Loading...

সুদমুক্ত অর্থনীতি (হার্ডকভার)

স্টক:

৫০.০০ ৪০.০০

একসাথে কেনেন

বইটির সূচিপত্র:
* অর্থনৈতিক অগ্রগতির রূপরেখা
* পুঁজিবাদের প্রতারণা
* ইসলামের অবদান
* সুদমুক্ত ব্যাংক ব্যবস্থা
* সুদমুক্ত অর্থনীতি ও জাতীয় উন্নয়ন
* বীমা
* কৃষি ও কুটির শিল্পে মূলধন যােগন
* ব্যক্তিগত ব্যয়ের জন্যে ঋণ
* পরিকল্পনা
* সুদমুক্ত ব্যাংক ও গঠন ও কার্যপদ্ধতি
sudmukto arthoniti,sudmukto arthoniti in boiferry,sudmukto arthoniti buy online,sudmukto arthoniti by Maolana Muhammod Abdur Rahim (R),সুদমুক্ত অর্থনীতি,সুদমুক্ত অর্থনীতি বইফেরীতে,সুদমুক্ত অর্থনীতি অনলাইনে কিনুন,মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ) এর সুদমুক্ত অর্থনীতি,sudmukto arthoniti Ebook,sudmukto arthoniti Ebook in BD,sudmukto arthoniti Ebook in Dhaka,sudmukto arthoniti Ebook in Bangladesh,sudmukto arthoniti Ebook in boiferry,সুদমুক্ত অর্থনীতি ইবুক,সুদমুক্ত অর্থনীতি ইবুক বিডি,সুদমুক্ত অর্থনীতি ইবুক ঢাকায়,সুদমুক্ত অর্থনীতি ইবুক বাংলাদেশে
মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ) এর সুদমুক্ত অর্থনীতি এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 40.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। sudmukto arthoniti by Maolana Muhammod Abdur Rahim (R)is now available in boiferry for only 40.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৯৫ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2002-01-01
প্রকাশনী খায়রুন প্রকাশনী
ISBN:
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ)
লেখকের জীবনী
মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ) (Maolana Muhammod Abdur Rahim (R))

মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ.) গত শতকের এক অনন্যসাধারণ ইসলামী প্রতিভা। গত শতকে যে ক’জন খ্যাতনামা মনীষী ইসলামী জীবন-ব্যবস্থা কায়েমের জিহাদে নেতৃত্ব দানের পাশাপাশি লেখনীর সাহায্যে ইসলামকে একটি কালজয়ী জীবন-দর্শন রূপে তুলে ধরতে পেরেছেন, তিনি তাঁদের অন্যতম। এই ক্ষণজন্মা পুরুষ ১৩২৫ সনের ৬ মাঘ (১৯১৮ সালের ১৯ জানুয়ারী) সোমবার, বর্তমান পিরোজপুর জেলার কাউখালী থানার অন্তর্গত শিয়ালকাঠি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৮ সালে তিনি ছারছীনা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম এবং ১৯৪০ ও ১৯৪২ সালে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে যথাক্রমে ফাযিল ও কামিল ডিগ্রী লাভ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই ইসলামের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে তাঁর জ্ঞানগর্ভ রচনাবলী পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকে। ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় কুরআন ও হাদীস সম্পর্কে উচ্চতর গবেষণায় নিয়োজিত থাকেন। ১৯৪৬ সালে তিনি এ ভূখণ্ডে ইসলামী জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু করেন এবং সুদীর্ঘ চার দশক ধরে নিরলসভাবে এর নেতৃত্ব দেন। বাংলা ভাষায় ইসলামী জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ.) শুধু পথিকৃতই ছিলেন না, ইসলামী জীবন দর্শনের বিভিন্ন দিক ও বিভাগ সম্পর্কে এ পর্যন্ত তাঁর প্রায় ৬০টিরও বেশি অতুলনীয় গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর ‘কালেমা তাইয়েবা’, ‘ইসলামী রাজনীতির ভূমিকা’, ‘মহাসত্যের সন্ধানে’, ‘বিজ্ঞান ও জীবন বিধান’, ‘বিবর্তনবাদ ও সৃষ্টিতত্ত্ব’, ‘আজকের চিন্তাধারা’, ‘পাশ্চাত্য সভ্যতার দার্শনিক ভিত্তি’, ‘সুন্নাত ও বিদয়াত’, ‘ইসলামের অর্থনীতি’, ‘ইসলামী অর্থনীতি বাস্তবায়ন’, ‘সুদমুক্ত অর্থনীতি’, ‘ইসলামে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও বীমা’, ‘কমিউনিজম ও ইসলাম’, ‘নারী’, ‘পরিবার ও পারিবারিক জীবন’, ‘আল-কুরআনের আলোকে উন্নত জীবনের আদর্শ’, ‘আল-কুরআনের আলোকে র্শিক তাওহীদ’, ‘আল-কুরআনের আলোকে নবুয়্যাত ও রিসালাত’, ‘আল-কুরআনে রাষ্ট্র ও সরকার’, ‘ইসলাম ও মানবাধিকার’, ‘ইকবালের রাজনৈতিক চিন্তাধারা’, ‘রাসূলুল্লাহ বিপ্লবী দাওয়াত’, ‘ইসলামী শরীয়তের উৎস’, ‘অপরাধ প্রতিরোধে ইসলাম’, ‘অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে ইসলাম’, ‘শিক্ষা সাহিত্য ও সংস্কৃতি’, ‘ইসলামে জিহাদ’, ‘হাদীস শরীফ (তিন খণ্ড)’ ইত্যাকার গ্রন্থ দেশের সুধীমহলে প্রচণ্ড আলোড়ন তুলেছে। এছাড়া অপ্রকাশিত রয়েছে তাঁর অনেক মূল্যবান পাণ্ডুলিপি। মৌলিক ও গবেষণামূলক রচনার পাশাপাশি বিশ্বের খ্যাতনামা ইসলামী মনীষীদের রচনাবলী বাংলায় অনুবাদ করার ব্যাপারেও তাঁর কোনো জুড়ি নেই। এসব অনুবাদের মধ্যে রয়েছে মাওলানা মওদূদী (রহ.)-এর তাফসীর ‘তাফহীমুল কুরআন’, আল্লামা ইউসুফ আল-কারযাভী-কৃত ‘ইসলামের যাকাত বিধান (দুই খণ্ড)’ ও ‘ইসলামে হালাল হারামের বিধান’, মুহাম্মদ কুতুবের ‘বিংশ শতাব্দীর জাহিলিয়াত’ এবং ইমাম আবু বকর আল-জাস্সাসের ঐতিহাসিক তাফসীর ‘আহকামুল কুরআন’। তাঁর অনূদিত গ্রন্থের সংখ্যাও ৬০টির উর্ধ্বে। মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ.) বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ইসলামী সম্মেলন সংস্থা (ওআইসি)-র অন্তর্গত ফিকাহ্ একাডেমীর একমাত্র সদস্য ছিলেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সূচিত ‘আল-কুরআনে অর্থনীতি’ এবং ‘ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস’ শীর্ষক দুটি গবেষণা প্রকল্পেরও সদস্য ছিলেন। প্রথমোক্ত প্রকল্পের অধীনে প্রকাশিত দুটি গ্রন্থের অধিকাংশ প্রবন্ধ তাঁরই রচিত। শেষোক্ত প্রকল্পের অধীনে তাঁর রচিত “স্রষ্টা ও সৃষ্টিতত্ত্ব” ও “ইসলামের ইতিহাস দর্শন” নামক গ্রন্থ দুটি সুধীজন কর্তৃক প্রশংসিত এবং বহুল পঠিত । তিনি ১৯৭৭ সালে মক্কায় অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্ব ইসলামী শিক্ষা সম্মেলন ও রাবেতা আলমে ইসলামীর সম্মেলন, ১৯৭৮ সালে কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত প্রথম দক্ষিণ পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় ইসলামী দাওয়াত সম্মেলন, একই বছর করাচীতে অনুষ্ঠিত প্রথম এশীয় ইসলামী মহাসম্মেলন, ১৯৮০ সালে কলম্বোতে অনষ্ঠিত আন্তঃপার্লামেন্টারী সম্মেলন এবং ১৯৮২ সালে তেহরানে অনুষ্ঠিত ইসলামী বিপ্লবের তৃতীয় বার্ষিক উৎসবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। এ যুগস্রষ্টা মনীষা ১৩৯৪ সনের ১৪ আশ্বিন (১৯৮৭ সালের ১ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার এই নশ্বর দুনিয়া ছেড়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

সংশ্লিষ্ট বই