সামনে বিশাল সাইজের একটি মনিটর। নভােচারীদের সবাই একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সেই মনিটরের দিকে। মনিটর জুড়ে বিভিন্ন রঙের খেলা। তবে উজ্জ্বলতা বেশ কিছুটা কমিয়ে রাখা হয়েছে। হঠাৎ ভিন্নধর্মী কিছু লক্ষ করা গেল। হিমিন নামের রােবটটি চিল্কার করে উঠল, ‘ইউরেকা, ইউরেকা।' সবাই আরাে মনােযােগ দিয়ে লক্ষ করতে থাকল মনিটরের দিকে। দলপতি লিন ক্যারিকে খবর দেয়া হলাে। তিনি হন্তদন্ত হয়ে রুমে ঢুকে হিমিনকে জিজ্ঞেস করলেন, কি পেয়েছ? ‘আমি ভেবেছিলাম, কোনাে গ্রহের ছবি ভেসে উঠেছে। এখন দেখছি এটা কোনাে গ্রহ নয়। সম্ভবত কোনাে নক্ষত্র।' মিশন প্রধান লিন ক্যারি কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণের পর বললেন, ঠিকই বলেছ, এটি একটি নক্ষত্র। শত শত কিলােমিটার পুরু অগ্নিকুণ্ড। হাইড্রোজেন, হিলিয়াম আর স্বল্পবিস্তর কয়েকটি গ্যাস মিলে এই অগ্নিকুণ্ড। এই সূর্যটির সৌরলােকেই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে কাঙ্ক্ষিত গ্রহ ট্রাইলিন এর। তবে নিশ্চিত নয়। পাশাপাশি দুটি সূর্যের অবস্থানও বিচিত্র নয়। আর এই মহাকাশযানটির কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে যে তথ্য রয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে গ্রহটির অবস্থান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। সংরক্ষিত বিভিন্ন তথ্য, গতিপথে প্রাপ্ত গ্রহ-নক্ষত্রের তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে এগুতে হচ্ছে। আশা করছি আমরা সঠিক পথেই আছি।' | ‘ক্যাপ্টেন ক্যারি, আর কতদিন লাগতে পারে আমাদের গন্তব্যে। পৌছাতে?' প্রশ্নটি এলাে এই মহাকাশযানের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড লুইসা হিমিনের কাছ থেকে।