Loading...

শেষ (হার্ডকভার)

স্টক: স্টকে আছে (১ এর বেশি কপি আছে)

৪০০.০০ ৩০০.০০

নেহাত কথার প্রসঙ্গ ধরে ব্যক্তিগত আলাপের যে গল্প, সেই গল্পের হাত ধরেই একদিন শিহাব সিদ্ধান্ত নেয়, হাসানকে সে আত্মহত্যা করতে বলবে। তারপর দিনের পর দিন হাসানের সাথে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা কম হয়নি। এমতাবস্থায় একদিন এক সমঝোতা হয় তাদের ভেতরে। হাসান সম্মতি জানিয়ে বলে, চলে যাবার আগে পৃথিবী বরাবর কিছু লিখে যেতে চায়। সেই চিঠি শেষ করে হাসান আত্মহত্যা করবার জন্য দড়ি কিনতে ঘর থেকে বের হয়। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যায় সে ফেরে একটা অ্যাকুরিয়াম নিয়ে। সে আত্মহত্যা করবে না।
sesh,sesh in boiferry,sesh buy online,sesh by Zunayed Evan,শেষ,শেষ বইফেরীতে,শেষ অনলাইনে কিনুন,জুনায়েদ ইভান এর শেষ,9789849510079,sesh Ebook,sesh Ebook in BD,sesh Ebook in Dhaka,sesh Ebook in Bangladesh,sesh Ebook in boiferry,শেষ ইবুক,শেষ ইবুক বিডি,শেষ ইবুক ঢাকায়,শেষ ইবুক বাংলাদেশে
জুনায়েদ ইভান এর শেষএখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 263.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। sesh by Zunayed Evanis now available in boiferry for only 263.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ১১২ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2021-08-21
প্রকাশনী কিংবদন্তী পাবলিকেশন
ISBN: 9789849510079
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

5
1 reviews

1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা

  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'fatemaismail keya'
    "আমি কিভাবে ভালোবাসবো সেটা শুধু আমি নির্ধারণ করি না৷ আমি যাকে ভালোবাসি সেও নির্ধারণ করে!" কাহিনী সংক্ষেপঃ একজন লেখকের বই লেখার জন্য গল্পের দরকার। আর সেই গল্পটা রুদ্র-নিতু-হাসানের। যে গল্প শুরু হয়েছিল একটা লাইটার দিয়ে আর শেষটা হয়েছে বৃষ্টিস্নাত বিতর্কিত জানাজায়। আর এটা ছিলো বাস্তবের মতোই গল্প। শিহাব নামের একজন লেখক এই বাস্তবতাকেই বানিয়ে নেয় তার লেখার হাতিয়ার। শুরু হয় এক বাস্তবের আলোকে এক ভিন্নধর্মী গল্পের। গল্পের চরিত্রগুলো ভিন্ন, তাদের ঘটনাও ভিন্ন অথচ তাদের দুঃখ গুলো অভিন্ন। তাদের সবাই চায় কাউকে না কাউকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে। অথচ আদৌ তারা সেটা পারে না। দিনশেষে তাদের সকলের দীর্ঘশ্বাস শোনা যায়। স্বপ্নভঙ্গের দীর্ঘশ্বাস! নিতুর ভালোবাসা রুদ্র। হুট করেই এক মধ্যরাতে যার সাথে নিতুর পরিচয়। আর পরিচয় থেকেই তাদের ভালোবাসার সূত্রপাত। কিন্তু রুদ্রের অসুস্থতা সব পাল্টে দেয়। হাসান চলে আসে নিতুর জীবনে। নিতু না চাইলেও হাসান তার জীবনে জড়িয়ে পড়ে। আর সেই জড়িয়ে পড়াটাও বেশিদিন টেকে নি। কারণ হাসান নিতুকে পেয়েছিলো অন্যায়ভাবে। ফলস্বরূপ সম্পর্কের সংযোগ থেকেই বিচ্ছেদের যবনিকা। এই গল্প নিতুর ভালোবাসা হারিয়ে ফেলার গল্প, এই গল্প হাসানের আক্ষেপের গল্প, এই গল্প রুদ্রের অসহায়ত্বের গল্প। এই গল্পে কেউ আক্ষেপ খুঁজে পায় হুইল চেয়ারে বসে দেখা নিঃসঙ্গ নক্ষত্রে। কেউ টরোর শিং সাথে নিয়ে বাঁচতে চায় পিছনে তাকানো যাবে না। পেছনে এক পাল ষাঁড়। কেউ জীবন ছেড়ে পালিয়ে যায় পুরানো রেকে প্রতাশিত কাগজের ভিড়ে; সম্বোধন ছাড়া লেখা রুদ্রের শেষ চিঠিতে। কেউ অতীত জলাঞ্জলি দেয় বূষ্টির ফোঁটায়, প্লাস্টিকের বালতিতে। গুনতে ভুল করলে আবার শুরু করা যায়, কিন্তু যায় কি ? হয়তো যায়, হয়তো যায় না। এই যাওয়া না যাওয়ার এক বিষন্ন মিশ্রণের নামই হলো "শেষ"। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ ১১২ পৃষ্ঠার বই অথচ ভাবের গভীরতা অসীম। প্রতিটা লাইন পড়ার সময় ভাবতে হয়েছে প্রচুর। একেকটা লাইনের ভিতরে হাজারটা আক্ষেপ, স্মৃতি আর রহস্য লুকায়িত। আর বইয়ের শেষটার জন্যই হয়তো "শেষ" নামটার বিকল্প নেই। বইটি পড়ে শেষ হয়ে যাবার পরে, চিঠি গুলো পড়তে না পারার আক্ষেপ পাঠকের রয়েই যাবে। পুরো বইজুড়েই ছিলো ঘোর, দীর্ঘশ্বাস, বেদনা এবং শেষমেশ একরাশ আফসোস। বইটিতে লেখকের মনস্তাত্ত্বিক জীবনমুখী ভাবনার বহিঃপ্রকাশ ফুটে উঠেছিলো ব্যাপকভাবে। আসলে "শেষ" বললেই সব শেষ না। এই শেষের পরেও অনেক কিছু থেকে যায়। সেই থেকে যাওয়াটাই লেখক দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ বইটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। প্রিয় উক্তিঃ ১. একা মানুষের কোনো পিছুটান থাকে না, কথাটা আসলে সঠিক না। জীবনের প্রতি ভালোবাসা হলো সবচাইতে বড় পিছুটান। ২. পৃথিবীতে যেখানে সুখ আছে, ঠিক সেখানেই নিষেধ আছে। একটা সুখ মানেই একটা নিষেধ অমান্য করার ফল। ৩. যত সহজেই একটা দুঃখ শেষ হয়ে গেলে অন্য একটা দুঃখের জন্ম হয়। তত সহজে একটা সুখ শেষ হবার পর অন্য আরেকটা সুখ ফিরে আসে না। ৪. একজনের শূণ্য স্থান কখনো অন্যজন পূরণ করতে পারে না৷ শূণ্যস্থানের নিচে যেমন দাগ থাকে(----); অন্তরেও থাকে। ৫. মিথ্যার চেয়ে ভয়ংকর হলো অর্ধেক সত্য। কারণ সেটাকে সত্য থেকে আলাদা করা যায় না। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৫/৫
    June 29, 2022
জুনায়েদ ইভান
লেখকের জীবনী
জুনায়েদ ইভান (Zunayed Evan)

জুনায়েদ ইভান ১৯৮৮ সালের আগস্ট মাসে আমার জন্ম। আমার জন্ম হয়েছিল ভোরবেলায়। তখন চারদিক থেকে আজানের শব্দ ভেসে আসছে। এর ভেতরে রোগা-লিকলিকে একটা শিশু হাত-পা নাড়িয়ে জানান দিচ্ছে- 'আমি এসেছি, আমার কোনো অনুলিপি নেই'। আমি এমবিএ করেছি একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। একটা রক ব্যান্ডে গান গাই। ফ্যামিলি বলতে আব্বু, আম্মু আর ছোটো দুই বোন- ইশিতা, অর্ণিমা। বর্তমানে দুই বোন আমেরিকায় পড়ালেখা করছে। একবার এক বইয়ের মলাটে লেখক পরিচিতি বয়ানে একটা লেখা পড়েছিলাম, অনেকটা এ-রকম: লেখকের পরিচয় তার গ্রামের বাড়ির ঠিকানায় থাকে না। লেখকের পরিচয় বইয়ের প্রত্যেকটি পৃষ্ঠায়, শব্দে-শব্দে, অক্ষরের ভেতরে মিশে থাকে। আমার কাছেও তাই মনে হয়। বইয়ের ভেতরে যে চরিত্রগুলো ভিন্ন ভিন্ন মতে একমত হন, সেখানে কোনো এক ফাঁকে লেখক লুকায়িত। লেখক এবং তাঁর চরিত্র পৃথক সত্তা, তবু কোথাও-না-কোথাও তাদের মধ্যে এক ধরনের অন্তমিল খুঁজে পাওয়া যাবে।

সংশ্লিষ্ট বই