শেখ হাসিনা ইতিহাসের বীরকন্যা রক্তের বাঁধন ছিড়ে গেলে ক'জন সইতে পারে? বাবা-মার স্নেহের পরশ থেকে হঠাৎ ছিটকে পড়লে কেউ কি থাকে পথ দেখাবার? কি খাবেন, কেমন করে বাঁচবেন, আশা নেই, ভরসা নেই, এতটুকু আশ্রয় নেই, কোথাও কেউ নেই, কিছু নেই, নেই আর নেই। জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়লে সবকিছু অচেনা হয়ে যায়। এলােমেলাে হয়ে যায়। তবুও জীবনের নিয়মে জীবনকে টেনে নিতে হয়। পথ চলতে হয়। এভাবে জীবনকে টানতে টানতে একদিন তিনি হয়ে উঠলেন ইতিহাসের বীরকন্যা। আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। জয়তু শেখ হাসিনা। আপনি যা পেয়েছেন তার চেয়ে লাখাে গুণ বেশি আমাদের দিয়েছেন। মহান আল্লাহ আপনার দীর্ঘ-সুস্থ জীবনদান করুন। এখনও যে অনেক কাজ বাকি। এখনও যে অনেক কাজ শেষ হয়নি। এন্ড মাইলস টু গাে বিফোর উই স্লিপ। আপনারই জয় হােক। আমরা আপনারই লােক। মূল আলােচনায় যাবার আগে বাঙালির হাজার বছর মনে রাখার মতাে মহিমান্বিত মাস ফেব্রুয়ারিকে স্মরণ করতে চাই। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে চাই ভাষা শহীদ রফিক, শফিক, জব্বার, সালাম, বরকতদের। আমাদের মুখে ভাষা দিয়ে ওরা নির্বাক হয়ে গেল। আজ পৃথিবী আমাদের স্মরণ করে। সেই মহিমান্বিত ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে যাবে শনিবার ২৯ তারিখ। দৈনিক জনকণ্ঠের চতুরঙ্গ পাতা ছাপা হবার দিন। আমাকেও লিখতে হবে কিছু। আমাদের প্রধান কবি শামসুর রাহমান বলে গেছেন, একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশ নিয়ে আমার নিজেরও একটা উপলব্ধি আছে। একুশে ফেব্রুয়ারির আন্দোলন দেশের সব বাঙালির ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল। রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই দিতে হবে, দিতে হবে। তােমার ভাষা আমার ভাষা বাংলা ভাষা বাংলা ভাষা। ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়। ওরা কথায় কথায় গুলি চালায় আমার বুকে আর গায়। জীবন দেব তবু মুখের ভাষা কাইড়া নিতে দিবাে না। শেখ হাসিনা ইতিহাসের বীরকন্যা । (সংক্ষিপ্ত……)