হজরত মােহাম্মদ মােস্তফা শেষ যুগের রছুল রাহমাতুললে আ'লামীন। তাহার আদর্শ চরিত্র অনুকরণ ও তাহার মহাবাণী প্রতিপালন কোরাণ-মজ্বীদের আদেশ। মােছলমান এ আদেশ লঙ্ঘন করিলে মহাপাতকী ও অবজ্ঞা করিলে কাফের হইবে; পক্ষান্তরে জগতের এক-পঞ্চমাংশ লােক প্রগাঢ় ভক্তির সহিত হৃদয়ের অন্তঃস্থল হইতে হজরত মােহাম্মদ মােস্তফাকে শেষনবীর মহা গৌরবান্বিত আসন প্রদান করিতেছেন, ইহার সত্যাসত্য নির্ণয় করা জগদ্বাসীর একটি মহা কৰ্ত্তব্য। সুতরাং এই আদর্শ মহাপুরুষের জীবনী পাঠ মােছলমান, অ-মােছলমান সকলেরই কর্তব্য। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, তাঁহার পবিত্র জীবনী অজ্ঞ, কুসংস্কারপন্ন, ইছলাম-বিদ্বেষী লেখকের হিংসাপূর্ণ লেখনী সঞ্চালনের প্রভাবে অনেকস্থলে কদৰ্য্যভাবে চিত্রিত হইয়াছে। | খাতেমুন্নবেই হজরত মােহাম্মদ মােস্তফার জীবনীর প্রথম সূত্র কোরাণ বা আল্লার বাণী, দ্বিতীয় সূত্র বিশুদ্ধ হাদীছ বা নবীর মুখ নিসৃতবাণী এবং তৃতীয় সূত্র ছিরাৎ বা পরবর্তী যুগে লিখিত তাহার জীবনচরিত। কোরাণ-মজ্বীদে তাহার জীবনী-সংক্রান্ত যে সকল ঘটনার উল্লেখ আছে, সহস্র সহস্র মমাছলমান ও অ-মােছলমান ঐ সকল ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন এবং বিতর্কে সত্য বলিয়া গ্রহণ করিয়াছেন। সুতরাং তাহার জীবনীর এই অংশ আমরা সত্য বলিয়া গ্রহণ করিতে বাধ্য; ইহার সত্যতা সম্বন্ধে মতান্তর হয় নাই এবং হইতেও পারে না। কোন হাদীছের গ্রন্থে বা ছিরাতে ইহার বিপরীত কোন বর্ণনা পরিদৃষ্ট হইলে আমরা অবশ্য ইহাকে অবিশ্বাস্য মনে করিব ও দ্বিধাহীন অন্তরে অগ্রাহ্য করিব।