মেঘনা নদীর মাঝামাঝি এসে হঠাৎ লঞ্চের ইঞ্জিন দুটোই নষ্ট হয়ে । | গেল। বৈশাখের এই সময়ে যখন তখন কালাে মেঘ করে কালবৈশাখী আসে। নদী হয়ে যায় উত্তাল। ঢেউগুলাে পাহাড়ের মতাে উঁচু হয়ে যায়। লঞ্চটা হালকা দুলছে। রাত প্রায় ১১টা বাজে। ভি আই পি কেবিন থেকে সাজ্জাদ বের হলাে খবর জানার জন্য। অনেকগুলি প্রথম শ্রেণীর কেবিন পার হয়ে লঞ্চ চালকের কামরা। সেখানে গিয়ে সাজ্জাদ যা শুনলাে তাতে তার মনটা শুধু। খারাপই হলাে না, ভয়ে হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে গেল। সে সাঁতার জানে আকাশ কালাে ঘুটঘুটে অন্ধকার । বাতাস বাড়তে শুরু করেছে । | ঢালা বিছানায় তৃতীয় শ্রেণীতে লঞ্চের বেশিরভাগ লােক শুয়ে পরেছে, পান দোকানের পাশে খানিকটা ভীড় । আরেকটু এগুলেই ইঞ্জিন রুম । সাজ্জাদ এগিয়ে গেল খবরের সত্যতা যাচাই করতে। নিঃশব্দ ইঞ্জিন রুমে ছুটাছুটি চলছে। ঘটনা সুবিধার না দেখে সাজ্জাদ তার রুমের দিকে রওয়ানা দিল। অনেকগুলি ভাবনা একসাথে তার মাথায় এসে জমা হলাে। যদি এখন ঝড় আসে তাে কি কি হতে পারে? নাহ কিছুতেই মনটাকে স্থির করতে পারছে না সে। সরকারী চাকরীতে ট্রান্সফারের কারণে তাকে যেতে হচ্ছে। দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায়। বউ-বাচ্চা ঢাকায়। একটা মাত্র মেয়ে ক্লাস ফাইভে পড়ে। তাই এই ব্যাচেলর | নির্বাসন। তবুও ভালাে এই যে, এই বিপদে সে একা এসেছে। পাঞ্জাবীর পকেট থেকে ফোন বের করে সুরভীকে ফোন করল সে।