সাহিত্যের বিচিত্র শাখার মধ্যে কথাসাহিত্যই মানবজীবনের পরিপূর্ণ রূপাঙ্কনে সক্ষম। আধুনিক মানুষের জটিল জীবনসংকট রূপায়ণে এ শিল্প অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখে । বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অধ্যয়নকালে কথাসাহিত্যই আমার শিল্পচাহিদা অনেকাংশে পূরণ করে। শওকত আলী বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে শীর্ষস্থানীয় লেখকদের মধ্যে অন্যতম। আনন্দ সঞ্চার ও রস সঞ্চারণই শুধু সাহিত্যের উদ্দেশ্য নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতাও আধুনিক যুগের লেখকদের অন্যতম কর্তব্যজ্ঞান হয়ে দাঁড়িয়েছে; এ অভিপ্রায়ে শওকত আলী সাহিত্যাঙ্গনে আবির্ভূত হয়ে স্বতন্ত্র এক স্বরের উচ্চারণ ঘটান। তাঁর স্বাতন্ত্র্য নিরূপণের জন্যই আমার এ অভিসন্দর্ভ রচনার লক্ষ্য। আমার গবেষণায় সার্বক্ষণিক সহযােগিতা ও দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন আমার তত্ত্বাবধায়ক বিশিষ্ট ভাষাবিজ্ঞানী প্রফেসর আ ফ ম দানীউল হক। তিনি শত ব্যস্ত তার মধ্যেও গবেষণার ধারা, পদ্ধতি, প্রক্রিয়া ও কলাকৌশলের প্রতিটি দিক নিয়ে আমাকে সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর সহৃদয় বাৎসল্য, স্নেহজ্ঞান, প্রেরণা ও নির্দেশনায় আমার গবেষণাকর্ম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অভিসন্দর্ভের শিরােনাম-ব্যক্তিত্ব কথাসাহিত্যিক শওকত আলী শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও দীর্ঘ সময় দিয়ে আমাকে ঋদ্ধ করেছেন। তিনি শিক্ষকসুলভ কর্তব্যজ্ঞানে তাঁর রচনার কলাকৌশলের নানা দিক এবং অনেক তথ্য-উপাত্তের সন্ধান দিয়েছেন। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় ও সাক্ষাৎকারে দীর্ঘ সময় দেওয়ায় তাঁর শিল্প-অভিপ্রায় ও শিল্পরচনার কৌশল উদ্ধার করা আমার পক্ষে সহজতর হয়েছে। ড. খালেদ হােসাইন গবেষণাকর্মের ধারণাসহ কলাকৌশলের নানা দিক নিয়ে আমাকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তার কবি-ব্যক্তিত্বের আনুকূল্য আমার গবেষণাকর্মে |