Loading...

শিক্ষিত বালক (হার্ডকভার)

স্টক:

২৫০.০০ ১৫০.০০

একসাথে কেনেন

 কেন বই পড়ব এবং কেন এই বই পড়ব? কেন আমরা বই পড়ব? এর একটা চমৎকার ব্যাখ্যা আছে। ধরুন, কে টেলিভিশনে একটা জিনিস দেখে, সেটা টেলিভিশন তাকে সরাসরি দেখায়। এক্ষেত্রে কল্পনার কোনাে দখল থাকে না। বিষয়টা সন্ত্রাসরি দেখা স্ত্র দেখানাে হচ্ছে। এর বিপরীতে বইয়ে একটা কিছু লেখা থাকে ধরা এক বইয়ে লেখা আহে নীল আকাশ। পাঠক কিন্তু বইয়ে নীল আকাশ দেখতে পারছে না। সে নীল আকাশ শব্দটা চোখ দিয়ে পড়ছে। প্রােটিন থেকে সেটা তার মগজ আজ। মাঞ্জা শসী লিNেণ নাই। তারপর সে কল্পনা করছে, নীল আকাশকে। এই যে ত্রিঘাটা, এইটা অস্ত্র আরাম দায়ক। এই প্রক্রিয়া চালু না থাকলে মেধা সমৃদ্ধ হয় না। সে জন্য যারা শুধু টেলিভিশন দেখে তাদের মাঝে মেধা সমৃদ্ধির এই প্রক্রিয়াটা সচল হয় না। তার মস্তিষ্কে চিন্তারা ঢালপালা ছড়ায় না। তার মস্তিষ্ক অলস পড়ে থাকে। কিন্তু বই পড়লে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে। এটা হলাে বই কেন পড়তে হবে তার পক্ষে প্রধানতম কারণ। মান্তিক কে উন্নত করার জন্য বই পড়া জরুরি। আর যখন কেউ বই পড়া শিখে যায় না তার চিন্তা-চেতনার জগৎ খুলে যায়, অবারিত হয়ে যায়। পৃথিবীতে কত বিচিত্র বিষয়ের ওপরই বই লেখা হয়েছে। আমরা তাে কখনােই গাজালি, ইবনে সিনা, শাহ “য়ালিউল্লাহর দেখা পাব নাঃ রুমি, সাদি ও প্রমৰ খইয়ামের দেখা পাৰ না; কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, কী নজরুল ইসলাম, ফররুখ আহমানের সাথে আমাদের দেখা হবে না। আল-মাহমদকে আর দেখতে পান । আলি নাৰি ও আলি মিয়া নাছিকেও আর দেখতে পাব না। মাহমুদ দারবিশের সাথেও আর দেখা হবে না। ক্ষি যখন তাদের লেখা বইগুলাে পড়ি তথন মানে হয় তারা আমাদের পাশেই আছেন। আমাদের সাথেই আছেন। হুমায়ুন আহমেদ চলে গেছেন। কিন্তু তাঁর বই গুলাে রয়ে গেছে। একজন পাঠক যখন তার বই পড়বেন তখন তিনি নিশ্চয়ই অনুভব করবেন হুমায়ুন আহমেদ এর সাথে কথা বলছেন। তার পাশে বসে আছেন। এই অনুভবটা কিন্তু বিশাল একটা ব্যাপার। কাজেই সবার উচিত বই পড়া। সকচয়ে বড় কথা ছোটবেলায় একবার বই পড়ার অত্যাস গড়ে উঠলে ছেলে-মেয়েদের জন্য আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না। কারণ বই-ই তাকে ভালাে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। ছােটবেলায় বই দেখতে দেখতে ও পড়তে পঞ্চতই বড় হয়েছি। হুমায়ূন আহমেদ এই যে এতবড় লেখক হয়েছেন তার একটাই কারণ ছিল তিনি অতি অল্প বয়সেই, অনেক বেশি বই পাফার সুযােগ পেয়েছিলেন। কেউ যখন অনেক বই পড়ে তখন তার চিন্তা-চেতনার জগৎ খুলে যায়। লেখালেখির ক্ষমতা। জন্মায়। যারা লেখক হতে চান অবশ্যই তারা বই পড়ুন। এবং গল্পের বই দিয়ে পাঠ শুরু করুন। | পাঠক! এতটুকু পড়ার পর আশাকরি আর বলতে হবে না, কেন এই পড়ুন এবং কে এই বই পড়ব? দোয়াপ্রার্থী মনযুর আহমাদ সাবেক সম্পাদক, মাসিক রহমত।
Shikkhito Balok,Shikkhito Balok in boiferry,Shikkhito Balok buy online,Shikkhito Balok by Monjur Ahmad,শিক্ষিত বালক,শিক্ষিত বালক বইফেরীতে,শিক্ষিত বালক অনলাইনে কিনুন,মনযূর আহমাদ এর শিক্ষিত বালক,Shikkhito Balok Ebook,Shikkhito Balok Ebook in BD,Shikkhito Balok Ebook in Dhaka,Shikkhito Balok Ebook in Bangladesh,Shikkhito Balok Ebook in boiferry,শিক্ষিত বালক ইবুক,শিক্ষিত বালক ইবুক বিডি,শিক্ষিত বালক ইবুক ঢাকায়,শিক্ষিত বালক ইবুক বাংলাদেশে
মনযূর আহমাদ এর শিক্ষিত বালক এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 150.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Shikkhito Balok by Monjur Ahmadis now available in boiferry for only 150.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ১৬০ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2020-10-01
প্রকাশনী চেতনা প্রকাশন
ISBN:
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

মনযূর আহমাদ
লেখকের জীবনী
মনযূর আহমাদ (Monjur Ahmad)

২০০০ সালের ডিসেম্বর থেকে রহমতের সম্পাদক ছিলেন প্রবল জীবনদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ মুহতারাম মনযূর আহমাদ। মনযূর আহমাদ একজন প্রাজ্ঞ ও প্রথিতযশা সম্পাদক। জীবনের দীর্ঘ সময় তিনি সম্পাদনার কলম দিয়ে পৃথিবী পর্যবেক্ষণ করেছেন। ১৯৯১ থেকে এক দশক জাগো মুজাহিদ-এর নির্বাহী সম্পাদক, দুই হাজারের ডিসেম্বর থেকে দেড় দশক রহমত-এর সম্পাদক—সব মিলিয়ে ১৯৮৫ থেকে শুরু হয়ে চলমান পঁয়ত্রিশ বছরের কর্মজীবনের পঁচিশটি বছরই কাটিয়েছেন এই ডেস্কে! মনযূর আহমাদের জীবন শুরু হয়েছিল পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী থানায়, নলবুনিয়ার বৌডুবীতে ১৯৬৫ সালে। শৈশব-কৈশোরে পড়াশোনা করেছেন বৌডুবীতে এবং তারপর পার্শ্ববর্তী বাদুরা মাদরাসায়। পরিণত পড়াশোনার জন্য গিয়েছেন গোপালগঞ্জের কাজুলিয়া এবং গওহরডাঙ্গা মাদরাসায়। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনায় সমাপ্তি দিয়েছেন হাটহাজারী মাদরাসায়, ১৯৮৩-৮৪ শিক্ষাবর্ষে। ১৯৮৫ থেকেই শুরু হয় তার জীবন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। ঢাকায় তার প্রথম আগমন ঢালকানগরের ছাপড়া মসজিদে। ভাগ্য পরীক্ষার প্রথমপর্বে এখানে তার হাত ধরেন অভিন্ন পথের সহযাত্রী মরহুম মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন। এখান থেকে তিনি বাংলাদেশের ইসলামি আধুনিক রেনেসাঁর অগ্রদূত মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের একান্ত সান্নিধ্য অর্জন করেন এবং যুগের কিংবদন্তি অধ্যাপক আখতার ফারূকের কাছ থেকে প্রেরণা পেয়ে কলমচর্চায় মনোনিবেশ করেন। সেই কলম শানিত হয় অধ্যাপক আখতার ফারূকের সুদীর্ঘ সংস্পর্শে। তার লেখালেখির প্রথম কীর্তি বিখ্যাত তাফসিরে ইবনে কাসিরের আংশিক অনুবাদ। এরপর চলতে থাকে কলম, অনবরত, আজ পর্যন্ত। তার ইদানীংকালের কীর্তি হল বিখ্যাত হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ-এর ব্যাখ্যাগ্রন্থ রহমাতুল্লাহিল ওয়াসিয়াহ-এর অনুবাদ। এর মাঝে তিনি লিখেছেন অনেক—অনুবাদ, ইতিহাস, প্রবন্ধ। সেসবের কিছু প্রকাশিত, কিছু প্রকাশিতব্য। কিছু নামে, কিছু বেনামে। তবে এসব কীর্তির চেয়ে তার বড়ো পরিচয়—তিনি একজন সফল সম্পাদক। অন্তরালোকসম্পন্ন সম্পাদক। শুধু পত্রিকারই নন, প্রতিষ্ঠিত অনেক তরুণ লেখকের জীবনেরও সম্পাদক তিনি। সেক্ষেত্রে একজন পিতৃসত্তাবান সম্পাদক হিসেবেই তিনি তাঁর পরিচয় উজ্জ্বল করেছেন। যার স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠিত সকল লেখক তাদের নৈকষ্য আড্ডায় খুবই স্বাচ্ছন্দ্যে গর্বভরেই দিয়ে থাকেন। মনযূর আহমাদকে সর্ববিচারে বলা যায় চেতনা ও শিল্পমগ্ন তারুণ্যের মুখপাত্র। জীবনের নানা ব্যস্ততার ফাঁকেও তিনি একজন মজলিশি মানুষ। তার মজলিশি স্বভাবে রয়েছে রসালাপ, রয়েছে তিক্ত তুখোড় বাস্তবতায় অনায়াস সমালোচনার শিল্প। জীবনের বেলাভূমিতে তিনি এখন বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতার পটভূমিতে দাঁড়িয়ে এক ধরনের অতিন্দ্রিয় সময় কাটাচ্ছেন—যা তার কাছে গেলে, একটু বসলে, খানিক আলাপ করলে বুঝা যায়। আল্লাহ তাকে কবুল করুন। তার সকল কীর্তি ও প্রচেষ্টা কবুল করুন। জীবনকে তার জন্য সহজ করে দিন।

সংশ্লিষ্ট বই