে পরাজিত হয় যখন সে নিজের কাছে পরাজয় স্বীকার করে নেয়। ♣লেখক সম্পর্কে কিছু কথা: মলেখক মোঃ সহিদুল ইসলাম রাজন ১৯৯৫ সালের ১৯জানুয়ারি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার চরহাজারী গ্রামে বেড়ে ওঠেন। 'সুইসাইড নোট' সম্ভবত লেখকের লেখা তৃতীয় বই। যেখানে ভালোবাসা, দুঃখ, আনন্দ, বিষাদ, ভয়, আতঙ্ক, হতাশা, ক্রোধ, প্রতিশোধ প্রায় মানবজীবনের সামগ্রিক অনুভূতিগুলো লেখক একীভূত করেছেন বইটিতে। এক্ষেত্রে লেখক বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ♣শিক্ষনীয় দিক: সুইসাইড আমাদের জন্য একটা পরিচিত শব্দ হয়ে উঠছে। রোজ পত্রিকায় পাতা উল্টালেই যেন সুইসাইডের খবর মিলছে। সুইসাইডের পরিমাণ কেন বেড়ে চলছে সেইসব কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ সহিদুল ইসলাম রাজনের "সুইসাইড নোট" বইয়ে উল্লেখ রয়েছে। সুইসাইড নোট বইয়ে বেশ কিছু শিক্ষণীয় দিক রয়েছে। যেমন- ★সন্তানের মানসিক বিকাশে মা- বাবার মধ্যকার সম্পর্কের গুরুত্ব অপরিসীম। একটা শিশুর সুষ্ঠু মানসিক বিকাশের অনেকটাই বাবা- মায়ের আচরণের জন্য বাধাগ্রস্থ হয়। এমনকি সামান্য চিৎকারও সন্তানের মানসিক বিকাশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুইসাইড নোটে এমন দুটি পরিবার এবং তাদের সন্তানদের উপর উক্ত সম্পর্কের প্রভাব দেখানো হয়েছে। ★নিজের দুর্বলতা কাউকে বলতে নেই। অন্যকে বললে সে যতোই আপন হোক না কেনো,একদিন সুযোগ পেলেই সে সেই দুর্বলতার কথা বলে আপনাকে কষ্ট দিবেই। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে কেউ দু'বারও ভাবে না। তাই নিজের দুর্বলতা কারো কাছে প্রকাশ না করাই উত্তম। ★অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না,সেটা হোক ভালোবাসা কিংবা অন্যকিছু। ভালোবাসার মানুষকে আগলে রাখার জন্য অতিরিক্ত অধিকার দেখানোর খারাপ পরিণতিও গল্পে প্রকাশ পেয়েছে। তাছাড়া তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতিতে একটা সুন্দর সম্পর্ক কীভাবে নিঃশেষ হয় সেটাও গল্পে বর্ননা করা হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত সন্দেহ যে আমাদের একদিন অতিরিক্ত একা বানিয়ে দেয় তাও এই গল্পের একটি শিক্ষণীয় দিক। ★ রাগের বসে করা কোন কাজ বা কোনো সিদ্ধান্ সঠিক হয় না। রাগ একটি সুন্দর ভালোবাসার গল্পেরও মৃত্যু ঘটাতে পারে। লেখক সুইসাইড নোট বইটিকে এসব দিক খুব আকর্ষণীয় ও নিখুঁতভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। ♣পাঠ-প্রতিক্রিয়া: যেকোনো বইয়ের শুরুটা আকর্ষণীয় হলে সেই বই পড়ার ব্যাপারেই আগ্রহ বেড়ে যায়। প্রতিটি পাতায় থাকা একেকটা টুইস্ট এবং তা জানার আগ্রহ হুরহুর করে টেনে নিয়ে যায় বইটির শেষ পৃষ্ঠা অব্দি। এরকমই চমকপ্রদ একটি বই সুইসাইড নোট। তীব্র ভালো লাগায়,হৃদয়ের গভীরে অনুভূতির বিশাল পশলা জমা থেকে ও বাকরুদ্ধকর এক অনুভূতির নাম সুইসাইড নোট। নামটিতেই মিশে আছে কত আগ্রহ,টান, গভীর কিছু অনুভূতি। একরাশ মুগ্ধতা ও ভালোলাগার সুভাসে উচ্ছাসিত হয়ে বই পড়া আরম্ভ করি। প্রতিটা বাক্যে, প্রতিটা শব্দে, প্রতিটা লাইনে লাইনে মুগ্ধতা। প্রতিটা কথায় বাস্তবতা। এতোটা সুন্দর! এতোটা গুছানো! এতোটা পরিপাটি করে লিখা। সত্যিই আমি মুগ্ধ। স্তম্ভিত। বইটি অসম্ভব ভালো লেগেছে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। বইটি পড়তে গিয়ে বারবার গা শিউরে উঠছিল। এটা লেখকের জন্য বড়ো স্বার্থকতা। যেকোনো বয়সী মানুষ নির্দ্বিধায় বইটি পড়তে পারেন। সর্বোপরি লেখকের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। পার্সোনাল রেটিং ৯.৭/১০
    July 08, 2022
মোঃ সহিদুল ইসলাম রাজন
লেখকের জীবনী
মোঃ সহিদুল ইসলাম রাজন (Md. Sohidul Islam Rajon)

Md. Sohidul Islam Rajon

সংশ্লিষ্ট বই